গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মোহাম্মদ মান্নান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গণিত শিক্ষক মো. সাঈদুজ্জামানের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় সাঈদুজ্জামানকে স্কুল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) মোহাম্মদ মান্নান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন এই মর্মে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে সোমবার বিকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী বিদ্যালয় চত্বরে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান তারা। পরে বিষয়টি জেনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.

ইসমাইল ঘটনাস্থলে যান। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তিনি সাঈদুজ্জামানকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার মিয়ার বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ উঠে আসে। তখন তাকেও স্কুল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেন তিনি। 

নাম প্রকাশ না-করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিনিয়ত স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করছে। আমরা এর আগেও বলেছি। লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগীরা আড়ালে থাকেন। কিন্তু এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না। এটা আমাদের স্কুলের জন্য লজ্জা। আমরা একটি সুন্দর পরিবেশে শিক্ষা অর্জন করতে চাই।

আরো পড়ুন:

তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করার দাবি শিক্ষার্থীদের

মাইমুনা হত্যার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন

‘‘শিক্ষকরা হচ্ছে মা-বাবার সমান। কিন্তু শিক্ষকরাই এখন রক্ষকের স্থানে ভক্ষকের রূপ ধারণ করেছে। স্কুলটিতে এখন যে অবস্থা আমরা আমাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাই,’’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন একাধিক অভিভাবক।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘‘বিষয়টি জানার সাথে সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থলে যান। তিনি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। আমরাও চাই, শিক্ষাঙ্গণ কুলষতা মুক্ত থাকুক।’’

বাদল//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ন হয়র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য, যুবক গ্রেপ্তার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করায় খোরশেদ আলম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত রোববার রাতে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

খোরশেদ ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার জানান, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালনে রোববার নাটোরে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। এদিন একটি ফেসবুক পেজে ওই কর্মসূচির প্রচারমূলক একটি লেখা পোস্ট করা হয়। পোস্টটির নিচে ‘এসকে শারমিন খোরশেদ আলম’ নামের একটি আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়– ‘একটু আগে এক জাগাত (জায়গায়) হাসনাত মার খাইছে এলাকাবাসীর, আসুক বনপাড়া, দেখি আমরা কি করতে পারি।’ পরে বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানায় স্থানীয় এনসিপি।’

তিনি বলেন, ডিবি পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে- ‘এসকে শারমিন খোরশেদ আলম’ আইডিটি খোরশেদ আলমের। পরে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়।’

ওসি আরও জানান, বড়াইগ্রাম থানায় খোরশেদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানি দেওয়ার মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ