উত্তেজনার মধ্যে কুমিল্লায় পাশাপাশি স্থানে বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশ
Published: 20th, November 2025 GMT
উত্তেজনার মধ্যে কুমিল্লায় একই সময়ে পাশাপাশি স্থানে সমাবেশ করেছে বিএনপির দুই পক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে এক পক্ষ ও কান্দিরপাড় ভিক্টোরিয়া কলেজ সড়কে জেলা ও মহানগর কার্যালয়ের সামনে অন্য পক্ষ সমাবেশ করেছে। দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করলেও শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই দুই পক্ষের সমাবেশ শেষ হয়েছে।
আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা–৬ আসনে প্রাথমিকভাবে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এখানে চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা আমিন–উর–রশিদ (ইয়াসিন)। ৩ নভেম্বর বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে আমিন–উর–রশিদের সমর্থকেরা নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
আরও পড়ুনএকই দিনে একই মাঠে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা১৯ নভেম্বর ২০২৫দুই পক্ষ থেকে আজ কুমিল্লার ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠে সমাবেশের আহ্বান করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত টাউন হল মাঠে কোনো পক্ষকেই কর্মসূচি করতে দেয়নি জেলা প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকায় গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী মাঠ বরাদ্দের জন্য দুই পক্ষের আবেদনকারী ব্যক্তিদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেন।
তবে দুই পক্ষই কর্মসূচি পালনে অনড় থাকায় নগরে আতঙ্ক ছড়ায়। পরে মাঠের প্রধান ফটকের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে মাঠ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নেয়। বিকেলে কান্দিরপাড়ে পাশাপাশি স্থানে সমাবেশ করে দুই পক্ষ।
আমাকে কাজে লাগান, আমি ভালো কামলা: মনিরুল হক চৌধুরীটাউন হল মাঠে সমাবেশ করতে না পেরে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে দুটি পিকআপ ভ্যানে মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করেন মনিরুল হক চৌধুরী। কুমিল্লা–৬ আসনে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন গণসমাবেশ’ ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে মনিরুল হক চৌধুরীর সমাবেশে আগত নেতা–কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলার কারণে নির্বাচন নিয়ে উৎকণ্ঠা হচ্ছে: ইউনুস আহমাদ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, “পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে, চলতি বছরের গত ১০ মাসে (অক্টোবর পর্যন্ত) সারা দেশে প্রায় তিন হাজার ২৩০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে ৩২৩টি খুন হয়েছে। রাজধানীতে গত ১০ মাসে ৩৭১টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রতি মাসে গড়ে ৩৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তবে ডিএমপি থেকে দাবি করছে, প্রতি মাসে রাজধানীতে গড়ে ১৯-২০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের এই তথ্য জনমে উদ্বেগ তৈরি করেছে এবং আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক কর্মী ও নেতাদের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে।”
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, “দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা আছে। এমন বাস্তবতায় এতো হত্যাকাণ্ড সকল বিবেচনাতেই ভীতিকর এবং দেশে আইনের শাসনের বিদ্যমানতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করে। তাই জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে জনমনে স্থতি ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবশ্যই উন্নতি করতে হবে।”
অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। প্রকাশ্য বিদালোকে হত্যা করতেও দ্বিধা করছে না সন্ত্রাসীরা। তাই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এবং অপরাধীদের দমন করতে সর্বব্যাপী অভিযান পরিচালনা করতে হবে।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি