জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) জুলাই পদযাত্রা খুলনায় প্রবেশ করবে শুক্রবার। ওই দিন বিকেলে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে এবং সন্ধ্যায় খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের পিপলস মোড়ে পথসভা করবে সংগঠনটির নেতারা। কর্মসূচি সফল করতে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

পথসভার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে বুধবার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এনসিপির খুলনা জেলা ও মহানগর নেতারা। এতে জানানো হয়, শুক্রবার দুপুরে যশোর হয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় আসবেন। নগরীর বাইতুন নূর মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে শহীদদের কবর জিয়ারত, বিকাল সাড়ে ৩টায় আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময়, বিকাল ৫টায় শিববাড়ি মোড়ে পথসভা এবং সন্ধ্যা ৭টায় পিপলস মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চিত্রালী বাজার থেকে দৌলতপুর মোড় পর্যন্ত গণসংযোগ ও পদযাত্রা হবে। খুলনায় রাতযাপন করে শনিবার সকালে তাঁরা সাতক্ষীরার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। 

জেলা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাহফুজুল হোসেন ফয়জুল্লাহ, ডা.

মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, সৈয়দ আবু ওয়াহিদ অনি, রুমি রহমান, এম সাইফুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা সজীব মোল্লা, রাফসান রফিক ওশান, সানজিদা আফরিন আখি, জয়বৈদ্য প্রমুখ।

মহানগর সংগঠকদের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আহম্মদ হামীম রাহাত, ফরিদ পাঠান, ইকবাল মোড়ল, তুহিন, এড. মঈনুল ইসলাম জীবন, রাবেয়া, সাদিয়া শিমু, রমজান শেখ প্রমুখ।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প পথসভ

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে থাকা শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেসরকারি এই প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে দেখিয়ে আবাসন বৃত্তি থেকে তাঁদের বঞ্চিত করছে, এমন অভিযোগে আজ বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন।

এর আগে দুপুর নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁদের স্লোগানের মধ্যে ছিল: ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, ভুজুংভাজুং ছেড়ে দে’, ‘এক দুই তিন চার, বৃত্তি আমার অধিকার’ এবং ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি নীতিমালায় আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে তাঁরা আবাসন বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পটি বেসরকারি হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হল না হওয়ায় তাঁদের বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য কোনো হল নেই। আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের মেধাবী প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প আমাদের জন্য করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যত কোনো হল নয়।’

শিক্ষার্থী সুমন আরও বলেন, ‘বৃত্তি নীতিমালায় সুকৌশলে আস–সুন্নাহ প্রজেক্টকে হল হিসেবে উপস্থাপন করে বৃত্তি থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এ পাঁয়তারাকে রুখে দিতে প্রতিবাদ করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্প থেকে যখন আগামী জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যাবে, তখন তাদের আশ্রয়স্থল কোথায়? আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আরও কঠিন আন্দোলন করব।’

শিক্ষার্থীরা প্রায় বিকেল চারটা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে থাকেন। পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে ফিরে যান।

জানা যায়, আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পের আওতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে থাকেন। এই প্রকল্পে থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ