‘ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপন জনগণ মেনে নেবে না’
Published: 9th, July 2025 GMT
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
হেফাজতে ইসলামের এই নেতা বলেন, ‘‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা করেছে। এসব হস্তক্ষেপ একদিকে যেমন জাতীয় সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত, অন্যদিকে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থি। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।’’
অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (৯ জুলাই) সিলেট দরগাহ গেটস্থ হোটেল স্টার প্যাসিফিকের হলরুমে হেফাজতে ইসলামের সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ আসজাদ আহমদ ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদের যৌথ পরিচালনায় পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় মাওলানা আজিজুল হক এ কথা বলেন।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে মাওলানা আজিজুল হক বলেন, ‘‘তাঁর বক্তব্য চরম আপত্তিকর। আমরা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানাই। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।’’
পরিচিতি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম সিলেট মহানগর শাখার উপদেষ্টা মাওলানা মাসুক উদ্দিন, জালালাবাদ ইমাম সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ক্বারী মুজাম্মিল হোসাইন চৌধুরী, হেফাজতে ইসলাম সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা রেজাউল করীম জালালি, জেলা সহ-সভাপতি নোমানী চৌধুরী, হেফাজত মহানগর সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা গাজী রহমতুল্লাহ, মাওলানা মুখলিছুর রহমান রাজাগঞ্জী, মাওলানা সামীউর রহমান মুসা প্রমুখ।
ঢাকা/নুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম নব ধ ক র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিকে অনভিপ্রেত, অগণতান্ত্রিক এবং দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য বিপজ্জনক আখ্যায়িত করেছেন দলটির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, যে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে জাতীয় পার্টি অতীতে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিল, সেই জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে? বিষয়টি বিস্ময়কর ও দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টির এই অংশের মহাসচিবের বাসভবনে জরুরি মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, জাতীয় পার্টি তার জন্মলগ্ন থেকেই জনগণের অধিকার, গণতান্ত্রিক চর্চা এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারক ও বাহক। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতীয় পার্টি কখনোই কোনো রাজনৈতিক অপরাধে জড়িত হয়নি বা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়নি, যার কারণে দলটিকে নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়; বরং দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাধীনতার পর দেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, গ্রাম থেকে শহরে উন্নয়ন ছড়িয়ে দেওয়া, আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ ও শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ইতিহাস জাতীয় পার্টির রয়েছে।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হলে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি যোগ করেন, কাউকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এবং জনগণের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেয়।
সভায় জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান, সরদার শাহজাহান, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন প্রমুখ।