চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ ১১ টুকরো করে গুমের চেষ্টা করা মামলার প্রধান আসামি ঘাতক স্বামী মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। 

শুক্রবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও র‌্যাব-৯ সিলেটের যৌথ অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে.

কর্নেল হাফিজুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে র‌্যাব-৭ এর মিডিয়া বিভাগ থেকে ঘাতক সুমনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানানো হয়। গত ৯ জুলাই রাতে বায়েজিদ থানার রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির একটি ফ্ল্যাটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেন সুমন। পরে লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে লুকানোর চেষ্টা করেন তিনি। 

এই ঘটনায় ভবনের সিকিউরিটি গার্ডের সন্দেহে বিষয়টি প্রকাশ পায়। খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ভিকটিমের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২০, তারিখ ১০ জুলাই ২০২৫)। ঘটনার পর সুমন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও র‌্যাব-৯ সিলেটের যৌথ অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ঢাকা/রেজাউল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির হাতে জব্দ সাড়ে ১২ কোটি টাকার চোরাচালানের পণ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালানের পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ করা হয়।

আজ রোববার বেলা সোয়া দুইটার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ান। এতে বলা হয়, গত দুই–তিন বছরে আটক করা ভারতীয় মালামালের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় চালান।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সীমান্তঘেঁষা বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে মাদকসহ ভারতীয় চোরাচালানের পণ্য পাচার করে আসছে একটি চক্র। শনিবার মধ্যরাতের দিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় অভিযান চালায় সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) একটি বিশেষ টহল দল। অভিযানে রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড হয়ে ঢাকাগামী একটি পিকআপ দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরে পিকআপটিকে উপজেলার চম্পকনগর এলাকায় থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। বিজিবির উপস্থিতি দেখে পিকআপের চালক, সহযোগীসহ অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

পরে তল্লাশি চালিয়ে পিকআপ থেকে মুঠোফোনের ১৫ হাজার ১৯২টি ডিসপ্লে, ১০৭টি উন্নত মানের কম্বলসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করা হয়। এ সময় পিকআপ আটক করা হয়। বিজিবির দাবি, আটক করা মালামালের বাজারমূল্য ১২ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। ভারতীয় এই চোরাচালানের মালামাল আখাউড়া কাস্টম হাউসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে ১১ অক্টোবর বিজয়নগর উপজেলার আমতলী এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেন বিজিবির সদস্যরা।

২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মাদকদ্রব্য পাচারসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। বিজিবির এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির হাতে জব্দ সাড়ে ১২ কোটি টাকার চোরাচালানের পণ্য