১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৮৫ পেয়েছে চট্টগ্রামের নিবিড়
Published: 12th, July 2025 GMT
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মোট নম্বর ১৩০০ এর মধ্যে ১২৮৫ পেয়েছে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিবিড় কর্মকার। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ১১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেলেও, ব্যতিক্রমী এই নম্বরের জন্য আলোচনায় উঠে এসেছে নিবিড়ের নাম।
ফল প্রকাশের দিন সকাল থেকেই উদ্বিগ্ন ছিল নিবিড়। ইন্টারনেটে ফলাফল দেখতে পারেনি সে। পরে বিদ্যালয়ে গিয়ে নিবিড় নিশ্চিত হয় নিজের ফলাফল। জানায়, ‘নম্বর দেখে নিজেই চমকে গেছি।’
নিবিড়ের বাবা জীবন কর্মকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, মা রিপা রায় গৃহিণী। চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তারা। নিবিড়ের বাবা-মা জানান, পড়াশোনার জন্য কখনোই সন্তানের ওপর চাপ দেননি তারা। বরং পড়ার পরিবেশ ঠিক রাখতেই গুরুত্ব দিয়েছেন। নিবিড় নিয়মিত স্কুলে গেছে, শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনেছে এবং নিজের আগ্রহেই পড়াশোনা করেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহমান জানান, ‘নিবিড় অত্যন্ত বিনয়ী ও মনোযোগী। এবার আমাদের স্কুলের সবচেয়ে ভালো ফল তারই।’
শুধু পাঠ্যবই নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও ছিল নিবিড়ের অংশগ্রহণ। রচনা প্রতিযোগিতা, অলিম্পিয়াডসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয় ছিল সে। আঁকাআঁকি পছন্দ হলেও বর্তমানে পড়াশোনার চাপে আগের মতো আঁকাআঁকি করা হয় না বলে জানায় নিবিড়।
নিবিড়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বেশ পরিষ্কার। সে জানায়, এখন তার লক্ষ্য বুয়েটে ভর্তি। বলেছে, ‘ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। এখন সেদিকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
পরীক্ষার আগে নার্ভাসনেস থাকলেও মা-বাবা ও শিক্ষকদের উৎসাহেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছে বলে জানায় নিবিড়। সবার সহযোগিতায় সে দারুণ এই ফলাফল করতে পেরেছে এটাই তার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএসস
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জ সদরে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
ব্রাক সদর উপজেলার আয়োজনে ব্রাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্প’র জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মোকাবেলা ও প্রতিরোধ বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সভাকক্ষে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.উম্মে ফারহানা’র সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা শিরিন।
সভায় বক্তব্য রাখেন মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. ইসরাত জাহান শীলা, ব্রাক জেলা সমন্বয়ক সুমন চৌধুরী, ব্রাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি জেলা ব্যবস্থাপক মো শামীম আল মামুন খান ও জেলা প্রোগ্রাম অফিসার (যক্ষ্মা-কুষ্ঠ) মো. শহীদুল্লাহ্ প্রমূখ।
ক্লাইমেট চেইঞ্জ এন্ড হেলথ প্রোজেক্ট অফিসার মাহমুদুল হাসান’র সঞ্চালনায় সভায় সরকারি স্বাস্থ্য সহকারি, এনজিও প্রতিনিধি ধর্মীয় প্রতিনিধি, শিক্ষক ও কমিউনিটি সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।