ক্ষমতার ভাগবাটোয়ায় ছাড়া তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি, বিএনপির উদ্দেশ্যে
Published: 12th, July 2025 GMT
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘‘তারা ভেবেছিল ২-৩টা আসন দেখিয়ে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার লোভ দেখিয়ে, তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কিনে নেবে। কিন্তু যারা বিপ্লবের শক্তি, যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে, তাদের কেনার সাধ্য বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের হয় নাই।’’
শনিবার দুপুর ১টায় সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়ে শহীদ আসিফ চত্বরে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে নাহিদ বলেন, ‘‘৫ আগস্ট আমরা দরজা খুলে দিয়ে বলেছিলাম আসুন জাতীয় সরকার গঠন করি, দেশ পুনর্গঠন করি। সকল বিভাজন সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলি। কিন্তু তারা আমাদের সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি। তারা বলেছিল ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে, আবার বলেছে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। ক্ষমতার ভাগবাটোয়ায় ছাড়া দেশ সংস্কারে তাদের কোনো সমর্থন পাওয়া যায়নি।’’
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরাবাসী অতীতেও সোচ্চার ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। চাঁদাবাজ নির্মূলে গ্রামে গ্রামে, পাড়া মহল্লায় কমিটি গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সাতক্ষীরা জেলার সমম্বয়ক কামরুজ্জামান বুলুর সভাপতিত্বে পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল ও চিকিৎসক তাসনীম জারা। মঞ্চে শ্লোগান দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
পথসভার আগে শহীদ আসিফ চত্বর এলাকায় জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির নেতারা। পরে একটি পদযাত্রা শহীদ আসিফ চত্বর থেকে বের হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে শেষ হয়। এরপর নিউমার্কেট এলাকায় আল-বারাকা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা/শাহীন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বস্তিতে টিভি দেখার সহজ সমাধান: ওএলইডি গ্লেয়ার–ফ্রি ডিসপ্লে
কর্মব্যস্ত এই জীবনে দিনের শেষে একটু স্বস্তি পেতে যে যার মতো বসে যাই টিভির সামনে পছন্দের সিরিজ কিংবা সিনেমা দেখতে। প্রিয় সিনেমা, নাটক বা লাইভ স্পোর্টস—মোবাইল কিংবা ল্যাপটপে দেখার চেয়ে টিভির বড় স্ক্রিনে দেখার যে আলাদা আনন্দ রয়েছে, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সবাই মিলে টিভিতে পছন্দের কিছু দেখতে বসে যদি ঠিকঠাক আয়েশ করে দেখাই না যায়, তবে সব আনন্দই যেন মাটি হয়ে যায়। আর মুভি দেখার সময় যদি আলোর প্রতিফলন বা গ্লেয়ার পড়ে, তাহলে তো আর কথাই নেই। জানালার রোদ কিংবা ঘরের বাতির আলো স্ক্রিনে প্রতিফলিত হয়ে ছবি অস্পষ্ট করে তোলে, চোখে অস্বস্তি বোধ হয়, এমনকি দীর্ঘ সময় দেখলে চোখে ব্যথা বা ক্লান্তিও আসে। বিশেষ করে উজ্জ্বল আলোয় বা দিনের বেলায় টিভি দেখার সময় এই সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।
গ্লেয়ার কেন হয়
টিভির স্ক্রিন সাধারণত কাচের প্যানেল। স্বাভাবিকভাবে এটি আশপাশের পরিবেশের আলোকে প্রতিফলিত করে। জানালা, টিউবলাইট বা টেবিল ল্যাম্প—যেখান থেকেই আলো আসুক, তার একাংশ ফিরে আসে টেলিভিশনের স্ক্রিনের দিকে। এতে ভিজ্যুয়াল স্পষ্টতা কমে, রং ফ্যাকাশে লাগে, কনট্রাস্ট নেমে যায়। চোখকে বারবার ফোকাস ঠিক রাখতে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়—ফলে অস্বস্তি বেড়ে যায়।
গ্লেয়ার-ফ্রি ডিসপ্লের উদ্ভাবন
প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে চলে এসেছে টেলিভিশনের স্ক্রিনে আলোর প্রতিফলনের সমস্যার নতুন সমাধান। বর্তমান সময়ের ওএলইডি টিভিগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে গ্লেয়ার-ফ্রি ডিসপ্লে প্রযুক্তি। স্যামসাং এস৯৫এফ ওএলইডি টিভি সিরিজ এই প্রযুক্তির একটি অন্যতম উদাহরণ। গ্লেয়ার-ফ্রি টেকনোলজির ফলে সরাসরি রোদ বা ঘরের উজ্জ্বল আলোতেও স্ক্রিনে কোনো ঝলক পড়ে না। এই প্রযুক্তিতে প্রতিটি পিক্সেল নিজে থেকেই আলো নিঃসরণ করে। যার জন্য আলাদা ব্যাকলাইটের প্রয়োজন পড়ে না। এর ফলে পাওয়া যায় সঠিক কালার, উচ্চ কনট্রাস্ট ও প্রাণবন্ত ছবি। এ ছাড়া গ্লেয়ার-ফ্রি ওএলইডি ডিসপ্লের অতিরিক্ত সুবিধা হলো, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশেষ অ্যান্টিরিফ্লেকশন লেয়ার, যা বাহ্যিক আলোর প্রতিফলন উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। এই প্রযুক্তি চারপাশের আলো শোষণ করে ছবির গভীরতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখে, ফলে যেকোনো আলোয় পাওয়া যায় স্পষ্ট ও আরামদায়ক ‘ভিউয়িং এক্সপেরিয়েন্স’।
গ্লেয়ার-ফ্রি প্রযুক্তির কারণে এখন যেকোনো আলোয় টিভিতে যেকোনো প্রোগ্রাম দেখা আর অস্বস্তিকর নয়