ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ লাকি ৭.৭ প্রচারণা ঘোষণা করেছে। চলতি উৎসবে ‘লাক ফেভারস দ্য ফাস্ট’ থিমে ১৫ জুলাই প্রচারণা শেষ হবে। ফ্ল্যাশ সেলে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়; ভাউচার, ফ্রি ডেলিভারি ও পুরস্কার জেতার সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা। এতে গ্রাহক বিশেষ মূল্যে পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন। অফারে ৭ টাকায় ওভেন, ৭৭ টাকায় এয়ার ফ্রায়ার আর ৭৭৭ টাকায় গুগল টিভি জেতার সুযোগ থাকবে, যা স্টক থাকা সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে। গ্রাহক ৩৯৯ টাকার বেশি অর্ডারে পাবেন ফ্রি ডেলিভারি।
ইলেকট্রনিকস, ফ্যাশন, বিউটি ও পার্সোনাল কেয়ার, গ্রোসারি, মাদার অ্যান্ড বেবি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, মোবাইল অ্যাকসেসরিজ, হোম ডেকর ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় হাজারো পণ্যে সেরা ডিল পাবেন গ্রাহক। দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস (রুশো) প্রচারণা প্রসঙ্গে জানালেন, লাকি ৭.
ক্যাম্পেইনের সার্বক্ষণিক আপডেট, ফ্ল্যাশ ড্রপ, প্রতিযোগিতার ফল জানতে আগ্রহীরা অ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়ার সব চ্যানেল ফলো করতে
পারেন বলে উদ্যোক্তারা জানায়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব-পার্বণে ডিজিটাল লেনদেন বেশি
বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমে যে পরিমাণ লেনদেন হচ্ছে, তার আড়াই গুণ বেশি হয় নগদ টাকায়। তবে উৎসবে-পার্বণে ডিজিটাল লেনদেন বেশি হচ্ছে। দেশের লেনদেনব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ পেমেন্ট সিস্টেমস রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে নগদ ও ডিজিটাল মাধ্যমে সব মিলিয়ে ২৬ লাখ ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা।
২০২৩ সালে ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন হয় ৩৬ কোটি ৬৭ লাখ বার, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ৪০ কোটি ৩১ লাখ বার। এই মাধ্যমে ২০২৩ সালে লেনদেন হয় ৭ লাখ ৫১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ২০২৩ সালে নগদে লেনদেন হয় ৩৪ কোটি ৬২ লাখ বার, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ৪৫ কোটি ৪৯ লাখ বার। ২০২৩ সালে নগদে লেনদেন হয় ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকার, যা গত বছর বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
নগদ লেনদেন হলো চেক ও ভাউচারের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা। আর ডিজিটাল লেনদেন হলো স্বয়ংক্রিয় চেক নিষ্পত্তি ব্যবস্থা, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের মাধ্যমে লেনদেন, আন্তব্যাংক অর্থ স্থানান্তর ব্যবস্থা, বিনিময় প্ল্যাটফর্ম ও মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস), কিউআর কোডের মাধ্যম লেনদেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষ ছোট ও মাঝারি মূল্যের অর্থ প্রদানে ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করলেও বড় অঙ্কের লেনদেনের জন্য এখনো নগদ, চেক ও কাউন্টার পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। যদিও ২০২৪ সালের এপ্রিল ও জুন মাসে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ বেশি ছিল, মোট লেনদেনের ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত। ওই সময়ে ঈদ উৎসব, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও বিভিন্ন বিক্রয় ক্যাম্পেইনের কারণে লেনদেন বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে ডিসেম্বর মাসে ডিজিটাল লেনদেনের হিস্যা কমে ৪৭ শতাংশে। মূলত বছর শেষে নগদ উত্তোলন ও হিসাব নিষ্পত্তির কারণে নগদ লেনদেন বেড়ে যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ অটোমেটেড চেক প্রসেসিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ ৪২ হাজার চেক নিষ্পত্তি হয়েছে, যার মোট মূল্য প্রায় ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৪০ লাখ বার লেনদেন সম্পন্ন হয়, যার মোট মূল্য ২৭ লাখ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আর্থিক হিসাবে ইন্টার ব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার লেনদেন ৮০ শতাংশ। বিনিময় প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারও গত বছরের জুলাইয়ের পর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) খাতে ২০২৪ সালে ৭৩০ কোটি বার লেনদেন হয়, যার মূল্য ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাশলেস বা নগদবিহীন বাংলাদেশ উদ্যোগের আওতায় বাংলা কিউআর লেনদেনে ১০৪ শতাংশ বা টাকার হিসাবে ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ও ডিজিটাল হাটের ব্যবহার শুরু হয়েছে। পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম অ্যাক্ট, ২০২৪ প্রবর্তনের মাধ্যমে পেমেন্ট রেগুলেশনের আইনি ভিত্তি আরও দৃঢ় হয়েছে।