কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কয়েক মাসের উত্তেজনা বৃহস্পতিবার সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নিয়েছে। এই সংঘাতে থাইল্যান্ড এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করেছে। দুই দেশের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাতকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াই বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং অস্ত্রাগারের একটি বিবরণ দিয়েছে।

বাজেট ও স্থলবাহিনী: ২০২৪ সালে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল ১৩০ কোটি ডলার এবং এর সক্রিয় সামরিক কর্মী ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ জন। ১৯৯৩ সালে দেশটির সাবেক কমিউনিস্ট সামরিক বাহিনী এবং দুটি অন্যান্য প্রতিরোধ বাহিনীর একীভূতকরণের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৭৫ হাজার। সেনাবাহিনীর কাছে দুই শতাধিক যুদ্ধ ট্যাঙ্ক এবং প্রায় ৪৮০টি কামান রয়েছে।

অপরদিকে, থাইল্যান্ডকে ন্যাটো জোটের বাইরের মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বাজেট ২০২৪ সালে ছিল ৫৭৩ কোটি ডলারের। দেশটির সক্রিয় সামরিক কর্মীর সদস্য সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। এদের মধ্যে থাই সেনাবাহিনীতে মোট ২ লাখ ৪৫ হাজার কর্মী রয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রায় ৪০০ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক,  হাজার ২০০ টিরও বেশি সাঁজোয়া যান এবং প্রায় ২ হাজার ৬০০ কামান রয়েছে।

বিমান বাহিনী: কম্বোডিয়ার বিমান বাহিনীতে ১ হাজার ৫০০ জন কর্মী রয়েছে। বাহিনীটিতে তুলনামূলকভাবে ছোট বিমান বহর রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১০টি পরিবহন বিমান এবং ১০টি পরিবহন হেলিকপ্টার। কম্বোডিয়ার কোনো যুদ্ধবিমান নেই। তবে তাদের ১৬টি বহুমুখী হেলিকপ্টার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সোভিয়েত যুগের ছয়টি এমআই-১৭ এবং ১০টি চীনা জেড-৯।

অপরদিকে, থাইল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেরা সজ্জিত এবং প্রশিক্ষিত বিমান বাহিনীগুলির মধ্যে একটি রয়েছে। বিমানবাহিনীতে প্রায় ৪৬ হাজার কর্মী, ২৮টি এফ-১৬ এবং ১১টি সুইডিশ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সহ ১১২টি যুদ্ধবিমান এবং কয়েক ডজন হেলিকপ্টার রয়েছে।

নৌবাহিনী: কম্বোডিয়ার নৌবাহিনীর প্রায় ২ হাজার ৮০০ কর্মী রয়েছে। দেশটির ১৩টি টহল এবং উপকূলীয় যুদ্ধ জাহাজ এবং একটি উভচর জাহাজ রয়েছে।
অপরদিকে, থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী অনেক বড়, প্রায় ৭০,০০০ কর্মী রয়েছে। দেশটির এর একটি বিমানবাহী রণতরী, সাতটি ফ্রিগেট এবং ৬৮টি টহল ও উপকূলীয় যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে। থাই নৌবহরে রয়েছে মুষ্টিমেয় উভচর জাহাজ রয়েছে।

থাইল্যান্ডের নৌ বিমান বিভাগের নিজস্ব বিমান বহর রয়েছে, যার মধ্যে হেলিকপ্টার এবং ইউএভি রয়েছে। এছাড়াও একটি মেরিন কর্পস রয়েছে যার ২৩ হাজার  কর্মী রয়েছে এবং তাদের সমর্থনে কয়েক ডজন সশস্ত্র যুদ্ধ যান রয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ব ড য দ শট র

এছাড়াও পড়ুন:

বড় লোকসানে আইএফআইসি ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক

পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৪) ও নয় মাসের (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য নয় মাসের প্রান্তিকে ব্যাংক দুটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা থেকে বড় লোকসানে নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (২৯ অক্টোবর) কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

আইএফআইসি ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৩.৫৩) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.০৪ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি শেয়ারপ্রতি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে।

এছাড়া, চলতি হিসাববছরের নয় মাস বা তিন প্রান্তিক মিলে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৯.৪০) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৩৬ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে এ কোম্পানি শেয়ারপ্রতি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে।

২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮.৯১ টাকা।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১০.৯৪) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.৩৬) টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ১০.৫৮ টাকা বা ২৯৩৮.৮৯ শতাংশ।

এছাড়া, চলতি হিসাববছরের নয় মাস বা তিন প্রান্তিক মিলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১৫.২৮) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.১৪ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে।

২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২.৮৭ টাকা।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
  • নজরুল ইসলাম মজুমদারকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ
  • বড় লোকসানে আইএফআইসি ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক