সত্যি বলতে, এই প্রশ্নের সোজাসাপ্টা কোনো উত্তর নেই। ইতিহাসবিদেরা এর কোনো নির্দিষ্ট কারণ বের করতে পারেননি। ফুটবলের নিয়মকানুন ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব মেনে তৈরি হয়নি।
ফুটবলের প্রথম স্বীকৃত নিয়মকানুন প্রকাশ করেন ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) প্রথম মহাসচিব এবেনেজার কব মর্লি, ১৮৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হলো, তাতে ম্যাচের সময়সীমা বা একটি দলে কয়জন খেলোয়াড় থাকবে, সেসবের কোনো উল্লেখই ছিল না।
১৮৫০ ও ১৮৬০-এর দশকে ইংল্যান্ডের শেফিল্ড ছিল বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ফুটবল শহর। বিশ্বের প্রাচীনতম ক্লাব শেফিল্ড এফসি গঠিত হয় ১৮৫৭ সালের ২৪ অক্টোবর। এক বছর পরই এই ক্লাব ‘শেফিল্ড রুলস’ নামে ফুটবলের কিছু নিয়মকানুন প্রকাশ করে, কিন্তু সেখানেও ম্যাচের সময়সীমা বা খেলোয়াড়ের সংখ্যা নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল না।
ফুটবলের ইতিহাস নিয়ে ইতিহাসবিদ অ্যাড্রিয়ান হার্ভি লিখেছেন তাঁর গবেষণাগ্রন্থ ‘ফুটবল: দ্য ফার্স্ট হানড্রেড ইয়ারস’.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।