Risingbd:
2025-08-03@07:25:51 GMT

কমেডিয়ান মদন মারা গেছেন

Published: 3rd, August 2025 GMT

কমেডিয়ান মদন মারা গেছেন

তামিল সিনেমার বরেণ্য কমেডিয়ান মদন বব মারা গেছেন। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকালে চেন্নাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই তারকা। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। 

এনডিটিভ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন মদন বব। গতকাল চেন্নাইয়ের আদিয়ার বাসায় মারা যান এই অভিনেতা। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। 

১৯৫৩ সালের ১৯ অক্টোবর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন মদন বব। তার আসল নাম এস.

কৃষ্ণামুর্তি। ক্যারিয়ারের শুরুতে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি। মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবেও কাজ করেছেন। সংগীত জগতে কাজের সুযোগের জন্য এ চাকরি ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে সংগীত অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপনের গান, নাটক, রেডিও বিজ্ঞাপন এবং সিরিয়ালে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে চেন্নাইয়ে ‘দূরদর্শন’ কার্যক্রম শুরু করে, তখন চ্যানেলে গিটার বাজানো প্রথম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন মদন। 

আরো পড়ুন:

‘দ্য কেরালা স্টোরি কেরালাবাসীর জন্য চূড়ান্ত অবমাননাকর’

জুনিয়র এনটিআর কত কোটি টাকার মালিক?

১৯৮৪ সালে তামিল ভাষার ‘নীনগাল কেট্টাভি’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। তারপর প্রায় ২০০ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। পার্শ্ব এবং হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয় করতেন মদন। তামিল ছাড়াও মালায়ালাম, তেলেগু ও হিন্দি ভাষার সিনেমায়ও দেখা গেছে তাকে। কমল হাসান, রজনীকান্ত, অজিত, সুরিয়া, বিজয়ের মতো তারকাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেতা।  

মদন অভিনীত সিনেমার উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো— ‘তেনালি’ সিনেমায় ‘ডায়মন্ড বাবু’, ‘ফ্রেন্ডস’ সিনেমায় ম্যানেজার সুন্দরেষন প্রভৃতি। তার অনন্য অভিনয়শৈলী, তার ফুলে ওঠা চোখ, প্রাণবন্ত মুখের অভিব্যক্তি এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া দর্শকদের বিমোহিত করেছে।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন মদন

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় হাতুড়িপেটা, আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু

মামলা তুলে না নেওয়ায় এবং দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বগুড়ার শাজাহানপুরে আল-আমিন (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে হাতুড়িপেটা করা হলে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা গেছেন। শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে গত ২৮ জুলাই তার উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। 

নিহত আল-আমিন শাজাহানপুর উপজেলার ভাদাইকান্দি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে। তিনি বগুড়া সদরে নিউ মার্কেটে প্রসাধনীর ব্যবসা করতেন।

নিহতের স্বজনেরা জানান, দেড় বছর ধরে প্রতিবেশী নূরুল ইসলাম, আবু হোসেন ও ফজলুল হক আল-আমিনের এক একর কৃষিজমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে দুই দফা হামলার শিকার হন তিনি এবং তার পরিবার। প্রতিবারই থানায় মামলা করেন আল-আমিন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তরা সম্প্রতি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আল-আমিনের ওপর হামলা চালানো হয়। হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় তাকে। এ সময় তার বাবা আফসার আলীও আহত হন। এবং তার কাছ থেকে সোয়া এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ঘটনার পর নিহতের পরিবার ৩০ জুলাই শাজাহানপুর থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ  শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
 

ঢাকা/এনাম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ