২ দিনের মধ্যে চাকসুর তফসিল ঘোষণা না করলে চবি শাটডাউনের হুঁশিয়ারি
Published: 3rd, August 2025 GMT
আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে চাকসুর তফসিল ঘোষণা না করলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাটডাউন এবং আমরণ অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাখা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ৩টায় চাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন পরিষেদের চবি শাখার সভাপতি তামজিদ উদ্দিন।
তামজিদ উদ্দিন বলেন, “সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সান্ধ্যকালীন আইন জারি করে শিক্ষার্থীদের ভিন্ন দিকে মোড় ঘুরানোর চেষ্টা করছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে চাকসুর তফসিল ঘোষণা না করা হলে আমরা আমরণ অনশনে বসব এবং ক্যাম্পাস শাটডাউনে যাব। চাকসুতে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে আমরা একক প্যানেল দেব। সে অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চলছে।”
আরো পড়ুন:
রাবির সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’র অভিযোগ
শ্বাসরোধে ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু: ভিসেরা রিপোর্ট
তিনি বলেন, “চাকসু না হওয়ার পেছনে প্রশাসনের স্পষ্ট ব্যর্থতা দেখা গেছে। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিড ধারণ করতে পারেনি। ঘটা করে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা চালু করলেও কার্যত তা অচল হয়ে আছে। হলগুলোতে নিম্নমানের খাবার, রয়ে গেছে পূর্বের সিন্ডিকেট। শাটল ট্রেনের সংস্কারও করা হয়নি, বরং শিডিউল বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। অনলাইনে সনদ নেওয়ার কথা জানালেও আজ পর্যন্ত কেউ সে সুবিধা পায়নি।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হানিফ, সদস্য সচিব রোমান রহমান, যুগ্ম-সদস্য সচিব মো.
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।