আল-আকসায় ঢুকে প্রার্থনা করলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
Published: 3rd, August 2025 GMT
মুসলিম কর্তৃপক্ষের সাথে কয়েক দশক ধরে চলা ‘স্থিতাবস্থা’ ব্যবস্থার অধীনে আল-আকসা প্রাঙ্গণটি জর্ডানের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ইহুদিরা সেখানে যেতে পারে কিন্তু সেখানে প্রার্থনা করতে পারে না।
টেম্পল মাউন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামে একটি ছোট ইহুদি সংগঠন প্রকাশিত ভিডিওতে বেন-গাভিরকে প্রাঙ্গণে হেঁটে একটি দলকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। অনলাইনে প্রচারিত অন্যান্য ভিডিওতে তাকে আল-আকসায় প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত এই প্রাঙ্গণ পরিদর্শনটি তিশা বাভের দিনে হয়েছিল, যা শতাব্দী আগে এই স্থানে অবস্থিত দুটি প্রাচীন ইহুদি মন্দির ধ্বংসের শোক দিবস।
রয়টার্স জানিয়েছে, আল-আকসা পরিদর্শনের সময় বেন গাভিরের সঙ্গে অন্তত এক হাজার ৫০ জন ইহুদি ছিল।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের বারবার উস্কানিমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সৌদি সরকার নিশ্চিত করে যে এই ধরনের আচরণ এই অঞ্চলে সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তোলে।”
বেন-গাভির এর আগেও আন্তর্জাতিক নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আল-আকসায় প্রবেশ করেছিলেন।
রবিবার তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি গাজা যুদ্ধে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিজয় এবং সেখানে জঙ্গিদের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি ইসরায়েলকে পুরো ছিটমহলটি দখল করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল আকস ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।
এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।
এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।
সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।
শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।
পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’