মুসলিম কর্তৃপক্ষের সাথে কয়েক দশক ধরে চলা ‘স্থিতাবস্থা’ ব্যবস্থার অধীনে আল-আকসা প্রাঙ্গণটি জর্ডানের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ইহুদিরা সেখানে যেতে পারে কিন্তু সেখানে প্রার্থনা করতে পারে না।

টেম্পল মাউন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামে একটি ছোট ইহুদি সংগঠন প্রকাশিত ভিডিওতে বেন-গাভিরকে প্রাঙ্গণে হেঁটে একটি দলকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। অনলাইনে প্রচারিত অন্যান্য ভিডিওতে তাকে আল-আকসায় প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত এই প্রাঙ্গণ পরিদর্শনটি তিশা বাভের দিনে হয়েছিল, যা শতাব্দী আগে এই স্থানে অবস্থিত দুটি প্রাচীন ইহুদি মন্দির ধ্বংসের শোক দিবস।

রয়টার্স জানিয়েছে, আল-আকসা পরিদর্শনের সময় বেন গাভিরের সঙ্গে অন্তত এক হাজার ৫০ জন ইহুদি ছিল।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের বারবার উস্কানিমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সৌদি সরকার নিশ্চিত করে যে এই ধরনের আচরণ এই অঞ্চলে সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তোলে।”

বেন-গাভির এর আগেও আন্তর্জাতিক নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আল-আকসায় প্রবেশ করেছিলেন।
 
রবিবার তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি গাজা যুদ্ধে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিজয় এবং সেখানে জঙ্গিদের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি ইসরায়েলকে পুরো ছিটমহলটি দখল করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল আকস ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

জবি রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রেজিস্ট্রারের অসদাচরণ ও শিক্ষককে অপমান করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার গদি ছাড়’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

২ দিনের মধ্যে চাকসুর তফসিল ঘোষণা না করলে চবি শাটডাউনের হুঁশিয়ারি

রাবির সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’র অভিযোগ

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমরা কোনো যৌক্তিক প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে সহানুভূতির পরিবর্তে তিনি অপমানজনক ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন আচরণ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমনকি আমাদের বিভাগের স্যারের সঙ্গেও একই রকম অসদাচরণ করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, জুলাই পরবর্তী সময়ে এ ধরনের স্বৈরাচারী আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।”

একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা তিনি এখন ক্ষেপে যাওয়া বাছুরের মতো আচরণ করছেন। তিনি যদি ক্ষেপতেই চান, তাহলে মাঠে যাক। স্বৈরাচারের দোসরদের ঠিকানা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষক ইউজিসি ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়ার পর শর্ত অনুযায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর নিতে গেলে অপমানজনক আচরণের শিকার হন। স্বাক্ষর দিতে গড়িমসি, লাঞ্চের অজুহাত দেখিয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়া এবং দ্রুত চাইলে আরো দেরি হবে বলে মন্তব্য করে শিক্ষককে বারবার হয়রানি করেন রেজিস্ট্রার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে অপমান করা মানে পুরো শিক্ষার্থী সমাজকেই অসম্মান করা উল্লেখ করে তারা দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জবি রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা
  • দুর্ঘটনা-দুর্যোগের পর শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কী করা উচিত
  • ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আবার নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে
  • ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ
  • গাজায় ত্রাণ নেওয়ার কয়েক মিনিট পর হত্যা করা হয় ক্ষুধার্ত শিশুটিকে: সাবেক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা
  • থানা হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা: আইজিপি