2025-08-10@21:22:40 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10
«আল আকস»:
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইসরায়েলের কট্টরপন্থী নেতা ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রকাশ্য প্রার্থনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত রোববার কয়েক শ ইহুদি বসতিস্থাপনকারী তাঁর সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেয়। তাঁরা কড়া পুলিশি পাহারায় উচ্চস্বরে ইহুদি রীতি অনুযায়ী প্রার্থনা করেন। এ সময় তাঁরা মুসলিমদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেন।মিডল ইস্ট আই এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও দেখেছে। ভিডিওতে শত শত বসতিস্থাপনকারীকে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে অনুপ্রবেশ করতে দেখা গেছে। এ সময় কিছু লোককে নাচতে ও হৈহুল্লোড় করতে দেখা যায়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন করে।ইসরায়েলের দখলে থাকা পূর্ব জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে মেনে আসা হচ্ছিল। যদিও ইহুদি গোষ্ঠীগুলো গত শতকে বারবার এই ভঙ্গুর ব্যবস্থাপনা লঙ্ঘন করেছে। শুধু তাই নয়, ইসলাম ধর্মের অন্যতম...
মুসলিম কর্তৃপক্ষের সাথে কয়েক দশক ধরে চলা ‘স্থিতাবস্থা’ ব্যবস্থার অধীনে আল-আকসা প্রাঙ্গণটি জর্ডানের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ইহুদিরা সেখানে যেতে পারে কিন্তু সেখানে প্রার্থনা করতে পারে না। টেম্পল মাউন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামে একটি ছোট ইহুদি সংগঠন প্রকাশিত ভিডিওতে বেন-গাভিরকে প্রাঙ্গণে হেঁটে একটি দলকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। অনলাইনে প্রচারিত অন্যান্য ভিডিওতে তাকে আল-আকসায় প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত এই প্রাঙ্গণ পরিদর্শনটি তিশা বাভের দিনে হয়েছিল, যা শতাব্দী আগে এই স্থানে অবস্থিত দুটি প্রাচীন ইহুদি মন্দির ধ্বংসের শোক দিবস। রয়টার্স জানিয়েছে, আল-আকসা পরিদর্শনের সময় বেন গাভিরের সঙ্গে অন্তত এক হাজার ৫০ জন ইহুদি ছিল। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের বারবার উস্কানিমূলক...
ফের জোরপূর্বক পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেছে শত শত অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। বুধবার (২৫ জুন) মসজিদ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এ খবর জানিয়েছে। জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্ট বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর সুরক্ষায় ২১৭ জন অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী পবিত্র স্থানে প্রবেশ করে। স্থানীয় অধিকার গোষ্ঠী ওয়াদি হিলওয়েহ ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, ১২৪ জন বসতি স্থাপনকারী সকালে মসজিদে জোরপূর্বক প্রবেশ করে এবং ৯৩ জন বিকেলের দিকে সেখানে প্রবেশ করে। আরো পড়ুন: জর্ডান উপত্যকায় মহড়া চালাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিচার বাতিল করার আহ্বান ট্রাম্পের ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর সুরক্ষায় বসতি স্থাপনকারীরা মসজিদ প্রাঙ্গনে উস্কানিমূলক তালমুদিক আচার-অনুষ্ঠান পালন করেছে। এটি ইহুদিদের ‘সাপ্তাহিক উৎসব’ নামেও পরিচিত। ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণের...
জেরুজালেমে গতকাল সোমবার কট্টর ডানপন্থী ইসরায়েলিরা পবিত্র আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণ ও জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) একটি কার্যালয়ে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ঢুকে পড়েন। জেরুজালেম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মিছিল থেকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানকার ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালানো হয়।জেরুজালেমের পুরোনো শহরের অলিগলি ও মুসলিম–অধ্যুষিত এলাকার ভেতর দিয়ে মিছিল করার সময় কিছু ইসরায়েলি ‘আরবদের মৃত্যু হোক’ ও ‘তোমাদের গ্রাম জ্বলে যাক’ বলে স্লোগান দেন।আল–জাজিরার সংবাদদাতা নিদা ইব্রাহিম বলেন, এই মিছিলের লক্ষ্য হলো শহরের ওপর ইসরায়েলি আধিপত্য জাহির করা। তিনি বলেন, বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, জেরুজালেমের পুরোনো শহরের ভেতরে ইসরায়েলি নাগরিকেরা ফিলিস্তিনিদের দোকানে হামলা চালাচ্ছেন এবং তাঁদের দিকে বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে মারছেন।১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে। তখন থেকে শহরটি ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রতিবছর ইসরায়েলে ২৬ মে জেরুজালেম দিবস হিসেবে...
জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ ও গম্বুজ আল-সাখরাকে বোমা মেরে ধ্বংস করার হুমকি দেওয়া চরমপন্থি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের বক্তব্যের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। একই সঙ্গে পবিত্র শনিবার উদযাপনের সময় খ্রিস্টানদের ওপর পুলিশি হামলারও নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পবিত্র শনিবারে জেরুজালেমে খ্রিস্টানদের গির্জায় প্রবেশে বাধা দেওয়া এবং তাদের ওপর শারীরিক হামলার যে ঘটনা ইসরায়েল ঘটিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করে আমিরাত। বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের দমনমূলক কাজের ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে এবং এগুলো আরো উত্তেজনা ও অস্থিরতা তৈরি করছে। আমিরাত বলেছে, ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের সব পবিত্র স্থানের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি এবং আল-হারাম আল-শরিফ এলাকায় যেসব উসকানিমূলক ও গুরুতর লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, তা বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে এই উত্তেজনা বন্ধ করার দায়িত্ব...
এক হাজারের বেশি ইহুদি পুর্ণ্যার্থীকে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। একই সময়ে একেকটি দলে ১৮০ জন ইহুদি পবিত্র স্থানটিতে ঢুকতে পারবেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মসজিদে প্রবেশে এটি সংখ্যার দিক থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় মসজিদ চত্বরে ইহুদিদের ঢুকতে দেখা যায়। ইহুদিদের কাছে এই স্থান ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত।এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইসরায়েল একসঙ্গে ৩০ জনের বেশি ইসরায়েলি ইহুদিকে ঢুকতে না দেওয়ার পুরোনো নীতি থেকে থেকে সরে এসেছে। ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল এ স্থান দখল করে নেয়। এটি আন্তর্জাতিকভাবে দখলকৃত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত।আল-আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছে ইসলামিক ওয়াক্ফ। সংস্থাটি জানায়, গত বুধবার ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ইহুদি মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করেন। গত সপ্তাহের সাপ্তাহিক ছুটি থেকেই ইহুদিদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘পাসওভারের’ ছুটি শুরু হয়। পাসওভারের ছুটি শুরুর...
দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদের কমপ্লেক্সে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সাত শতাধিক অবৈধ ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারী তাণ্ডব চালিয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। আজ সোমবারের এই হামলা ছিল ইহুদি ধর্মীয় উৎসব পাসওভারের দ্বিতীয় দিনের অংশ হিসেবে সংগঠিত তাণ্ডব। এক বিবৃতিতে জেরুজালেমের গভর্নরেট এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনীর ভারী উপস্থিতিতে এই তাণ্ডব হয়েছে। ইহুদি বসতিরা সেখানে প্রবেশের সময় মসজিদের কমপ্লেক্সে ইসরায়েলি পুলিশ মোতায়েন ছিল। আরো পড়ুন: গাজা সিটির একমাত্র সচল হাসপাতালে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চোখের জলে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি কামনায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সমাপ্ত এর আগের দিন রবিবারও (পাসওভারের প্রথম দিনে) প্রায় ৫০০ জন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী একইভাবে আল-আকসায় প্রবেশ করে ও তাণ্ডব চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,...
মসজিদুল আকসা বা আল কুদস ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত। এটি বায়তুল মুকাদ্দাস নামে পরিচিত। কুদস অর্থ পবিত্র। বায়তুল মুকাদ্দাস তথা মসজিদুল আকসা মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত। প্রিয় নবীজি (সা.) মিরাজের রাতে প্রথমে মসজিদুল হারাম (কাবা শরিফ) থেকে মসজিদুল আকসা তথা বায়তুল মুকাদ্দাস সফর করেন। (সুরা ইসরা, আয়াত ১)হজরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজ গমনের সময় মসজিদুল আকসায় সব নবী-রাসুলের ইমামতি করে নামাজ আদায় করেন। এতে তিনি ইমামুল আম্বিয়া (সব নবীর ইমাম) ও সাইয়্যিদুল মুরসালিন (সব রাসুলের নেতা) হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। ফিলিস্তিনে বহু নবী-রাসুলের স্মৃতি রয়েছে, এর আশপাশে অনেক নবী-রাসুলের সমাধি রয়েছে। এটি দীর্ঘকালের ওহি অবতরণের স্থান, ইসলামের কেন্দ্র এবং ইসলামি সংস্কৃতির উৎসভূমি ও ইসলাম প্রচারের লালনক্ষেত্র। এই পবিত্র ভূমির ভালোবাসা প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত রয়েছে।হজরত ইব্রাহিম (আ.) কর্তৃক কাবাঘর নির্মাণের ৪০...
‘আল কুদস’ ফিলিস্তিনের রাজধানী। এটা মুসলিমদের প্রিয় ভূখণ্ড। এখানে মসজিদে আকসা অবস্থিত, যা মুসলিমদের প্রথম কিবলা ও তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। কোরআন মাজিদে এটিকে পবিত্র ও বরকতপূর্ণ ভূমি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নবী-রাসুলদের মধ্যে ইব্রাহিম, মুসা, ঈসা (আ.)-সহ অনেকে এখানে প্রেরিত হন। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রজনীতে মসজিদে আকসায় ভ্রমণ করেন। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন: ‘পবিত্র মহিমাময় তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করালেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। যার আশপাশে আমি বরকত দান করেছি। যেন আমি তাঁকে আমার নিদর্শনাবলি দেখাতে পারি।’ সূরা ইসরা: ১ ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘আল কুদস’ বা ফিলিস্তিনের পবিত্র নগরী এশিয়া ও আফ্রিকার সংযোগস্থলে অবস্থিত। এর গৌরবময় সভ্যতা, সোনালি ইতিহাস এবং ধর্মীয় লীলাভূমির কারণে এটি মুসলিম, খ্রিষ্টান, ইহুদি– সবার কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে পরিগণিত। মুসলমানদের কাছে...
রমজান মাসে জেরুজালেমের পুরাতন নগরীর আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার। খবর আনাদোলু এজেন্সির। গত বছর গাজার যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েল আল-আকসায় প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, বিশেষ করে পশ্চিম তীর থেকে আসা ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে। ডেভিড মেনসার বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে প্রতি বছরের মতোই স্বাভাবিক বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। নিরাপত্তার অজুহাতে এবারও প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হতে পারে। গত বছর শুধু ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে জেরুজালেমের পুরাতন শহরজুড়ে ইসরায়েলি পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এই বছরও সতর্কতা অবলম্বনের ইঙ্গিত দিয়ে মেনসার বলেন, সহিংসতা ও উসকানির যে কোনো চেষ্টাকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিহত করব। তবে তিনি ঠিক কী...