ঝুম বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি, পোলাও কিংবা সাদা ভাতের সঙ্গে  দুই, তিন টুকরা মুচমুচে বেগুন ভাজা পেলে  খাবারটা বেশ উপভোগ্য হয়। কিন্তু সমস্যা হলো বেগুন ভাজার পরেই নেতিয়ে যায়। আপনি চাইলে বেগুন ভাজার সময় একটি নিয়ম মানতে পারেন এতে বেগুন ভাজার পরে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মুচমুচে থাকবে।

উপকরণ

বেগুন: ১টি

আরো পড়ুন:

রবীন্দ্রনাথের প্রিয় রেসিপি ‘চিংড়ি মালাইকারি’

আপেল দিয়ে চা বানিয়েছেন? তিন ধাপে বানিয়ে নিন আপেলের চা

চালের গুঁড়া: আধা কাপ

হলুদ গুঁড়া: ১ চা চামচ

মরিচ গুঁড়া: ১ চা চামচ

জিরা গুঁড়া: আধা চা চামচ

লবণ: পরিমাণ মতো

তেল: প্রয়োজন মতো

প্রথম ধাপ

শুরুতে বেগুন গোল কিংবা লম্বা করে কেটে নিন। তারপর কিছুক্ষণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে বেগুন ভাজার পরেও রং কালো হবে না। এবং সহজে এর ভেতরে লবণ ও অন্যান্য মসলা ঢুকবে। এবার বেগুনের টুকরাগুলো থেকে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বেগুনের টুকরার এপিঠ ওপিঠে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ

এবার প্যানে তেল দিয়ে ভালোভাবে গরম করুন। এতে বেগুনের টুকরাগুলো দিন। এবার অল্প আঁচে এপিঠ ওপিঠ উল্টে ভেজে নিন।

তৃতীয় ধাপ

বেগুনের রং লালচে হয়ে এলে নামিয়ে কিচেন টিস্যুর ওপর রাখুন। তারপর ভালোভাবে তেল ঝরিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।

উল্লেখ্য, চালের গুঁড়া মিশিয়ে নেওয়ার জন্য বেগুন ভাজা দীর্ঘসময় মুচমুচে থাকবে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় অনাহারে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু, খাবারের খোঁজে ধ্বংসাবশেষেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ

গাজা উপত্যকায় খাবারের অভাবে প্রায় ২০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬ জনই শিশু। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দিয়েছে। এদিকে গাজার ক্ষুধার্ত মানুষজন উড়োজাহাজ থেকে ফেলা খাবার ও বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা জিএইচএফ পরিচালিত কেন্দ্রগুলো থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলের চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ অবস্থা চলছে। এর মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালগুলোয় ‘ক্ষুধা ও অপুষ্টি’র কারণে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুটি শিশুও আছে। এখন পর্যন্ত গাজায় খাবারের অভাবে মোট মৃত মানুষের সংখ্যা ১৯৭-তে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, জুলাই মাসে গাজায় তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ হাজার, যা এক মাসে সর্বোচ্চ।

আল–জাজিরার সংবাদকর্মী ইব্রাহিম আল-খালিলি বলেন, গাজার অবস্থা খুবই ভয়ংকর। উড়োজাহাজ থেকে ফেলা খাবারের কিছু ভবনের ধ্বংসাবশেষের ভেতর পড়লে সেগুলোও খুঁজে পাওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।

মুস্তফা তানানি নামের এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেন, উড়োজাহাজ থেকে ফেলা অনেক খাবার ঠিকমতো মাটিতে পৌঁছায় না। সেগুলো ভবনগুলোর মাঝখানে উঁচুতে আটকা পড়ে। সেখানে পৌঁছানোটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এখানে যেন যুদ্ধ চলছে। আমরা দূর থেকে আসি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই পাই না।’

ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘এখানকার লড়াইটা শুধু খাবারের জন্য নয়, টিকে থাকার জন্য।’
মুস্তফা তানানি নামের এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেন, উড়োজাহাজ থেকে ফেলা অনেক খাবার ঠিকমতো মাটিতে পৌঁছায় না। সেগুলো ভবনগুলোর মাঝখানে উঁচুতে আটকা পড়ে। সেখানে পৌঁছানোটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যেন যুদ্ধ চলছে। আমরা দূর থেকে আসি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই পাই না।’

মুস্তফা বলেন, ‘সবার হাতে ত্রাণের ব্যাগ আছে, কিন্তু আমরা কিছুই পাই না। উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণ কোনো কাজেই আসছে না। দেখুন না, কোথায় তারা ত্রাণ ফেলেছে। ওই যে ওপরে, ভবনগুলোর মাঝখানে। এগুলো সংগ্রহ করা আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’

আরও পড়ুনইসরায়েলের হামলার মুখে গাজায় অবশিষ্ট আছে মাত্র দেড় শতাংশ ফসলি জমি১৫ ঘণ্টা আগে

গাজার নাসের হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার অনাহারের কারণে আল-মাওয়াসি এলাকার দুই বছর বয়সী একটি শিশুসহ দুই শিশু মারা গেছে।
শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

গাজার এনজিও নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শাওয়া আল–জাজিরাকে বলেন, গাজায় অন্তত দুই লাখ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। গত মার্চ থেকে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় প্রয়োজনীয় শিশুখাদ্য ও পুষ্টি উপকরণ পৌঁছাতে পারছে না। আর এগুলোর অভাবে অনেক শিশুকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।

আরও পড়ুনগাজায় রক্তের তীব্র সংকট, রক্তদাতারাও অপুষ্টিতে১৯ ঘণ্টা আগে

গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় বলেছে, গত বুধবার গাজায় মাত্র ৯২টি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে। তবে জাতিসংঘ বলেছে, গাজার মানুষের দৈনিক প্রয়োজন মেটাতে সেখানে ৫০০ থেকে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক পৌঁছানো দরকার।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় আরও বলেছে, যে ত্রাণ গাজায় পৌঁছেছে, তার বেশির ভাগই ছিনতাই ও লুটপাটের কারণে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে না। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েল ইচ্ছা করে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় অনাহারে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু, খাবারের খোঁজে ধ্বংসাবশেষেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ