জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য মো.

আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সব ধরনের সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ‘একটা অঘটন ঘটে গেছে’: বদিউল আলম মজুমদার

দেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ‘একটা অঘটন ঘটে গিয়েছে’ উল্লেখ করে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা ব্যর্থ হয়েছি, আমি তো বললাম...আমি অকপটে স্বীকার করছি, আমরা ব্যর্থ হয়েছি। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটা অঘটন ঘটে গেছে, একটা বিপর্যয় ঘটে গেছে। তো এখন এটার জন্য আমরা সবাই দায়ী।’

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বদিউল আলম মজুমদার এ কথাগুলো বলেন। এই গোলটেবিলের আয়োজন করেছে প্রথম আলো। গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন। এতে সংসদে নারী আসন নিয়ে ধারণাপত্র তুলে ধরেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার।

আলোচনায় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমার মনে হয়, ঐকমত্য কমিশন এবং অন্য কাউকে দোষারোপ করে এতে জয় আসবে না। এতে কিন্তু বিজয়ী হবেন না। এই নারীর অধিকার এখানে প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমার মনে হয়, আপনাদের একটু ওই যে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার যে ঐকমত্য কমিশনের ম্যান্ডেটটা কী ছিল? ঐকমত্য কমিশনের ম্যান্ডেটটা ছিল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে কতগুলো বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো।’

বিপর্যয়ের জন্য নারীরা যদি পুরুষদের দায়ী করেন তাহলে ‘প্রতিপক্ষ চিহ্নিত’ করতে ভুল হবে বলে মন্তব্য করেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান। তাঁর মতে, প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও যাঁরা নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে কাজ করেছেন, তাঁদের প্রতিপক্ষ বানানো হলে এটি হবে ‘মিছে মিছে কাঠগড়া’য় দাঁড় করানো। এ ছাড়া ঐকমত্য কমিশন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক সমালোচনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুননারী রাজনীতিতে কীভাবে আসবে, আসন কত পাবে, মাছের বাজারের মতো দরাদরি হচ্ছে : সামিনা লুৎফা১ ঘণ্টা আগে‘সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা। আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘জাতীয় সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ল
  • সংখ্যাগরিষ্ঠরা কেন ন্যায্য হিস্যা পাবে না
  • আলোচনায় গণভোটসহ কয়েকটি বিকল্প পদ্ধতি
  • সংস্কার: বাস্তবায়নের পথ খুঁজতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমি
  • ‘আলংকারিক’ রাষ্ট্রপতিকে এভাবে ক্ষমতায়নের চেষ্টা নজিরবিহীন
  • নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনকে আবারও আলোচনায় বসতে হবে
  • প্রায় এক বছরেও নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো উদ্যোগ নেই: এবি পার্টি
  • নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ‘একটা অঘটন ঘটে গেছে’: বদিউল আলম মজুমদার
  • বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ভর করছে দলগুলোর ওপর