নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলামের গুলশানের প্লট, সাভার ও আশুলিয়ার জমি জব্দ
Published: 24th, November 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের আরও ৪৪ কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে রাজধানীর গুলশান আবাসিক এলাকার ৩৯ দশমিক ৭৫ কাঠার প্লটসহ ৪৮৭ শতক জমি রয়েছে। এসব সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। জব্দ সম্পদের মধ্যে আরও রয়েছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ৩১০ শতক ও ঢাকার আশুলিয়া উপজেলার ১৭৭ শতক জমি।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.
আবেদনে বলা হয়েছে, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ বছরের ৬ মার্চ ও ১৮ নভেম্বর দুই দফায় তাঁর কিছু সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধসহ নাসা গ্রুপের অন্যান্য পাওনা পরিশোধের নামে আসামি নজরুল ইসলাম মজুমদার সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির আগে আসামির এসব সম্পত্তি হস্তান্তর, স্থানান্তর, রপান্তর বা বিক্রি হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে। সে জন্য তাঁর সম্পদ জব্দ করা প্রয়োজন।
এর আগে এ মামলায় ১৮ নভেম্বর নজরুল ইসলাম মজুমদারের রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার জমির ১৬টি দলিল, বাড্ডা এলাকার জমির ৩০টি দলিল, জলসিঁড়ি আবাসিক প্রকল্পের জমির ৭টি দলিলের ১৬২ কাঠা সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়। এর আনুমানিক মূল্য ১৮০ কোটি ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৩টি ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ২ কোটি ২ লাখ ৩৮৪ টাকা।
গত বছরের ১ অক্টোবর নজরুল মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে জুলাই আন্দোলন সহিংসতা ও দুদকের মামলায় কারাগারে আছেন তিনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র নজর ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানান, দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন লুৎফুল তাহমিনা খানের আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আবেদন করেন। আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি লুৎফুল তাহমিনা খান ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লুৎফুল তাহমিনার অপরাধে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অপরাধ করেছেন। এ ছাড়া আসামি লুৎফুল তাহমিদা খানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, নিজ এবং তাঁর আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ১০টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত মোট ৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই অর্থের স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁর সব আয়কর রিটার্নসহ সংযুক্ত রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।