রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল প্রার্থী ‘ভ্যালেন্টিনা গোমেজ’ কর্তৃক  পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতে বাংলাদেশ। 
শুক্রবার (২৯ আস্ট) বাদজুম্মা আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

তাহরীকে খতমে নুবুওয়াত বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সাওবান সাকিবের সঞ্চালনায় আল্লামা মুফতি ড.

মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুফতি হাফেজ আ. রহিম, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সভাপতি বক্ত্যবে ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ নামে এক কুলাঙ্গার কোরআনুল কারীমের মধ্যে অগ্নিসংযোগ করেছে অত্যন্ত দুঃখজনক মেনে নেবার মত নয় ।

তিনি আরো বলেন,আমরাও মুসলমান পারি হাজার হাজার বাইবেল এক জাগায় স্তুপ করে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে। আমাদের সুমহান ইসলাম এ আদর্শ আমাদের শিখায়নি নতুবা এটা তো ওয়ান টুর ব্যাপার আমাদের কাছে কয়েক হাজার বাইবেল এক জায়গায় এনে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে পারি ।

কিন্তু ইসলাম আমাদেরকে আদর্শ শিখায়নি অত্যন্ত নিকৃষ্ট আমেরিকার বৈদেশিক নীতি কথিত গণতন্ত্রের বুলি আওড়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার রক্ষায় সে সচেষ্ট। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মানবাধিকার কমিশন একটা প্রতিষ্ঠিত করেছে। 

কিন্তু সে তো তার দেশকেই সামলাতে পারছে না। যেখানে লক্ষ লক্ষ মুসলমান বসবাস করছে সেই আমেরিকাতে কোরআনুল কারীমে প্রকাশ্যে অগ্নিসংযোগের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন সরকার যে আটকাতে পারে নাই।

এটাই প্রমাণ করে মানবতার পক্ষে গণতন্ত্রের পক্ষে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে যে বুলিগুলো আমেরিকা আওড়ায় এসব নিছক ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।

এ কোরআন আল্লাহ তার আখেরি নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে দেড় হাজার বছর আগে এই কোরআন কারীম অবতীর্ণ করেছেন গোটা বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্যে।

আল্লাহ বলেছেন পৃথিবীর যেকন সময়ের যেকন ধর্মের যেকন গোত্রের যেকন মানুষের হেদায়েতের জন্য আল্লাহতালা দেড় হাজার বছর আগে কোরআন কারীমকে নাযিল করেছেন সে কোরআনকে মুসলমান জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে কোরআন কারীমে অগ্নি সংযোগ করেনি সেই গুনার উগ্র উগ্রবাদী খ্রিস্টান ভ্যালেন্টিনা গোমে মুসলমানদের কলিজায় আগুন জ্বালিয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ম সলম ন আম দ র ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

আন্দোলনকারী ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্তের দাবি

আন্দোলনকারী ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের আপত্তিকর মন্তব্যের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। পরে ওই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশকরেনিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ওই শিক্ষক।

ওই শিক্ষকের নাম অধ্যাপক নাছির উদ্দীনমিঝির। তিনি আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষক সংগঠন গ্রিন ফোরামের সদস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুকে আবদুল্লাহ বিন আসাদ নামের এক আইডি থেকে ৪ মিনিট ৭ সেকেন্ডের ওই অডিও প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার সকালে বিষয়টিকে ‘স্লিপ অব টাং (মুখ ফসকে বলা) ’দাবি করেন নাছির উদ্দীন।

ফাঁস হওয়া অডিওটিতে নাছির উদ্দীনকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনকারী এক ছাত্রীকে শাসাতে শোনা যায়। এ ছাড়া সাজিদ ও আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীদের নিয়েওআপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে অডিও ফাঁসের পর গতকাল সকালে নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন,‘আমি আল-কোরআন বিভাগের সভাপতি হিসেবে শহীদ সাজিদ আবদুল্লাহর জন্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছি।আমার অফিসে বসেই মামলা এন্ট্রি করেছি। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ইবি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এরপরও বিভাগের অন্য শিক্ষকসহ আমার আরেকজন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত কিছু শব্দচয়নে ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

অডিওটি প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাছির উদ্দীনের এমন আপত্তিকর মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতি দিয়ে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবি জানায় শাখা ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়ন। এ ছাড়া গতকাল বেলা ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনের শেষে ওই শিক্ষকের বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য প্রতিবাদ ও আন্দোলনে বাধা প্রদানকারীদের উদ্দেশ্য যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের অধিকার ও আন্দোলনের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত রাখা।

স্মারকলিপি নেওয়ার পর উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক যেন এ ধরনের বক্তব্য না দেন, তোমাদের এ ব্যাপারে নিশ্চিত করছি। আর লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
  • সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ ৫ দফা দাবি
  • আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি, সালমান শাহ ভক্তদের মানববন্ধন
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি
  • পদ্মার চরে জোড়া খুনের ঘটনায় ‘কাকন বাহিনীর’ সদস্যদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
  • দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান
  • আন্তর্জাতিক সংকট যেভাবে স্বৈরশাসকদের শক্তিশালী করে
  • সরকার এখন প্রতারকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে: মান্না
  • আন্দোলনকারী ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্তের দাবি