রামপালে পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতি, আটক ২
Published: 30th, August 2025 GMT
বাগেরহাটের রামপালে পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতির অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে মোল্লাহাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দুজন হলেন- ডাকাত দলের প্রধান নরসিংদীর মাধবদি উপজেলার তারা মিয়ার ছেলে মো.
রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের চিত্রা গ্রামের আসাদের বাড়িতে পুলিশের পোশাক পরে একটি সংঘবদ্ধ দল ডাকাতি চালায়। এসময় তারা নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কলের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
তিনি বলেন, “প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার ডাকাত দলের প্রধান রিয়াজ ও তার সহযোগী আল আমিনকে আটক করা হয়েছে। এসময় আরও ৫-৬ জন সহযোগী পালিয়ে যায়। তাদের আটকেও অভিযান চলছে।”
ওসি আতিকুর রহমান আরো জানান, আটক দুইজনের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি মোবাইল জ্যামার, দুইটি ককটেল, চার সেট পুলিশের পোশাক, লুট হওয়া পাঁচ লাখ ১৬ হাজার টাকা, গ্রিল ও গ্যাস কাটার এবং তিনটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/শহিদুল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস