বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, “আল্লাহ আবারো আমাদের গণতন্ত্রে ফেরার সুযোগ দিয়েছেন, এই সুযোগ অবহেলা করা উচিত হবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা দরকার। আমরা ফ্যাসিস্টের বিচার চাই, সংস্কার চাই আবার নির্বাচনও চাই। যথাযথ সময়ে নির্বাচন না হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিপন্ন হতে পারে।”

রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বক্ষ্মপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে প্রস্তুতি সভা করায় বিএনপির ৫ নেতাকে শোকজ

জনগণের সরকার হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন: ফখরুল

দুলু বলেন, “মানুষ এবার নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার পরিবেশ পেয়েছে। তারা ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে চান। জনগণ নির্বাচনমুখী হলেও, কোনো কোনো দল পরাজয়ের ভয়ে তালবাহানা করে নির্বাচন পেছানোর নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের সর্ম্পকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের কোনো দোসর যেন নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেদিকে দেশের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশে অশান্তি সৃষ্টির জন্য নানা প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা দেশকে অকার্যকর করতে অপচেষ্টা চালাবে।”

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- নাটোর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শাহ আলম, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য মো.

নাসিম উদ্দিন নাসিম, নলডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম হাফিজ, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. শরিফুল ইসলাম বুলবুল ও ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শফিকুল ইসলাম শফি হুজুর।

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশ যেতে কেন বাধা দেওয়া হল, প্রশ্ন মিলনের

ইমিগ্রেশনে বাধা পেয়ে বিদেশে যেতে না পেরে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তার ব্যাখ্যা দাবি করেছেন বিএনপি নেতা এহছানুল হক মিলন।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, “আমি সরকারের কাছে জানতে চাই, কেন আমাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হলো না?”

আরো পড়ুন:

একটি মহল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ

গণভোট নিয়ে ‘ক্রসরোডে’ সরকার

খালেদা জিয়ার ২০০১ সালের সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডে রওনা হওয়ার আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বিভাগ তাকে আটকে দেয়। ফলে তিনি আর বিদেশে যেতে পারেননি। কী কারণে তাকে আটকে দেওয়া হল, এ বিষয়ে সরকারি কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।

এর ব্যাখ্যা চেয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এহছানুল হক আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ১৫ বছর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিরোধীদলের নেতাদের বিভিন্ন সময় বিদেশে যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনাগুলো তুলে ধরেন।

বিদেশযাত্রায় বাধা পেয়ে ক্ষুব্ধ হলেও এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করছেন না এহছানুল হক। তার ধারণা, কোনো ‘ভুল’ তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটকানো হয়েছে।

এহছানুল হক বলেন, “এই সরকার মহান চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের সরকার। আমার দল বিএনপি শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সরকারের কোনো সংস্থা বা বিভাগ কারও ভুল তথ্য বা ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না। আমিসহ দেশের সব নাগরিকের সাংবিধানিক, নাগরিক ও মানবিক অধিকার রক্ষায় তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

সাবেক এই সংসদ সদস্য জানান, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি সচেষ্ট আছেন এবং থাকবেন। দেশ ও মানুষের কল্যাণে সরকারকে সহযোগিতা করতেও তিনি প্রস্তুত।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: দুলু
  • অদৃশ্য শক্তি ও ফ্যাসিষ্টরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খোরশেদ
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • নির্বাচন বাতিলের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান সিপিবির
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি
  • বিদেশ যেতে কেন বাধা দেওয়া হল, প্রশ্ন মিলনের
  • দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান
  • একটি মহল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ
  • আন্তর্জাতিক সংকট যেভাবে স্বৈরশাসকদের শক্তিশালী করে
  • সরকার এখন প্রতারকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে: মান্না