আল্লাহ গণতন্ত্রে ফেরার সুযোগ দিয়েছেন, অবহেলা করা উচিত হবে না: দুল
Published: 31st, August 2025 GMT
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, “আল্লাহ আবারো আমাদের গণতন্ত্রে ফেরার সুযোগ দিয়েছেন, এই সুযোগ অবহেলা করা উচিত হবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা দরকার। আমরা ফ্যাসিস্টের বিচার চাই, সংস্কার চাই আবার নির্বাচনও চাই। যথাযথ সময়ে নির্বাচন না হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিপন্ন হতে পারে।”
রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বক্ষ্মপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে প্রস্তুতি সভা করায় বিএনপির ৫ নেতাকে শোকজ
জনগণের সরকার হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন: ফখরুল
দুলু বলেন, “মানুষ এবার নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার পরিবেশ পেয়েছে। তারা ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে চান। জনগণ নির্বাচনমুখী হলেও, কোনো কোনো দল পরাজয়ের ভয়ে তালবাহানা করে নির্বাচন পেছানোর নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের সর্ম্পকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের কোনো দোসর যেন নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেদিকে দেশের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশে অশান্তি সৃষ্টির জন্য নানা প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা দেশকে অকার্যকর করতে অপচেষ্টা চালাবে।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- নাটোর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শাহ আলম, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য মো.
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিকে অনভিপ্রেত, অগণতান্ত্রিক এবং দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য বিপজ্জনক আখ্যায়িত করেছেন দলটির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, যে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে জাতীয় পার্টি অতীতে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিল, সেই জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে? বিষয়টি বিস্ময়কর ও দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টির এই অংশের মহাসচিবের বাসভবনে জরুরি মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, জাতীয় পার্টি তার জন্মলগ্ন থেকেই জনগণের অধিকার, গণতান্ত্রিক চর্চা এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারক ও বাহক। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতীয় পার্টি কখনোই কোনো রাজনৈতিক অপরাধে জড়িত হয়নি বা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়নি, যার কারণে দলটিকে নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়; বরং দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাধীনতার পর দেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, গ্রাম থেকে শহরে উন্নয়ন ছড়িয়ে দেওয়া, আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ ও শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ইতিহাস জাতীয় পার্টির রয়েছে।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হলে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি যোগ করেন, কাউকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এবং জনগণের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেয়।
সভায় জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান, সরদার শাহজাহান, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন প্রমুখ।