নিখোঁজের তিন দিন পর সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি ও শিক্ষক মুশতাক আহমদের (৫৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দিরাই উপজেলার শরিফপুরের বাট্রা এলাকায় মরা সুরমা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মুশতাক আহমদের বাড়ি সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা গাজীনগর গ্রামে। তিনি উপজেলার বড়মোহা দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। গত মঙ্গলবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর সন্ধান চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের উদ্যোগে মানববন্ধন হয়। এর আগের দিন বুধবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর স্ত্রী সৈয়দা রুবি বেগম।

সৈয়দা রুবি বেগম গতকাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে মুশতাক আহমদ স্থানীয় পাথারিয়া বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত ১০টার দিকে তাঁদের একমাত্র সন্তান সাজিদা বেগমকে ফোন করে মুশতাক জানান, তিনি সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গেছেন। ঘণ্টাখানেক পর বাড়িতে ফিরবেন। কিন্তু রাত ১২টার দিকে বাড়ি না ফেরায় তাঁরা মুশতাকের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বিভিন্ন স্থানে তাঁর খোঁজ করা হয়; কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় থানায় একটি জিডি করেন রুবি বেগম।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক মুশতাক আহমদের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় লোকজন নদীর পানিতে লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর পাঠান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার

সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।

কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।

নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।

জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’

কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজ বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১
  • বিয়ানীবাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফয়সল আহমদ চৌধুরী
  • বিএনপি কর্মীর বাড়ি থেকে ১১টি বন্দুক, ২৭টি দা-ছুরি উদ্ধার
  • মওদুদ আহমদের স্বস্তি-অস্বস্তির আত্মজীবনী
  • বাতিল হচ্ছে ১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট