স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও এলসেভিয়ার প্রকাশিত পৃথিবীর সেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষক ও গবেষক।

এ অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান তাঁদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাকৃবির ১২ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

রাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করা নিন্দনীয় অপরাধ: ঢা‌বি সাদা

সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি বিশ্বের সেরা গবেষকদের এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা স্থান করে নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটাকে গৌরবজনক অর্জন বলে উল্লেখ করেছেন উপাচার্য।

অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, “পৃথিবীর সেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকরা অন্তর্ভুক্ত হওয়া আমাদের জন্য এক বড় সম্মান। শিক্ষা ও গবেষণায় এই ধারাবাহিক অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে আরো সমুন্নত করেছে।”

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেশ-বিদেশে আরো বড় সম্মান অর্জন করবেন। একইসঙ্গে তিনি তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করেন।”

তালিকায় স্থান পাওয়া জাবি শিক্ষকরা হলেন- পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো.

মোস্তাফিজুর রহমান ও এসএম দিদার উল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ.এ. মামুন, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক এম. শামীম কায়সার, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাঈদ আল-জামান ও মো. নূরুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. এনামুল হক।

তালিকায় স্থান পাওয়া একমাত্র শিক্ষার্থী হলেন, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের মোহাম্মদ এ. মামুন।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জাবি প্রশাসনের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)  সম্পর্কে আমির হামজার বক্তব্য ‘আবাসিক হলগুলোতে সকালে মদ দিয়ে কুলি করা হত’ বর্ণনাটি অসত্য বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া এরূপ মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

ভ্রাতৃত্ব ও অসাম্প্রদায়িকতায় জবিতে মহালয়া উৎসব

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ চালু হয় এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে এই বিভাগে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। সুতরাং আমির হামজা জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হওয়ার যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা সত্য নয়।

পাশাপাশি আবাসিক হলগুলোতে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করার প্রত্যক্ষ করার বর্ণনাটিও তার মনগড়া, যা অসত্য। প্রমাণসহ এমন নজির প্রশাসনের কাছে নেই। ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটানোর তার বক্তব্যটি সত্যের অপলাপ মাত্র বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষাথীর্দের আন্তঃসম্পর্কের বন্ধন সব সময়ই প্রশংসনীয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। জাবি প্রশাসন আমির হামজাকে এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদানে সতর্ক ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

এর আগে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জনাব আমির হামজার একটি বক্তব্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এবং আবাসিক হলে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন।

তিনি জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটায়। 

ঢাকা/আহসান
 

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল কলেজছাত্রের লাশ
  • মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জাবি প্রশাসনের
  • আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
  • চোরাই গরু-ছাগল ভর্তি ট্রাক ফেলে পালিয়েছে চোর চক্র
  • ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপসহ অক্সফোর্ডে পিএইচডির সুযোগ জাবি ছাত্রীর