মিষ্টি হাসি নিমেষেই একজনকে আনন্দিত করতে পারে। হাসতে কোনো খরচ নেই; কিন্তু তার অনেক শক্তি। হাসি রোগ সৃষ্টিকারী কর্টিসল হরমোন কমিয়ে শরীরে অক্সিটোসিন, ডোপেমিন, এন্ডোরফিন ইত্যাদি হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে শরীর ও মনকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। হাসি সব সময় দয়া, সহানুভূতি, ইতিবাচক মনোভাব, সম্পর্ক উন্নয়ন ও সুখানুভূতি চর্চায় উৎসাহিত করে।
হাসির শক্তিব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে দিন দিন হাসির গুরুত্ব বাড়ছে। একটি সাধারণ প্রশংসা, আনন্দময় শুভেচ্ছা, হাসিমুখে কথা বলা একজন মানুষের ব্যক্তিত্বই বদলে দিতে পারে। একটি শুভ্র হাসির মানেই ভালো মনের প্রতিচ্ছবি, যার মাধ্যমে যেকোনো কঠিন কাজও সহজে করানো সম্ভব। তা ছাড়া কর্মক্ষেত্রে অধস্তন সহকর্মীদের সঙ্গে একটু হাসি দিয়ে কথা বললে তাঁরা উৎসাহবোধ করেন। আর এই উৎসাহ দেশের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
দুষ্টুমিষ্টি হাসি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথ বাহিনীর অভিযান, এক সপ্তাহে আটক ৬৯
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত এক সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ৬৯ ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আরো পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদে নৌকাডুবি: সফল উদ্ধার অভিযান সেনাবাহিনীর
জিওসি মেজর জেনারেল নাজিমউদ্দৌলার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে চলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এই যৌথ অভিযান চালানো হয়।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব যৌথ অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী, অবৈধ অস্ত্রধারী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, শিশুপাচারকারী, জুয়াড়ি, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্তসহ মোট ৬৯ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি ম্যাগাজিন, ৩টি ককটেল, ২৭টি বিভিন্ন ধরনের গুলি, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি-বিদেশি ধারাল অস্ত্র, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ৬২ জেলায় সার্বক্ষণিক টহলের মাধ্যমে প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে পূজা অর্চনার প্রতিটি ধাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে কাছের সেনাক্যাম্পে তথ্য দিতে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ