ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অধিক আলোচনায় থাকেন। কারণ নিজের ইচ্ছায় বাঁচেন এই নায়িকা। তাকে নানা গুঞ্জন উড়লেও তা গায়ে মাখেন না। 

ব্যক্তিগত জীবনে একাধিকবার বিয়ে করেছেন পরীমণি। তবে কোনো সংসারই টিকেনি। এই প্রেম, বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’ অনুষ্ঠানে খোলামেলা কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। 

আরো পড়ুন:

আমি আরো ৯৮টি বাচ্চার মা হতে চাই: পরীমণি

বোরকা পরে হাসপাতালে পরীমণি!

অনুষ্ঠানে সঞ্চালক রুম্মান রশীদ খান জানতে চান, শেখ সাদি তোমার বয়ফ্রেন্ড (প্রেমিক)? পরীমণি হাসতে হাসতে বলেন, “ও আমার ছোট ভাই। ও আমার ছোট ভাইয়ের মতো।” 

এই মুহূর্তে তুমি কি সিঙ্গেল? পরীমণি বলেন, “না।” কারো সঙ্গে সম্পর্কে আছ—জানতে চাইলে পরীমণি বলেন, “জানি না। শোনেন, আমি যদি নিজেকে সিঙ্গেল বলি, কেউ বিশ্বাস করবে না।” পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সঞ্চালক বলেন, কেন করবে না? জবাবে পরীমণি বলেন, “আমি নিজেই বিশ্বাস করি না। আমার সামহাউ সারাক্ষণ প্রেম প্রেম ফিল হয় এবং এটা থাকা ভালো।” 

মোট কতবার বিয়ে করেছ—এমন প্রশ্নের উত্তরে পরীমণি বলেন, “একবার।” সঞ্চালক বলেন, শরীফুল রাজের কথা বলছ, তাহলে বাকি বিয়ের কথা কেন আমরা শুনি? উত্তরে পরীমণি বলেন, “জানি না। ওরা মনে হয় সৎস্বামী (হা হা); যাদের সঙ্গে ডিভোর্সটা দেখা যায়নি।” 

কয়েক বছর আগে শরীফুল রাজের সঙ্গে পরীমণির বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। এ সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শরীফুল রাজের সঙ্গে বিয়েটা ভুল ছিল কি না? এ প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, “না। আমার জীবনে কিছুই ভুল না। সবকিছুই একটা অভিজ্ঞতা।” 

গুঞ্জন রয়েছে অভিনয় পা রাখার আগে খালাতো ভাই ইসমাইলকে বিয়ে করেছিলেন পরীমণি। গত বছরের নভেম্বরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ইসমাইল মারা যান। ইসমাইলের সঙ্গে পরীমণির ছবিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ বিষয়ে পরীমণির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়। জানতে চান—ইসমাইল তার স্বামী ছিলেন কি না? জবাবে পরীমণি বলেন, “হ্যাঁ, আমার সৎস্বামী ছিল।” 

এরপর সঞ্চালক জানতে চান, তুমি কতবার বিয়ে করতে চাও? পরীমণি বলেন, “আমার না আসলে ১২টা বিয়ে করার (ইচ্ছা আছে)। ছোটবেলা থেকে আমি মজা করে বলতাম, আমি এক ডজন বিয়ে করব। এটা আসলে রিউমারটা (গুঞ্জন) এভাবে স্টাবলিশ (প্রতিষ্ঠিত) হবে—সেটা আমি বুঝি নাই। তাহলে আমি কোনো দিনই বলতাম না।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর মন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হাতীবান্ধার ছয়টি ইউনিয়নসহ পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে রেড অ্যালার্ট জারির পর মাইকিং করে তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।

পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে লালমনিরহাটসহ নীলফামারী ও রংপুর জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা আছে। ইতিমধ্যে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে দুই উপজেলার প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে পুকুর, আমনের খেতসহ আগাম শীতকালীন সবজির খেত।

পাউবো সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ মিটার। অর্থাৎ স্বাভাবিক বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আজ দুপুর ১২টায় পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা তিনটায় বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

তিস্তায় পানি বাড়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার ছয় ইউনিয়নের অন্তত ১০টি চর ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা চরাঞ্চলসহ মুন্সিপাড়া, ক্লিনিকপাড়া, কাদেরের চর, মহিমপাড়া, চরপাড়া, কাতিপাড়া, সৈয়দপাড়া এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় পাউবোর কর্মীরা তিস্তাপারের বাসিন্দাদের মাইকিং করে সরে যেতে বলেন।

হাতীবান্ধার সিন্দুর্না ইউনিয়নের চরসিন্দুর্না এলাকার এনামুল হক বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তাঁদের এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠেছে। পরিবার নিয়ে তাঁরা কষ্টে আছেন।

পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের কাতিপাড়া গ্রামের আমির হোসেন বলেন, বন্যায় ঘরে পানি ওঠায় রান্না করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। পানি সড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নদীর পানি অব্যাহতভাবে বাড়ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকেছে। প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বন্যার ক্ষয়ক্ষতি রোধে কাজ করছে।’

পাউবোর লালমনিরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার প্রথম আলোকে বলেন, ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বেড়েছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ