বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, মশালমিছিল
Published: 20th, November 2025 GMT
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপি মনোনীত সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে মশালমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিকের অনুসারী নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমারখালী শহরের হলবাজার এলাকায় বিক্ষোভ করে তাঁরা নুরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে হলবাজার এলাকায় জড়ো হন নুরুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা। সেখান থেকে মশালমিছিল নিয়ে তাঁরা থানা মোড় হয়ে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড মোড়ে যান। একপর্যায়ে কয়েকটি টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আধা ঘণ্টা পর মিছিলটি আবার হলবাজার এলাকায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় কুমারখালী পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে মেহেদী রুমীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যিনি দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না। অথচ সুখে–দুঃখে নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। কিন্তু দল তাঁকে মূল্যায়ন না করে মেহেদীকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূল বিএনপির চরমভাবে হতাশ হয়েছে।’
নন্দলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘মেহেদীকে পরিবর্তন করে আনছারকে মনোনয়ন না দিলে আসনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করা সম্ভব হবে না। এখানে রুমী সাহেব থাকলে জামায়াত জিতে যাবে। সে জন্য তাঁকে পরিবর্তন করে আনছারকে দেওয়ার দাবি করছি।’
৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। কুষ্টিয়া-৪ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর পর থেকেই আনছার প্রামাণিকের সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, মশালমিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম ব এনপ র স আনছ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও রুশ কর্মকর্তাদের গোপন পরিকল্পনার’ বিষয়ে জানে না মস্কো
প্রায় চার বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে গোপনে একটি খসড়া পরিকল্পনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এ তথ্য সামনে এনেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কিয়েভকে মস্কোর কাছে তাদের কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। কমাতে হবে নিজেদের সামরিক বাহিনীর আকার। তবে এমন পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত না থাকার কথা জানিয়েছে মস্কো।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, খসড়া এই পরিকল্পনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ক্রেমলিনের উপদেষ্টা কিরিল দিমিত্রিয়েভ। মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পর্দার আড়ালে যোগাযোগ করে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসন এই পরিকল্পনায় সমর্থন জানিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
অনানুষ্ঠানিক এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কিছু ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে হবে কিয়েভকে। যদিও যুদ্ধ থামাতে এমন কোনো ছাড়ের কথা প্রথম থেকে নাকচ করে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পরিকল্পনায় কিয়েভকে মার্কিন সামরিক সহায়তা কমানো এবং ইউক্রেন বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর পরিকল্পনা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস। তবে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও লিখেছেন, ‘টেকসই শান্তির জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া—দুই পক্ষকে কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু ছাড় দিতে হবে। এ কারণেই যুদ্ধ থামাতে আমাদের সম্ভাব্য সব পরিকল্পনা তৈরি করে যেতে হবে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে না বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। আজ বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাও বলেছেন, ইউক্রেন নিয়ে খসড়া কোনো পরিকল্পনা ওয়াশিংটনের কাছ থেকে পায়নি মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো পরিকল্পনা করলে তা অবশ্যই কূটনৈতিকভাবে রাশিয়ার কাছে পাঠাতে হবে।
যুদ্ধ বন্ধের পরিকল্পনা ফাঁস হওয়া নিয়ে জল্পনার মধ্যেই গত বুধবার কিয়েভ সফরে গেছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর সচিব ড্যানিয়েল ড্রিসকোল। ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ থামাতে জেলেনস্কিসহ দেশটির বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।
এদিকে গতকাল বুধবার রাতভর পশ্চিম ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির তেরনোপিল শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবন ও জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, হামলায় ৩ শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৩ জন।