শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
Published: 20th, November 2025 GMT
সাড়ে আট কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শফিক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো.
গত ২৫ জুলাই শফিক আহমেদ ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে থাকা ২৩১ শতক জমি জব্দের আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। এসব সম্পত্তি গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, শফিক আহমেদের অর্জিত সম্পদের মূল্য ১৭ কোটি ৯৭ লাখ ৯১ হাজার ৬৪২ টাকা। এই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তাঁর ৯ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৫৮২ টাকার আয়ের উৎস পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে শফিক আহমেদের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৬০ টাকা।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, শফিক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন, ঢাকা কমার্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চের চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন ছিলেন। এসব পদে থাকার সময় বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দুদকের
কক্সবাজার–২ (মহেশখালী–কুতুবদিয়া) আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনের অভিযোগে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
আক্তার হোসেন বলেন, আশেক উল্লাহ নিজের বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ মোট ৩ কোটি ৯২ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখেছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। তাঁর বৈধ উৎস থেকে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৬ কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৯ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাবেক এই সংসদ সদস্যের নামে পাঁচটি ব্যাংকের ১৪টি হিসাবে দীর্ঘ সময়ে জমা হয়েছে ৪১ কোটি ১ লাখ ১৩ হাজার ৬২৫ টাকা এবং উত্তোলন হয়েছে ৩৪ কোটি ১৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৯৭ টাকা। মোট সন্দেহজনক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৫ কোটি ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩২২ টাকা।
দুদক সূত্র জানায়, একই অনুসন্ধানে অভিযোগ–সংশ্লিষ্ট আশেক উল্লাহ রফিকের স্ত্রী সাহেদা নাসরীনের বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তাঁর নামে–বেনামে আরও সম্পদ থাকতে পারে মর্মে প্রাথমিক তথ্য পায় অনুসন্ধান টিম। এ ঘটনায় দুদক আইন, ২০০৪–এর ২৬(১) ধারায় তাঁর কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।