চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করে নির্বাচন উপলক্ষে ৬টি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। প্রত্যেক কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন তিনি এবং নির্বাচনকালীন সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

আরো পড়ুন:

২৫০ সিসি ক্যামেরায় চাকসু নির্বাচন মনিটর

চাকসু নির্বাচন: শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ায় ২২ বার যাতায়াত করবে শাটল ট্রেন

পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার বলেন, “চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। এই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। ভোটার, প্রার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন চলাকালে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেনি। সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সকল ভোটকেন্দ্র, আবাসিক হল ও প্রবেশপথে চেকপোস্ট এবং টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বদা সতর্ক ও সদা প্রস্তুত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন।”

পুলিশ সুপার জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে প্রায় ১৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে, ভোটগ্রহণ কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে এবং চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তায় সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষমতায় এলে দুর্নীতিতে লাগাম টানার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ঠিক করবে বিএনপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশে দুর্নীতিতে লাগাম টানার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

নির্বাচন কমিশনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতির মধ্যে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলীয় এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তারেক রহমান। বিএনপির উপস্থাপিত দেশ পরিচালনার পরিকল্পনাগুলো জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার ট্র্যাক রেকর্ড বিএনপির আছে। এ কাজটি করতে গিয়েই খালেদা জিয়া সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করেছিল। সে সময় এ কমিশনকে এতটাই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল যে সরকারের কোনো বিষয়ে তদন্ত করতে চাইলে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন ছিল না। এই নিয়ম স্বৈরাচার সরকার পাল্টে দিয়েছিল। বিএনপি জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় এলে প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে এটি আবার পরিবর্তন করা হবে।

দুর্নীতির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাও ঠিক রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মতো আমাদের আরেকটি কাজে সফল হতে হবে। সেটাও দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেটি হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। যেকোনো মূল্যে আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে।’

বিএনপির মূল পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে কঠোর হতে হবে বলে মনে করেন তারেক রহমান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের অতীত উদাহরণ বিএনপির আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকেছে তখনো দলের কোনো সদস্য অন্যায় করলে চেষ্টা করেছে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে আইন দিয়ে বিচার করতে।’

বিজয়ের মাস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। আজকের এই অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ওলামা দলের নেতারা অংশ নেন।

নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা, দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, শিল্পে উন্নতি করা, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, নারীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা, খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করার কাজ অতীতে সফলভাবে করার ট্র্যাক রেকর্ড একমাত্র বিএনপির আছে। প্রতিটি কাজ আবার শুরুর পরিকল্পনা একমাত্র বিএনপিই উপস্থাপন করেছে। এই পরিকল্পনাগুলো গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দিতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছেই নিরাপদ দাবি করে তারেক রহমান বলেন, ‘একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণ আমাদের কাছে শুধু কথার ফুলঝুরি প্রত্যাশা করে না। জনগণ আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে যে আমরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করব। জনগণের সমস্যাগুলোকে কীভাবে মিটআপ (মোকাবিলা) করব। পুরো পরিকল্পনা জনগণ আমাদের কাছে দেখতে চান।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির যেসব পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে চাই, ইনশা আল্লাহ জনগণের রায় নিয়ে আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। সেই সরকারকে সফল করতে হলে সারা দেশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা বিএনপির লাখ লাখ নেতা–কর্মীকে সহযোগিতা করতে হবে। পরিকল্পনা গ্রামে গ্রামে, ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, কর্মসংস্থানসহ আটটি বিষয়ে কীভাবে কাজ করবে—এ নিয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর জন্য ধারাবাহিক কর্মশালা বা ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বিএনপি। শুক্রবার বাদে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলবে। এতে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামা দলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন অংশ নেবে। এরপর বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের বাইরে অন্য কোনো একটি দিনে হবে সমাপনী অনুষ্ঠান।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আজকের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম প্রমুখ।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান (সোহেল)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাম দলগুলোর প্রতিক্রিয়া: ‘তফসিল হয়েছে, তবে সামনে বড় চ্যালেঞ্জ’
  • তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াত, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি
  • মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, প্রচার শুরু ২২ জানুয়ারি
  • জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি
  • ৩৫ ফুট নিচে ক্যামেরা পাঠিয়েও দেখা যায়নি শিশুটিকে
  • এভারকেয়ারের সামনে কড়া নিরাপত্তা, বিএনপি নেতা–কর্মীদের ভিড় নেই
  • ‘১০ বছর ধরে অপেক্ষা করছি, মৃত্যুর আগে ছেলেকে ফেরত চাই’
  • নরসিংদীর রায়পুরায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • মানুষের মধ্যে প্রত্যাশা রয়েছে, সংশয়ও আছে
  • ক্ষমতায় এলে দুর্নীতিতে লাগাম টানার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ঠিক করবে বিএনপি