ইতিহাসের জন্ম দেওয়া আনন্দের। তবে সেটা ইতিবাচক ইতিহাস হলে ভালো। ক্যাচ ছেড়ে জেতা ম্যাচ টাই করে সুপার ওভারের দেখা পাওয়াটা ইতিবাচক কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর সবাই জানেন। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মেহেদী হাসান মিরাজের উজ্জ্বল মুখ দেখে অবশ্য উল্টোটাও মনে হতে পারে কারও কারও।

মিরাজ হয়তো ভেবেছেন, এ তো সামান্য একটা সিরিজের ম্যাচ। সেখানে হার-জিতের চেয়ে কিছুক্ষণ আগে ক্রিকেট ইতিহাসের যে পাতায় প্রথমবারের মতো নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ, সেটা-ই সম্ভবত বেশি মূল্যবান। দেশের বাইরে সোজা সোজা স্পিন বল করার মতো এ ক্ষেত্রে মিরাজের চিন্তাও বেশ কুশলী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৮ বছরের পথচলায় এটাই একমাত্র ম্যাচ যেখানে তারা সুপার ওভারে খেলেছে, আর তাতে অধিনায়ক মিরাজ।

ইতিহাসের পাতা থেকে যেহেতু কোনো ‘প্রথম’-ই মুছে ফেলা যায় না, তাই মিরাজ অমর হয়ে গেলেন সে পাতায়। কাল মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারলেও পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সম্ভবত সে কারণেই হাসি ফুটল বাংলাদেশ অধিনায়কের মুখে। ফল না জেনে হুট করে কেউ ওই অবস্থায় মিরাজকে দেখলে মনে করতে পারেন, বাংলাদেশ বোধ হয় জিতেছে!

হ্যাঁ, সেটা স্কোরকার্ডে না হলেও ইতিহাসের পাতায় এটা তো একরকম ‘অর্জন’ই। বাংলাদেশ অধিনায়কও ওই ব্যাপারটি টানলেন সবার আগে, ‘আমাদের জন্য এটা নতুন অভিজ্ঞতা। প্রথমবারের মতো সুপার ওভার.

..।’

সুপার ওভারে কী হয়েছে, সেটি ভুলে যেতে চাইবে সবাই। অবশ্য হারই যখন বাংলাদেশের প্রায় নিত্যসঙ্গী, আজ থেকে ১০ বছর পরে এই ম্যাচে তারা কীভাবে হেরেছিল, তা আলাদা করে কতজনই–বা মনে রাখবেন!

বাংলাদেশের ২১৩ রান তাড়া করতে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য শেষ বলে ৩ রান দরকার ছিল তাদের। শেষ বলে খারি পিয়েরের আকাশে তোলা শট উইকেটকিপার নুরুল হাসান অন্য কাউকে ধরতে না দিয়ে যেভাবে নিজেই ধরতে গিয়ে ছেড়ে দিলেন—সেটাকে ‘বীরত্বপূর্ণ’ চেষ্টা বলতেই হবে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯ বছরের অভিজ্ঞতালব্ধ কেউ খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ফিল্ডিংয়ের ‘বেসিক’ মাঠের বাইরে ছুড়ে ফেলে ভেতরে ভেতরে বীররসে রঞ্জিত হয়ে একাই দলকে জেতানোর চেষ্টা করলে তাঁকে আর কী বলবেন!

নুরুল ক্যাচটি নিতে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারত। কাজেই তাঁর ক্যাচ ফেলায় ম্যাচটা সুপার ওভারে যাওয়ার কৃতিত্বে স্বস্তির হাসি ফুটতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের মুখে।

বাংলাদেশের জন্য অবশ্য প্রথম সুপার ওভারে যাওয়া পর্যন্তই মনে রাখার মতো। সুপার ওভারে কী হয়েছে, সেটি ভুলে যেতে চাইবে সবাই। অবশ্য হারই যখন প্রায় নিত্যসঙ্গী, আজ থেকে ১০ বছর পরে এই ম্যাচে বাংলাদেশ কীভাবে হেরেছিল, তা আলাদা করে কতজনই–বা মনে রাখতে পারেন!

কে জানে, গোটা জাতি, এমনকি প্রতিপক্ষও যেখানে ধরে নিয়েছিল সুপার ওভারে রিশাদ নামবেন, সেখানে তাঁকে না নামিয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধোঁকাই দিতে চেয়েছিল।

এবার চলুন এমন ‘ঐতিহাসিক’ সুপার ওভারের দিকে একটু ফিরে দেখা যাক। আগে ব্যাট করে ১০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে বাংলাদেশ চারটি অতিরিক্ত রান ও তিনটি বাড়তি বল পেয়েও করতে পেরেছে ৯ রান, হারিয়েছে সৌম্য সরকারের উইকেট।

রানটা তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের কীভাবে ব্যাট করা উচিত ছিল—সে বিষয়ে মিরাজ ও সৌম্যর কথা থেকে একটি ‘কমন’ বিষয় পাওয়া যায়—বাউন্ডারি। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে সৌম্যর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্রথমবার সুপার ওভারে ব্যাট করার অনভিজ্ঞতার বিষয়টি না হয় মানা গেল, কিন্তু সেই ওভারে দুটি ওয়াইড ও একটি নো বল হওয়ায় সমীকরণ তো সহজ হয়ে এসেছিল, এরপরও কেন এই হার?

সৌম্য ব্যর্থতাটা নিজের কাঁধে নিয়ে বাউন্ডারি মারতে না পারার আফসোসই করলেন, ‘বাঁহাতি স্পিনার ছিল, আত্মবিশ্বাস ছিল যে বাউন্ডারি মারতে পারব।’ অর্থাৎ, সুপার ওভারে বাংলাদেশ ওই রান তাড়া করতে অন্তত একটা বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিল, যেটা স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা করতে পারেননি।

সুপার ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে আরেকবার ফিরে তাকাতে হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলার ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন। প্রথম দুটি ডেলিভারি ওয়াইড ও নো দেওয়ায় সেখান থেকে দৌড়ে রান নেওয়াসহ মোট ৪ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ, সেটিও কোনো বৈধ ডেলিভারি হওয়ার আগেই।

এরপর ৬ বলে ৭ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের, যেটা বাউন্ডারি না মেরেও তুলে নেওয়া সম্ভব ছিল। ওভাবে ব্যাট করার জন্য কৌশলগতভাবে ভালো ব্যাটসম্যানই পাঠিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট—সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন। খটকা লাগে যেখানে, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটসম্যান পাঠানোর পরও খেলা শেষে মিরাজ ও সৌম্য কেন বাউন্ডারি মারতে না পারার আক্ষেপ করলেন?

বাউন্ডারি মারাটাই মূল লক্ষ্য হয়ে থাকলে জনতা প্রশ্ন তুলতে পারে, সুপার ওভারে যে তিন ব্যাটসম্যানের লাইনআপ সেটা কি ঠিক ছিল? ওপেনার সাইফ মূল ম্যাচে আকিলকে ঠিকমতো খেলতে পারেননি। আউটও হয়েছেন তাঁর বলেই।

কিন্তু রিশাদ বাংলাদেশের ইনিংসে আকিলের করা শেষ ওভারে একটি ছক্কা ও চারসহ একাই তোলেন ১৬ রান। একটু লম্বা হওয়ায় স্পিনারদের মারতে যতটা বড় ‘আর্ক’ এর দরকার হয় ব্যাটসম্যানদের, সেটাও আছে রিশাদের। বাংলাদেশের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারিও (৩টি চার ও ৩টি ছক্কা) তাঁর।

কথা হলো, সুপার ওভারে জিততে বাউন্ডারি মারাই যদি লক্ষ্য হয় তাহলে রিশাদকে কেন নামানো হলো না—এই প্রশ্নটি শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের নয়, সুপার ওভারে বোলিং করা আকিলেরও।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিস্ময়, ‘কিছুটা অবাক হয়েছি। ম্যাচে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ছিল রিশাদ। তাকে সুপার ওভারে পাঠায়নি!’

পরে অবশ্য সৌম্য জানিয়েছেন, ‘এটা কোচ ও অধিনায়কের পরিকল্পনা। তারা তখন প্রধান ব্যাটসম্যানদের পাঠানোর কথা ভেবেছেন।’

বটে! প্রধান ব্যাটসম্যানদের কিন্তু ৬ বলে ৭ রান নেওয়ার সামর্থ্য থাকার কথা। কে জানে, গোটা জাতি, এমনকি প্রতিপক্ষও যেখানে ধরে নিয়েছিল সুপার ওভারে রিশাদ নামবেন, সেখানে তাঁকে না নামিয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধোঁকাই দিতে চেয়েছিল।

আর সেই ‘ধোঁকা’ দেওয়ার চেষ্টাকে সঠিক হিসেবে প্রমাণ করতে ম্যাচ শেষে সামনে টেনে আনা হয়েছে ‘ম্যাচ আপ’ ট্যাকটিকস—যেটা প্রায় এক দশক ধরেই ক্রিকেটের পবিত্র বাণী হিসেবে মানছে বাংলাদেশ। যদিও বেশির ভাগ সময়ই কৌশলটা কাজে লাগে না কিংবা প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায় না।

সৌম্যই বললেন, ‘আসলে এটা (ম্যাচ আপ) নিয়ে আমরা সবাই মিলে ভাবি না; কোচ ও অধিনায়ক ভাবেন।’ সেই ভাবনার ফসল হিসেবেই সুপার ওভারে সৌম্য আউট হওয়ার পর বাঁহাতি নাজমুলকে পাঠানো হয়, যেহেতু আকিলও বাঁহাতি স্পিনার, মারার ক্ষেত্রে ‘উইথ দ্য স্পিন’ ট্যাকটিকস সহায়ক হবে। কিন্তু এর আগে মূল ম্যাচে কী দেখা গিয়েছিল? ডানহাতি রিশাদ মারলেন বাঁহাতি আকিলকে।

সাধারণ ক্রিকেট দর্শকের অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্টের এই কৌশল বোঝার কথা নয়। রিশাদ যে ‘ম্যাচ আপ’ কৌশলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও মারতে পারেন, সেটা তো তখনই সবাই দেখে ফেলেছে। সুপার ওভারে তাঁকে নামালে ‘গোপন কৌশল’ বলে আর কিছু থাকত না। সম্ভবত এটা ভেবেই তাঁকে না নামিয়ে ‘দূরদর্শী’ এক সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।

এমন সব দূরদর্শিতার জন্য ম্যাচটা হেরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করার সুযোগ হারানোটা আসলে অনেক বড় কিছু অর্জনের চেষ্টায় ছোটখাটো বিসর্জনের মতো। প্রথম সুপার ওভারের পরিকল্পনা ‘সুপার ফ্লপ’ হলেও এমন সিরিজ তো সামনে আরও আসবে, কিন্তু সুপার ওভার আবার কবে আসবে কে জানে! ফল নিয়ে ভাবলে তার চিরাচরিত উত্তরও দিয়েছেন মিরাজ, ‘আমরা পরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন ব উন ড র ব য ট কর র জন য প রথম অবশ য

এছাড়াও পড়ুন:

হাজার প্রদীপে আলোকিত গণ বিশ্ববিদ্যালয়

সন্ধ্যার আকাশ ঢেকে গেছে নরম কুয়াশায়। আকাশের বুক জুড়ে নরম কুয়াশার পরত, আর মাটির উপর ঝলমলে হাজার প্রদীপের সারি। সব মিলিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ধ্যা যেন আজ অন্যরকম।

ট্রান্সপোর্ট চত্বর থেকে শুরু করে বাদামতলা হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে ছোট ছোট প্রদীপ—যেন কারো সূক্ষ্ম আঁচড়ে আঁকা আলোর নদী। প্রতিটি শিখা যেন অন্ধকারকে ভাঙতে চায়, হৃদয়ের অজানা এক অদৃশ্য পথ দেখায়।

আরো পড়ুন:

সুন্দরবনে রাসপূজায় যেতে বন বিভাগের ৫ রুট, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জে বসেছে প্রতিমার হাট

প্রথমবারের মতো ২০১৯ সালে ক্যাম্পাসে দীপাবলি উদযাপন করা হয়। দীর্ঘ সময় পর সোমবার (২০ অক্টোবর) দ্বিতীয়বারের মতো এবার শ্যামা কালীপূজাকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এ দীপাবলি উৎসবের আয়োজন করে ‘বাণী অর্চনা সংঘ’। শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি আলপনা আর মাটির প্রদীপে আজ আলোকিত হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।

এর আগে, বিকেল থেকেই শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন ট্রান্সপোর্ট চত্বরে। কেউ হাতে প্রদীপ নিচ্ছেন, কেউ ঝাড়বাতি জ্বালাচ্ছেন, কেউবা বন্ধুর সঙ্গে হাসিতে মেতে উঠছেন।

সন্ধ্যা নামতেই এক জাদুকরী দৃশ্যে রূপ নেয় পুরো ক্যাম্পাস। সারি সারি প্রদীপের আলোয় ক্যাম্পাসের লাল ইটের পথ হয়ে ওঠে সোনালি। বাতাসে ভেসে আসছে ধূপের গন্ধ। হাসির ঝলক আর আলোর মায়ায় মুহূর্তগুলো থেকে যায় স্মৃতির ভাঁজে।

এক শিক্ষার্থী বললেন, “সারা বছর ক্লাস, পরীক্ষা, ব্যস্ততা— আজকের এই সন্ধ্যা যেন একটু থেমে থাকার দিন। প্রদীপ জ্বালানোটা শুধু ধর্মীয় আয়োজন নয়, বরং একসঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার একটা উপলক্ষ।”

বাণী অর্চনা সংঘের সভাপতি অনিক মালো বলেন, “ক্যাম্পাসে দীপাবলীর উৎসব উদযাপন করতে পেরে নিজের কাছে খুব উৎফুল্ল মনে হচ্ছে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সব অপশক্তি দূর হবে, এটা আশা করি।”

মূল ফটকের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি প্রদীপের আলো বাতাসে কাঁপছে, যেন এক জীবন্ত শিখা। কেউ বাজি ফুটাচ্ছে, কেউ কেউ শাড়ি পরে এসেছে–মনোযোগ ভালো ছবির ফ্রেমে। সেলফি তুলছে। তবে উৎসবের মধ্যে কোথাও নেই বিশৃঙ্খলা— আছে শুধু উচ্ছ্বাস আর আলোর স্নিগ্ধতা। মিষ্টিমুখ চলছে, কেউ মিষ্টি মুখে তুলে বলছে, “এত সুন্দর ক্যাম্পাস আগে দেখিনি!”

ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থী ঋতু রানী বলেন, “পরিবারের বাইরে প্রথমবারের মত দীপাবলি পালন করছি। সবারর অংশগ্রহণে বেশ আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ হচ্ছে।”

ট্রান্সপোর্ট চত্বরে তখন চলছে আরেক দৃশ্য। গানের আসর বসেছে ছোট করে। কেউ গিটার হাতে, কেউ তাল দিচ্ছে তালি দিয়ে। লালন গীতির সুরের ভেলায় মিলেমিশে যাচ্ছে দীপের আলো আর তারুণ্যের হাসি। রাত যত গভীর হচ্ছে, প্রদীপগুলো তত নিভে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের চোখে তখনও জ্বলছে আলো। সেই আলো শুধু প্রদীপের নয়। একাত্মতার, সৌন্দর্যের, আর জীবনের প্রতি ভালোবাসার আলো।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ রায় বলেন, “শ্যামা পূজায় পৃথিবীর সকল অশুভ শক্তি বিরুদ্ধে আমরা প্রদীপ প্রজ্বলন করি। আমরা চাই এই প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে সব খারাপ শক্তির বিনাশ হোক।”

আজকের এই এক হাজার প্রদীপের সন্ধ্যা যেন শুধু আলোর উৎসব নয়, বরং শিক্ষার্থীদের অন্তরের এক দীপান্বিত যাত্রা। প্রতিটি শিখা যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে, জীবন ছোট ছোট আলোয় পূর্ণ, আর সেই আলোর উষ্ণতায় আমরা সবাই এক।

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক ঘন্টায় ২০ লাখ রিয়্যাক্ট! প্রথমবার কন্যার মুখ দেখালেন দীপিকা–রণবীর
  • রিশাদকে সুপার ওভারে না দেখে অবাক হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • আইসল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মশার সন্ধান
  • গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে লালন স্মরণোৎসব
  • ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড, প্রথমবার ৫০ ওভার করলেন স্পিনাররা
  • জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন সানায়ে তাকাইচি
  • হাজার প্রদীপে আলোকিত গণ বিশ্ববিদ্যালয়