Prothomalo:
2025-10-23@00:53:03 GMT

আসর নামাজের শেষ সময় কখন

Published: 23rd, October 2025 GMT

ইসলামে প্রতিটি নামাজের সময় সূর্যের গতির ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত। আসরের নামাজের সময় শুরু ও শেষ—দুটোই সূর্যের অবস্থান দেখে নির্ধারিত হয়। আসর নামাজের গুরুত্ব কোরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ আছে, ‘সূর্য হেলে পড়ার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা ইসরা, আয়াত: ৭৮)

আসরের নামাজের শুরু সময়

আসর নামাজের সময় শুরু হয়, যখন কোনো বস্তুর ছায়া তার প্রকৃত দৈর্ঘ্যের সমান হয় (জোহরের ছায়া বাদে)। অর্থাৎ যখন সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ে এবং ছায়া বাড়তে শুরু করে, তখন আসর সময় শুরু হয়।

হাদিসে এসেছে, ‘আসর নামাজের সময় সেই সময় পর্যন্ত থাকে, যতক্ষণ না সূর্যের রং হলুদ হয়ে আসে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬১৩)

আসর নামাজের শেষ সময়

আসর নামাজের দুটি সময়সীমা আছে:

ক.

মাকরুহ (অপছন্দনীয়) হওয়ার আগপর্যন্ত বৈধ সময়। আসর নামাজের শেষ বৈধ সময় হলো সূর্য হলুদ হওয়ার আগপর্যন্ত, অর্থাৎ সূর্য যখন দিগন্তের দিকে ঝুঁকে পড়ে কিন্তু এখনো তীব্র আলো দিচ্ছে। এ সময় পর্যন্ত নামাজ পড়া সুন্নত অনুযায়ী বৈধ ও উত্তম।

খ. মাকরুহ সময়, অর্থাৎ সূর্যাস্তের কাছাকাছি সময়। যখন সূর্যের রং ফ্যাকাশে বা লালচে হয়ে যায়, তখন পর্যন্ত আসর নামাজ আদায় করা যায়, কিন্তু এটি মাকরুহ সময়।

আরও পড়ুনমাগরিবের নামাজের সময় কতক্ষণ থাকে০৫ অক্টোবর ২০২৫

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়ার আগে আসরের এক রাকাত পায়, সে আসর নামাজ পেয়ে গেছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৭৯)

এর মানে সূর্যাস্তের ঠিক আগে পর্যন্ত (অর্থাৎ সূর্যের ফ্যাকাসে আলো থাকা পর্যন্ত) নামাজ আদায় বৈধ, কিন্তু বিলম্ব করা অনুচিত।

ফিকহ অনুযায়ী পার্থক্য

বিভিন্ন মাজহাব আসরের শুরু সময় নিয়ে সামান্য ভিন্নমত পোষণ করে।

১. হানাফি মাজহাবের মতে, আসরের শুরু সময় হলো যখন বস্তুর ছায়া তার প্রকৃত দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণ হয়, আর শেষ সময় সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত।

২. শাফেয়ি, মালিকি, হাম্বলি মাজহাবের মতে, আসরের শুরু সময় হলো যখন বস্তুর ছায়া তার এক গুণ হয় আর শেষ সময় সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত। (আল-মাওসুআহ আল-ফিকহিয়্যাহ, কুয়েত, ২৭/৭৪, ২০০১)

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ আলেম হানাফি মাজহাব অনুসারে নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করেন। তাই অনেক ক্যালেন্ডারে আসরের সময় একটু পরে দেখা যায়।

আরও পড়ুনতাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক সময় কখন হয়০৪ অক্টোবর ২০২৫ঘড়ির সময়

আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার হিসাবে, আসর নামাজের সময় সূর্যের উচ্চতা (solar altitude) প্রায় ৪৫ থেকে শূন্যের মধ্যে পড়ে। সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে ঢলে যায় এবং ছায়া বাড়ে, তখন সূর্যের রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে আলো ধীরে ধীরে নরম হয়।

বাংলাদেশে আসর নামাজের সময় সাধারণত—

গ্রীষ্মে: বেলা ৩:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিবর্তিত হয়

শীতে: বেলা ৩:০০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিবর্তিত হয়

সূর্যাস্তের সময় অনুযায়ী সামান্য পরিবর্তিত হয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, সালাতের সময়সূচি ২০২৪ সংস্করণ, ঢাকা)

আসর নামাজের শেষ সময় সূর্যাস্তের ঠিক আগপর্যন্ত, তবে সূর্য হলুদ হওয়ার আগে পড়া উত্তম। নবী করিম (সা.) নামাজে বিলম্ব করাকে অপছন্দ করতেন।

আরও পড়ুনচাশতের নামাজের ওয়াক্ত কখন হয়১৬ আগস্ট ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আসর ন ম জ র সময় আসর ন ম জ র শ ষ ন ম জ র সময় স র ন ম জ র সময় সময় স র য র শ ষ সময় অর থ ৎ আসর র

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়মিত কমিটি গঠন ও অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্তির সময়সীমাসংক্রান্ত পরিপত্র স্থগিত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে) চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং সব অ্যাডহক কমিটি চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর বিলুপ্ত হবে—এমন পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ হতে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্রটি জারি করা হয়েছিল।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪–এ চলতি বছরের ২৮ ও ৩১ আগস্ট সংশোধনী আনে ঢাকাসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়নসংক্রান্ত ১৩(১) বিধি এবং যোগ্যতাসংক্রান্ত ৬৪(৩) সংশোধিত বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এমরান হোসেনসহ চারটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গত রোববার রিটটি করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

পরে আইনজীবী ফখরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন প্রায় ২০ হাজারের বেশি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। নয়টি বোর্ড ম্যানেজিং কমিটি পরিচালনাসংক্রান্ত প্রবিধানমালায় সংশোধন আনে। এতে দেখা যায় সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্মরত নবম গ্রেডের নিচে নন এমন কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত হলে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা—সভাপতি হতে পারবেন। অর্থাৎ বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পাবলিক সার্ভেন্ট ছাড়া কেউ হতে পারবে না, যা বৈষম্যমূলক। আগে সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমে হতেন। প্রবিধানমালার সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধির বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়।

রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী আরও বলেন, সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্তসংক্রান্ত ৮ সেপ্টেম্বরের পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত। ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠিত অ্যাডহক কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই প্রতিষ্ঠানের প্রভিশনের সময়সীমা বাড়ালো বিএসইসি
  • নিয়মিত কমিটি গঠন ও অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্তির সময়সীমাসংক্রান্ত পরিপত্র স্থগিত