কাজের ভার কমাতে বিখ্যাত ব্যক্তিরা যা করেন
Published: 23rd, October 2025 GMT
বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তিরা কাজের ভার কমাতে এবং নতুন চিন্তার খোঁজে নিজস্ব উপায় খুঁজে নেন। যেমন কেউ জঙ্গলে সময় কাটাতে চলে যান আবার কেউ-কেউ কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়টুকু খুঁজে বের করেন।
২০১৪ সালে, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ‘‘মানসিক বিশ্রাম ও চিন্তা করা শেখার ক্ষেত্রে সহায়ক।
আরো পড়ুন:
কুকুরদের সম্মানে যে ‘তিহার’ পালন করে নেপাল
জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীকে কেন ‘কট্টর রক্ষণশীল’ বলা হয়
কোনো বিষয়ে না ভাবলে অনেক বেশি শেখার চেষ্টা আপনাকে বিভ্রান্ত করে ফেলতে পারে এবং আপনাকে নতুন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে বাধা দিতে পারে। ’’
সুতরাং এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি শুধু পরিশ্রম করলে হবে না, ওই পরিশ্রম কেন করছেন, কীভাবে পরিশ্রম করলে দক্ষতা বাড়ানো সহজ হবে; সেগুলোও খুঁজে বের করতে হবে। এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে ভাবনার সময়টি যেন সুগঠিত হয়, না হলে আপনি বিভ্রান্ত হতে পারেন। চলুন জানা যাক বিখ্যাত ব্যক্তিরা কাজ ও ভাবনার মধ্যে কীভাবে সমন্বয় করেন।
বিল গেটস প্রকৃতির কাছে আশ্রয় নেন
কাজে পরিপূর্ণ মনোনিবেশ করার জন্য কাজের মাঝে বিরতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিল গেটস একটি নিয়ম মেনে চলেন। তিনি প্রতিবছর পুরো দুই সপ্তাহ সময় কাটান জঙ্গলে। এই সময়ে তিনি নতুন চিন্তার খোঁজ করেন। এই রীতির নাম দিয়েছেন ‘থিং উইক’ মানে ‘ভাবনার সপ্তাহ’। সপ্তাহজুড়ে কর্মযজ্ঞ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হন তিনি। বিল গেটস এই প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সৃষ্টিশীল হওয়ার উদ্দীপনা খুঁজে নেন।
ম্যালকম সবচেয়ে সুন্দর সময়ের খোঁজ করেন
আপনি কী খেয়াল করেছেন, দিনের কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনি সবচেয়ে মনোযোগী হয়ে কাজ করতে পারেন? ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল নিজের কাজ ভালোভাবে করার জন্য সময় বাঁচাতে বলেছেন। এবং কোন সময়টায় আপনি ভালো কাজ করতে পারেন, সেই সময়টা খুঁজে বের করে কাজে লাগাতে বলেছেন।
ভারমুক্ত হয়ে কাজ করতে বলেন মিশেল ওবামা
একটি কর্মক্ষেত্রে কখনও সুস্থির থাকে না। কর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্য থাকে, বন্ধুত্ব থাকে, সহযোগিতা ও প্রতিযোগীতা থাকে। সব কিছুর আগে নিজেকে গুরুত্ব দিতে হবে। সুখকে প্রাধান্য দিতে হবে—এমনটাই মনে করেন মিশেল ওবামা। আপনিও কর্মক্ষেত্রে নিজেকে ভারমুক্ত করতে এবং নিজের কাজ এগিয়ে নিতে সহকর্মীদের পেছনে লেগে না থেকে নিজেকে গুরুত্ব দিন। এভাবে ভাবলে কর্মক্ষেত্রে চাপ কম অনুভূত হবে। ভারমুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। এই নীতিই মেনে চলেন মিশেল ওবামা।
সামর্থ্যের ওপর ভরসা রাখতেন মোহাম্মদ আলী
সর্বকালের সেরা বক্সার বলা হয় মোহাম্মদ আলীকে। তিনি মনে করতেন—‘আমিই সেরা’ এই বাক্যটি মনে প্রাণে ধারণ না করলে সফল হওয়া কঠিন। তার মতে, শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না, সেরা হতে নিজের সামর্থ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে জয়ী হতে পারবেন।
সূত্র: সাকসেস ডটকম অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ করত ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে থাকা শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেসরকারি এই প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে দেখিয়ে আবাসন বৃত্তি থেকে তাঁদের বঞ্চিত করছে, এমন অভিযোগে আজ বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন।
এর আগে দুপুর নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁদের স্লোগানের মধ্যে ছিল: ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, ভুজুংভাজুং ছেড়ে দে’, ‘এক দুই তিন চার, বৃত্তি আমার অধিকার’ এবং ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি নীতিমালায় আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে তাঁরা আবাসন বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পটি বেসরকারি হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হল না হওয়ায় তাঁদের বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য কোনো হল নেই। আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের মেধাবী প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প আমাদের জন্য করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যত কোনো হল নয়।’
শিক্ষার্থী সুমন আরও বলেন, ‘বৃত্তি নীতিমালায় সুকৌশলে আস–সুন্নাহ প্রজেক্টকে হল হিসেবে উপস্থাপন করে বৃত্তি থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এ পাঁয়তারাকে রুখে দিতে প্রতিবাদ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্প থেকে যখন আগামী জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যাবে, তখন তাদের আশ্রয়স্থল কোথায়? আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আরও কঠিন আন্দোলন করব।’
শিক্ষার্থীরা প্রায় বিকেল চারটা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে থাকেন। পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে ফিরে যান।
জানা যায়, আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পের আওতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে থাকেন। এই প্রকল্পে থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রয়েছে।