নেত্রকোণায় মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
Published: 23rd, October 2025 GMT
নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার পুখলগাও গ্রাম থেকে রাজন মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার পুখলগাও গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আটক
ফরিদপুরে জুয়েলারির দোকানে ডাকাতি, ২ নৈশপ্রহরী আহত
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পুখলগাও গ্রামের মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়া (৩০) এবং মৃত হাসেন আলীর ছেলে হারেছ আলী (৪৪)।
আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুইজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত রাজন ও আটক দুইজন একই সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন। আজ গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে পুখলগাও গ্রামের একটি পরিত্যক্ত গুদামের পাশের পুকুর থেকে রাজনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রাজন উপজেলার দেশীউড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের দুর্গাশ্রম চৌরাস্তা মোড়ে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। গত রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
ঢাকা/ইবাদ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে ওষুধ পাচারের সময় সদর হাসপাতালের ২ কর্মী আটক
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে ভ্যানে করে সরকারি ওষুধ পাচারের অভিযোগে পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ দুইজনকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাসপাতাল চত্বর থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটকৃতরা হলেন- হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) ও ডোমের সহযোগী ইবাদুল মিয়া।
আরো পড়ুন:
মানব পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দিল বিজিবি, আটক ২
সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত: ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী টুবেল হরিজন ও ডোমের সহযোগী ইবাদুল মিয়া একটি ভ্যানে করে হাসপাতালের বিভিন্ন পরিত্যক্ত সরঞ্জাম নিচ্ছিলেন। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক তাদের দুজনকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা জানান, সদর হাসপাতালের ফার্মেসিতে কর্তব্যরত বিকাশ রায় তাদের এগুলো দিয়ে বাইরে নিয়ে যেতে বলেন।
একপর্যায়ে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে ভ্যানগাড়ি তল্লাশি করে ১৭৫ বক্সে ৮৭৫০ পিস সলবিয়ন (Solbion) ভিটামিন ওষুধ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ সিরিঞ্জ উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে ওষুধসহ দুইজনকে আটক করে থানায় নেয়।
আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “টুবেল হরিজন ও ইবাদুল মিয়া হাসপাতালের পরিত্যক্ত সরঞ্জাম ভ্যানগাড়িতে তুলছিলেন। সন্দেহজনক আচরণ দেখে আমি তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তারা জানান, ফার্মেসির কর্মী বিকাশ রায় তাদের এসব বাইরে নিতে বলেছিলেন। পরে ভ্যান তল্লাশি করে ১৭৫ বক্সে ওষুধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ সিরিঞ্জ উদ্ধার করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাই।”
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট বিকাশ চন্দ্র অভিযোগ অস্বীকার করে মোবাইলে বলেন, “সরকারি ওষুধ কেউ বাইরে নিয়ে বিক্রি করতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ আইনের বাইরে। আমি নিজেই রোগীদের প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাই, সেখানে বাইরে বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। যারা আমার বিরোধী, তারাই ইচ্ছাকৃতভাবে আমার নাম জড়াতে পারে। আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মিতু আক্তার। তিনি বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি দেখে আমি প্রথম খবর পাই। ঘটনাটি দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি, এটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তারা কতদিন ধরে এ কাজ করছে, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ