‘রাক্ষস’ ছেড়ে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এ সাবিলা নূর
Published: 23rd, October 2025 GMT
দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী সাবিলা নূর এখন নিয়মিতই বড় পর্দার কাজে যুক্ত হচ্ছেন। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রে অভিষেক, আর সেটিও দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের বিপরীতে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার মাধ্যমে।
চলচ্চিত্রে অভিষেকের পরপরই শোনা যায়, আরো একটি সিনেমায় যুক্ত হচ্ছেন সাবিলা; যার নাম—‘রাক্ষস’। কিন্তু শিডিউল জটিলতার কারণে সেই প্রজেক্ট থেকে সরে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
শাকিবের সিনেমা নিয়ে যে হাইপ তোলা হয়, তা ভুয়া: ইকবাল
শাকিব খানের সিনেমায় খল চরিত্রে তৌকীর আহমেদ!
জানা গেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিল ‘রাক্ষস’-এর শুটিং। একই সময়ে সাবিলা নূরের আরেকটি বড় প্রজেক্ট ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর শুটিংও শুরু হবে। ফলে দুটি কাজের সময়সূচি একসঙ্গে পড়ে যাওয়ায় সমঝোতার মাধ্যমে ‘রাক্ষস’ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন।
তানিম নূরের পরিচালনায় ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম ও শরিফুল রাজ। এমন তারকাবহুল প্রজেক্টে সাবিলার যুক্ত হওয়া নতুন মাত্রা যোগ করেছে সিনেমাটিতে। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেকেই প্রশংসা করছেন সাবিলা নূরের দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বের।
এ প্রসঙ্গে সাবিলা নূর বলেন, “তানিম ভাইয়ের সঙ্গে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ নিয়ে অনেক আগে থেকেই কথা হচ্ছিল। এর মধ্যে ‘রাক্ষস’-এর প্রস্তাবও পাই। কিন্তু দুই সিনেমার শুটিং একই সময়ে পড়ে যাচ্ছিল। তাই দুটোতেই মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হতো না। আমি চাই প্রতিটি চরিত্রে নিজেকে পুরোপুরি ডুবিয়ে দিতে। তাই একটি কাজকেই প্রাধান্য দিয়েছি।”
বর্তমানে সাবিলা নূর নিজেকে বড় পর্দায় নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান এবং তার এই সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে থাকা শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেসরকারি এই প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে দেখিয়ে আবাসন বৃত্তি থেকে তাঁদের বঞ্চিত করছে, এমন অভিযোগে আজ বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন।
এর আগে দুপুর নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁদের স্লোগানের মধ্যে ছিল: ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, ভুজুংভাজুং ছেড়ে দে’, ‘এক দুই তিন চার, বৃত্তি আমার অধিকার’ এবং ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি নীতিমালায় আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে তাঁরা আবাসন বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পটি বেসরকারি হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হল না হওয়ায় তাঁদের বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য কোনো হল নেই। আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের মেধাবী প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প আমাদের জন্য করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যত কোনো হল নয়।’
শিক্ষার্থী সুমন আরও বলেন, ‘বৃত্তি নীতিমালায় সুকৌশলে আস–সুন্নাহ প্রজেক্টকে হল হিসেবে উপস্থাপন করে বৃত্তি থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এ পাঁয়তারাকে রুখে দিতে প্রতিবাদ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্প থেকে যখন আগামী জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যাবে, তখন তাদের আশ্রয়স্থল কোথায়? আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আরও কঠিন আন্দোলন করব।’
শিক্ষার্থীরা প্রায় বিকেল চারটা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে থাকেন। পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে ফিরে যান।
জানা যায়, আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পের আওতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে থাকেন। এই প্রকল্পে থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রয়েছে।