ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কোনো অগ্রগতি খুঁজে পাননি ডিএমপি কমিশনার
Published: 23rd, October 2025 GMT
ঢাকা বা ঢাকার বাইরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কোনো অগ্রগতি খুঁজে পাননি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু অনেক বেশি। অপর দিকে শহরের বাইরে মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও মৃত্যু বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট’–এর এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এ কথাগুলো বলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) উদ্যোগে ডিআরএসপি নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রচারণা নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, এখানে বেশির ভাগ সড়ক ব্যবহারকারী অসচেতন। মাত্র ১০০ মিটার দূরে একটি পদচারী–সেতু আছে, তবুও পথচারীদের নিয়ম ভঙ্গ করে রাস্তা পার হতে দেখা যায়। সিটি করপোরেশনের রাস্তা তদারকির দায়িত্বে থাকা বিভাগও উদাসীন। ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তোমোহিদে ইচিগুচি বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ঢাকার রাস্তায় পা রাখেন, যাঁদের মধ্যে শিশুরা স্কুলে যায়, কর্মজীবীরা কাজে যান। কিন্তু সড়কে নিরাপত্তা না থাকায় বহু মানুষের জন্য এই যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকাকে নিরাপদ করতে একটি ‘প্রতিশ্রুতিমূলক’ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিএমপির সঙ্গে জাইকা নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
সেমিনারে জানানো হয়, ২০২২ সালের মার্চ থেকে জাইকার সহযোগিতায় ডিআরএসপি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ডিএমপি। রাজধানীর সড়ক নিরাপত্তা উদ্যোগ বাস্তবায়নের সক্ষমতা উন্নত করা, দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা ছিল প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয়। সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, চালক, পথচারী থেকে শুরু করে নগর পরিকল্পাবিদ, শিক্ষাবিদসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সবার সহযোগিতায় একটি সুরক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ ট্রাফিক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে।
.