পায়ের গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে  ঠিকমতো হাঁটা যায় না, সোজা হয়ে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। সাধারণত দীর্ঘ সময় হাঁটলে  ব্যথা বাড়ে, কখনো কখনো গোড়ালি ফুলে যেতে পারে। খালি পায়ে হাঁটলে বা শক্ত জুতা ব্যবহার করলে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা দেখা দিতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত সকালের দিকে বেশি অনুভূত হয়। 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘পায়ের পাতার নিচে গোড়ালি থেকে সামনে একটি শক্ত টিস্যু আছে, যার নাম প্লান্টার ফাসা। এতে প্রদাহ হলে গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে।’’

আরো পড়ুন:

মানুষ কেন ঘুমের মধ্যে কথা বলে?

কিডনি ভালো রাখতে পাঁচটি বদভ্যাস ত্যাগ করুন

দৌড়ানোর মতো কার্যকলাপের কারণে বারবার চাপ পড়ে গোড়ালির হাড়ে। বিশেষ করে মিডিয়াল ম্যালিওলাসে ছোট ছোট ফাটল দেখা দিতে পারে। এই স্ট্রেস ফ্র্যাকচারগুলো থেকে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। শুধুমাত্র এই কারণে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হলে বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যায়। 

গোড়ালির ভেতরের অংশে, যেমন টিবিয়াল নার্ভ, স্নায়ুর সংকোচনের ফলে ব্যথা, অসাড়তা বা ঝিনঝিন অনুভূতি হতে পারে। এই লক্ষণগুলো উপশম করতে এবং আরও জটিলতা প্রতিরোধ করতে স্নায়ুর আটকে যাওয়ার কারণ চিহ্নিত করা এবং সমাধান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমানোর প্রাথমিক উপায়
ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম ১০ মিনিট গোড়ালি হাত দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।

উল্লেখ্য,  প্রকৃত রোগ নির্ণয়ের জন্য এক্সরে করা যেতে পারে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবণ ও শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন। 

সূত্র: ব্যালেন্স হেলথ ডটকম

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানালেও সতর্ক থাকার আহ্বান গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে তিন দলীয় মোর্চা ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। তবে তারা নির্বাচন নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

জোটের মুখপাত্র ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এ আহ্বান জানান। জোটের পক্ষে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ভূঁইয়া এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা বলেছেন, এত দিন যেসব সুযোগসন্ধানী ও সংস্কারবিরোধী চক্র নির্বাচন হবে না বলে গল্প ছড়িয়েছিল, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে। সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে সরকার জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

তবে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে জোটের নেতারা বলেন, সব দলের প্রতি সমান আচরণ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। বেশ কয়েক জায়গায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। এসব হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা বলেন, এ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ১ হাজার ৪০০ শহীদ এবং হাজারো আহত মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে।

সম্প্রতি গঠিত জোটটির নেতারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোভাব এখনো ততটা জনবান্ধব নয়। অতি দ্রুত পেশাদার ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে তাগিদ দেন তাঁরা।

সব শর্ত পূরণ এবং হাইকোর্টের আদেশ সত্ত্বেও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে এখনো নিবন্ধন দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের আচরণ জনমনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি করবে।

তবে সব নেতিবাচক আচরণ ও প্রশ্নবোধক কর্মকাণ্ড পরিহার করে নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিন দলীয় জোটটির নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ