প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে পুলিশ কনস্টেবল, অতঃপর…
Published: 24th, October 2025 GMT
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক পুলিশ কনস্টেবলকে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করেছেন এলাকাবাসী। পরে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) গভীর রাতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী মৌসুমি আক্তারের ঘর থেকে ইমরুল কায়েস নামের ওই কনস্টেবলকে আটক করা হয়। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল এবং গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বালাটা গ্রামের ইমরুল কায়েস গোপনে বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধুমাইটারী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী এরশাদুলের স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন। স্থানীয়রা তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে আটকে রাখেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই মৌসুমী আক্তার ও ইমরুল কায়েসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হত।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, “বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।”
ঢাকা/মাসুম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দরগঞ জ প রব স কনস ট
এছাড়াও পড়ুন:
৩ হাজার টাকায় শুরু, সাগর এখন ২০ লাখ টাকার রঙিন মাছের মালিক
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সরকারটারি গ্রামের বাসিন্দা সাগর সরকার। তিন হাজার টাকায় ৩৪টি রঙিন মাছ কিনেছিলেন। বাড়ির আঙিনায় মাটিতে গর্ত করে পলিথিন দিয়ে সেই মাছের চাষ শুরু করেন। ছয় বছরের ব্যবধানে তিনি গড়ে তুলেছেন মাছের খামার। নাম দিয়েছেন ‘সাগর এগ্রো ফার্ম’।
সাগর সরকারের খামারে এখন ভেসে বেড়াচ্ছে নানা জাতের প্রায় দুই লাখ রঙিন মাছ। তিন হাজার টাকা দিয়ে শুরু, এখন তিনি ২০ লাখ টাকার রঙিন মাছের মালিক। খরচ বাদে মাসে আয় থাকে গড়ে ৭০ হাজার টাকা। এখন তিনি সফল উদ্যোক্তা। সফল মাছচাষি হিসেবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিনি অর্জন করেছেন একাধিক পুরস্কার।
শুরুর কথা
কথায় কথায় সাগর জানালেন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁরা তিন বন্ধু ইউটিউবে অ্যাকুয়ারিয়ামে রঙিন মাছ চাষের পদ্ধতি দেখেন। পরে তাঁরা মিলে রঙিন মাছ চাষের পরিকল্পনা করেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিন বন্ধু মাত্র তিন হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এই টাকায় ৩৪টি অটো ব্রিডিং এবং গোল্ড ফিশ মাছ কেনেন। নিজের বাড়ির আঙিনায় মাটিতে গর্ত খুঁড়ে সেই গর্তে পলিথিন দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে মাছের চাষ শুরু করেন।
তবে শীতের কারণে তাদের বেশির ভাগ মাছ মারা যায়। দুই বন্ধু আর সাগরের সঙ্গে থাকেননি। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিফিন ও হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে প্রতি মাসে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া থেকে অক্সিজেন দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় মা মাছ আমদানি করতে থাকেন। সেই মা মাছের পোনা বড় করে বিক্রি করতেন তিনি।
প্রথম দেড় বছর সাগর লাভের মুখ দেখেননি। ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে তাঁর লাভ আসা শুরু হয়। আস্তে আস্তে ব্যবসা বড় হতে থাকে। মাটির গর্তের পরিবর্তে তিনি ১৮টি পাকা চৌবাচ্চায় রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন। এখন তাঁর বাড়িতে সারি সারি চৌবাচ্চা। সেখানে আছে নানা রঙের মাছ। এর পাশাপাশি নিজের ছয়টি পুকুরেও রঙিন মাছের চাষ করছেন। পুকুরের ওপরে জাল দিয়ে ছাউনি দেন। যাতে রোদ আর ছায়া দুটোই পাওয়া যায়। বর্তমানে তাঁর খামারে নানা জাতের দুই লাখ রঙিন মাছ আছে। এগুলোর মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা বলে তিনি দাবি করেন।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সরকারটারি গ্রামের সাগর সরকারের খামারে নানা জাতের দুই লাখ রঙিন মাছ আছে