বরগুনায় নদী ও সাগর মোহনা থেকে ১৫০ জেলে গ্রেপ্তার
Published: 24th, October 2025 GMT
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের প্রস্তুতিকালে পায়রা নদী ও সাগর মোহনা থেকে ৩৫টি ট্রলারসহ ১৫০ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে টাস্ক ফোর্স।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের যৌথ দল।
আরো পড়ুন:
মেঘনায় গ্রেপ্তার ২৮ জেলেকে জেল-জরিমানা
আর ৭ দিন নদী-সমুদ্রে মাছ না ধরার আহ্বান ঝালকাঠির ডিসির
ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ রক্ষায় গত ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময়ে ইলিশ শিকার, বিক্রয়, পরিবহন বন্ধ থাকবে।
মৎস্য বিভাগ জানায়, নিষেধাজ্ঞার শেষ সময় ঘনিয়ে আসায় অনেক জেলে আগেভাগে নদীতে নামার প্রস্তুতি নেয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পায়রা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে একটানা অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩৫টি ট্রলারসহ ১৫০ জন জেলেকে আটক করা হয়।
পরে তাদের ট্রলারসহ তালতলী উপজেলার জয়ালভাঙা এলাকায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিটি ট্রলারের জেলেদের এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ সব ট্রলার স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১২টা পর্যন্ত আটক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেবক মণ্ডল বলেন, ‘‘রাতভর পায়রা নদীতে অভিযান চালিয়ে এসব জেলেদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অপরাধে প্রত্যেক ট্রলারের জেলেদের এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ট্রলার ওই স্থান ত্যাগ করতে পারবে না।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.
ঢাকা/ইমরান/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপিতে আছি, সরকার গঠন পর্যন্ত দলের সাথেই থাকব: নাসীরুদ্দীন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী পদত্যাগের বিষয়টি গুজব বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, তিনি এনসিপির সাথেই আছেন এবং সরকার গঠন পর্যন্ত এনসিপির সাথেই থাকবেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদ শুধু কাগজে নয়, বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা থাকতে হবে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির বৈঠক চলছে
পদত্যাগের গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “এসব গুজব ছড়িয়ে থাকে। অনেকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নামে ভুল জায়গায় মিসাইল ছুঁড়ে থাকে।”
তিনি বলেন, “সত্যিকার অর্থে আমাদের যেটা প্রয়োজন, আগের আমলে দুর্নীতির যে ধারাবাহিকতা ছিল, বর্তমান সরকারও একই সাথে সচিবালয় থেকে শুরু করে আমলাতন্ত্র সবাই মিলে একই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে, আমাদের মিলিটারি, পুলিশে যে সংস্কারগুলো রয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের যে রিপোর্ট এসেছে, সেখানে কোথায় ব্যতয় হয়েছে, এগুলো নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করা উচিত।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে রাতের মধ্যে একটা গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের অপসাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “একটা ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, যাদের নিজস্ব পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল রয়েছে, ওই জায়গাতে যারা সুস্থ সাংবাদিকতা করতে চাচ্ছেন, তারাও অপসাংবাদিকতার শিকার হচ্ছেন।”
এ সময় তিনি বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চার আহ্বান জানান।
এর আগে, গতকাল রাতে এনসিপির এই নেতা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, এমন একটি সংবাদ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টিকে গুজব বলে উল্লেখ করে এনসিপি।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ