সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে: মির্জা ফখরুল
Published: 24th, October 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফায় রেইনবো নেশনের বিষয়টি রয়েছে; অর্থাৎ সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়া তোলা হবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে গারো জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব ওয়ানগালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। রাজধানীর বনানী বিদ্যানিতেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ অনুষ্ঠান উদ্যাপন করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের সব সম্প্রদায়—বাঙালি, গারো বা অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী—সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণা দিয়ে সব ধর্মবর্ণের মানুষকে এক পরিচয়ের বন্ধনে যুক্ত করেছেন। সেই ধারায় খালেদা জিয়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপি সরকারে এলে ঢাকায় একটি পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উৎসবগুলো সরকারিভাবে পালনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা ও প্রয়োজনগুলো কাছ থেকে দেখেছেন। বিশেষ করে ময়মনসিংহে গারো সম্প্রদায়ের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি তাদের সংস্কৃতি, জীবনযাপন ও উৎপাদনশীলতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও এই উৎসবে যোগ দিতে পেরে তিনি আনন্দিত ও গর্বিত। গারো সম্প্রদায়ের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি বাংলাদেশের মূল সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘গারো সম্প্রদায়সহ দেশের সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির গভীর শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতা রয়েছে। বড় পরিবর্তন আসতে হবে মানসিকতায়—নিজেদের কখনো দুর্বল মনে করা যাবে না। সংখ্যায় কম হতে পারেন, কিন্তু আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমরা আপনাদের ভাই।’
আজ রাাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে গারোদের ওয়ানগালা উদ্যাপন করা হয়। দুই কিশোরী সেজেছে গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফখর ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
এক ঘন্টায় ২০ লাখ রিয়্যাক্ট! প্রথমবার কন্যার মুখ দেখালেন দীপিকা–রণবীর
এ যেন উৎসবের চমক, দীপিকার ভক্তদের জন্য এক বড় উপহার। দীপাবলির দিনেই অবশেষে প্রকাশ্যে এল দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংয়ের কন্যা দুয়া। প্রায় এক বছর আগে প্রথম দীপাবলিতেই মেয়ের নাম জানিয়েছিলেন এই তারকা দম্পতি। এ বছর উৎসবের আবহে দেখালেন মেয়ের মুখও।
আজ (মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঁচটি ছবি শেয়ার করেছেন দীপিকা ও রণবীর। ছবি প্রকাশের পর যেন অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা—মুহূর্তেই ভাইরাল হয় পোস্টটি। মাত্র এক ঘন্টায় রিয়্যাক্ট পড়ে ২০ লাখলাখের বেশি! মন্তব্যের বন্যা বইছে ইনস্টাগ্রামে।
দীপাবলির সাজে মা-মেয়ে
ছবিতে দেখা যাচ্ছে দীপিকার সঙ্গে রং মিলিয়ে সেজেছে ছোট্ট দুয়া। দুজনের পরনেই লাল রঙের জমকালো চুড়িদার, সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না। দুয়ার মাথার দুই দিকে ঝুঁটি বেঁধেছেন দীপিকা। পাশে রণবীর সিং, সাদা ও ঘিয়ে রঙের শেরওয়ানিতে দীপাবলির ভাবনায় সাজা।
ছবিগুলোয় কখনো দুয়া হাসছে, কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু দেখাচ্ছে—মা-বাবার আদরে মাখামাখি প্রতিটি ফ্রেম। শেষ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দীপিকার কোলে বসে মা-মেয়ে দুজনেই জোড়হাতে প্রার্থনা করছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘দীপাবলির শুভেচ্ছা’।
ভক্তদের কেউ লিখেছেন, ‘দুয়া ঠিক দীপিকার মতো,’ কেউ বলছেন, ‘রণবীরের ছাপ স্পষ্ট।’ নেট দুনিয়ায় ছোট্ট দুয়াকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের ঝড়।
২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর কন্যাসন্তানের জন্ম দেন দীপিকা পাড়ুকোন। গত বছর গণেশচতুর্থীর পরের দিনেই ইনস্টাগ্রামে মেয়ের নাম ‘দুয়া’ জানিয়েছিলেন তিনি, দিয়েছিলেন ছোট্ট পায়ের ছবি। ঠিক এক বছর পর দীপাবলিতেই মুখ প্রকাশ করে যেন পূর্ণতা দিলেন সেই মুহূর্তকে।
প্রেম থেকে পরিবার
রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন ২০১৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ প্রেমের পর তাঁদের জীবনে এসেছে ছোট্ট দুয়া, ভালোবাসার পরিপূর্ণ প্রতীক হয়ে। দীপাবলির আলোয় তাঁদের পরিবারে এই খুশির রোশনাই ছড়িয়ে দিয়েছে বলিউডজুড়ে আনন্দের আলো।