পুরস্কার কাউকে দেশসেরা বানায় না: আরশ খান
Published: 25th, October 2025 GMT
প্রথম আলো :
কোন চরিত্র ধারণের আগে আপনার মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতি কেমন হয়?
আরশ খান : শৈশব থেকে এখন পর্যন্ত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা আমাদের মস্তিষ্কে ছোট ছোট স্মৃতি হিসেবে জমা থাকে। আমরা হয়তো তা সব সময় ভাবি না, কিন্তু কোনো শব্দ কানে এলে বা কোথাও পড়লে মস্তিষ্কে এর ছবি তৈরি হয়। যেমন আমি যদি বলি, ‘চকলেট আইসক্রিম’, আপনি সঙ্গে সঙ্গে একটা ইমেজ দেখেন মনে। ঠিক তেমনি, কোনো চরিত্রের নাম শুনলেই আমাদের মস্তিষ্ক সেই চরিত্রের একটা অবয়ব কল্পনা করে—হয়তো সে আমার কোনো বন্ধু, কিংবা গতকাল দেখা কোনো রিকশাওয়ালা। প্রথম ইমেজটা তৈরি হওয়ার পর আমরা বাস্তবে আশপাশে সে ধরনের মানুষ খুঁজতে শুরু করি, তাদের চালচলন পর্যবেক্ষণ করি। তবে নাটকে অল্প সময়ের মধ্যে সেই চরিত্র পুরোপুরি ধারণ করা কঠিন। সবাই পারে না। কিছু সিনিয়র অভিনেতা—যেমন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফরান নিশো ভাই—চরিত্রে দারুণভাবে ডুবে যান, নানা রকম রূপে নিজেদের উপস্থাপন করেন। তাঁরাই সত্যিকারের ভার্সেটাইল অভিনেতা। আমি এখনো সে পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। চেষ্টা করি, খুঁজি—কখনো সফল হই, কখনো ব্যর্থ। কিন্তু প্রতিবারই নতুন চরিত্র খুঁজে বের করার এই প্রক্রিয়াটাই আমাকে এগিয়ে যেতে শেখায়।
আরশ খান। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানালেও সতর্ক থাকার আহ্বান গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে তিন দলীয় মোর্চা ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। তবে তারা নির্বাচন নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
জোটের মুখপাত্র ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এ আহ্বান জানান। জোটের পক্ষে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ভূঁইয়া এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা বলেছেন, এত দিন যেসব সুযোগসন্ধানী ও সংস্কারবিরোধী চক্র নির্বাচন হবে না বলে গল্প ছড়িয়েছিল, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে। সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে সরকার জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
তবে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে জোটের নেতারা বলেন, সব দলের প্রতি সমান আচরণ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। বেশ কয়েক জায়গায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। এসব হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা বলেন, এ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ১ হাজার ৪০০ শহীদ এবং হাজারো আহত মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে।
সম্প্রতি গঠিত জোটটির নেতারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোভাব এখনো ততটা জনবান্ধব নয়। অতি দ্রুত পেশাদার ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে তাগিদ দেন তাঁরা।
সব শর্ত পূরণ এবং হাইকোর্টের আদেশ সত্ত্বেও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে এখনো নিবন্ধন দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের আচরণ জনমনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি করবে।
তবে সব নেতিবাচক আচরণ ও প্রশ্নবোধক কর্মকাণ্ড পরিহার করে নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিন দলীয় জোটটির নেতারা।