প্রথম আলো :

কোন চরিত্র ধারণের আগে আপনার মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতি কেমন হয়?

আরশ খান : শৈশব থেকে এখন পর্যন্ত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা আমাদের মস্তিষ্কে ছোট ছোট স্মৃতি হিসেবে জমা থাকে। আমরা হয়তো তা সব সময় ভাবি না, কিন্তু কোনো শব্দ কানে এলে বা কোথাও পড়লে মস্তিষ্কে এর ছবি তৈরি হয়। যেমন আমি যদি বলি, ‘চকলেট আইসক্রিম’, আপনি সঙ্গে সঙ্গে একটা ইমেজ দেখেন মনে। ঠিক তেমনি, কোনো চরিত্রের নাম শুনলেই আমাদের মস্তিষ্ক সেই চরিত্রের একটা অবয়ব কল্পনা করে—হয়তো সে আমার কোনো বন্ধু, কিংবা গতকাল দেখা কোনো রিকশাওয়ালা। প্রথম ইমেজটা তৈরি হওয়ার পর আমরা বাস্তবে আশপাশে সে ধরনের মানুষ খুঁজতে শুরু করি, তাদের চালচলন পর্যবেক্ষণ করি। তবে নাটকে অল্প সময়ের মধ্যে সেই চরিত্র পুরোপুরি ধারণ করা কঠিন। সবাই পারে না। কিছু সিনিয়র অভিনেতা—যেমন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফরান নিশো ভাই—চরিত্রে দারুণভাবে ডুবে যান, নানা রকম রূপে নিজেদের উপস্থাপন করেন। তাঁরাই সত্যিকারের ভার্সেটাইল অভিনেতা। আমি এখনো সে পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। চেষ্টা করি, খুঁজি—কখনো সফল হই, কখনো ব্যর্থ। কিন্তু প্রতিবারই নতুন চরিত্র খুঁজে বের করার এই প্রক্রিয়াটাই আমাকে এগিয়ে যেতে শেখায়।

আরশ খান। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে কাবাডি খেলায় হাজারো দর্শক, ফিরে এলো হারানো ঐতিহ্য

 

গ্রামবাংলার মাঠে-মাঠে একসময় জমজমাটভাবে অনুষ্ঠিত হতো কাবাডি বা হাডুডু খেলা। সময়ের পরিক্রমায় আধুনিক খেলাধুলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলাদেশের এই জাতীয় খেলা। তবে দীর্ঘদিন পর সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহাসিক চেঙ্গাকান্দী গ্রামের তরুণরা। 

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে চেঙ্গাকান্দী বালুর মাঠে আয়োজিত হয় এক চমৎকার কাবাডি প্রতিযোগিতা। আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার দর্শক মাঠে ভিড় জমান। দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা যেন ফিরে এসেছে গ্রামবাংলার সেই সোনালি দিন।

খেলার আয়োজক শরীফ বলেন, হাডুডু আমাদের জাতীয় খেলা হলেও আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা এই আয়োজন করেছি। এলাকাবাসীর সহায়তায় আজ তা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

প্রতিযোগিতায় লাল দল ও নীল দল মুখোমুখি হয়। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই ম্যাচে দুই দলই সমানভাবে জয় ভাগাভাগি করে নেয়।

খেলা দেখতে আসা স্থানীয় দর্শক মো. সিদ্দিক বলেন, এখন সবাই ক্রিকেট আর ফুটবলে ব্যস্ত। কিন্তু কাবাডিই তো আমাদের শিকড়ের খেলা। আজ এত মানুষ দেখে মনে হলো পুরোনো সময় ফিরে এসেছে।

দর্শক তারা মিয়া বলেন, এই খেলা আমাদের গ্রামের মানুষকে একসাথে করে। আজকে ছেলেমেয়েরা, বৃদ্ধ সবাই মিলে মাঠে এসেছে এটাই তো আসল আনন্দ। এমন আয়োজন বারবার হলে গ্রামের সংস্কৃতি টিকে থাকবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও বারদী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আলী বলেন, কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা হলেও আজ তা হারিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করা গেলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে এবং ঐতিহ্য টিকবে।”

কাবাডি খেলোয়াড় শুক্কুর আলী বলেন, “কাবাডিতে এখনো অনেক প্রতিভা আছে, কিন্তু সুযোগের অভাবে তারা উঠে আসতে পারে না। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যদি উদ্যোগ নেয়, কাবাডি আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জাকির সরকার এবং উদ্বোধক ছিলেন এডভোকেট সানাউল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি বারাকাহ হাসপাতালের পরিচালক ড. আবদুল মালেক।

উল্লেখ্য, এশিয়া মহাদেশেই কাবাডির উৎপত্তি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয় এবং এটিকে জাতীয় খেলার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ