পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
Published: 25th, October 2025 GMT
কক্সবাজার সদর উপজেলার দুই ইউনিয়ন ভারুয়াখালী ও খুরুশকুলের মাঝখানে অবস্থিত জোয়ারিখাল নদ। প্রতিদিন ডিঙিনৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। যাত্রীদের ঝুঁকি ও দুর্ভোগ নিরসনে পাঁচ বছর আগে নদটির ওপর একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তবে দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়েও সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করা যায়নি।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় বাসিন্দাদের নদটি পারাপারে দুর্ভোগ কাটছে না। বিশেষ করে রোগীদের পারাপারে ভোগান্তি বেশি। বর্ষা মৌসুমে নদটি উত্তাল থাকায় নৌকাডুবিসহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। এ সময় চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় দুই পারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ সাধারণ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। দুই ইউনিয়নে অন্তত ১০ হাজার একর জমিতে লবণ, চিংড়ি, মাছ ও ধান চাষ করেন বাসিন্দারা। সেতু না থাকায় এসব পণ্য পরিবহনেও অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
জোয়ারিখালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবিতে এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৩৯২ মিটার দীর্ঘ ‘ভারুয়াখালী-খুরুশকুল সেতু’ প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন ও এম এ জাহের লিমিটেড। সেতুর জন্য বরাদ্দ হয় ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোয়ারিখালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবিতে এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৩৯২ মিটার দীর্ঘ ‘ভারুয়াখালী-খুরুশকুল সেতু’ প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন ও এম এ জাহের লিমিটেড। সেতুর জন্য বরাদ্দ হয় ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের ভিত্তিতে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়।
সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। গত শুক্রবার কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ষ কর
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে থাকা শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেসরকারি এই প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে দেখিয়ে আবাসন বৃত্তি থেকে তাঁদের বঞ্চিত করছে, এমন অভিযোগে আজ বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন।
এর আগে দুপুর নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁদের স্লোগানের মধ্যে ছিল: ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, ভুজুংভাজুং ছেড়ে দে’, ‘এক দুই তিন চার, বৃত্তি আমার অধিকার’ এবং ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি নীতিমালায় আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে তাঁরা আবাসন বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পটি বেসরকারি হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হল না হওয়ায় তাঁদের বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য কোনো হল নেই। আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের মেধাবী প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প আমাদের জন্য করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যত কোনো হল নয়।’
শিক্ষার্থী সুমন আরও বলেন, ‘বৃত্তি নীতিমালায় সুকৌশলে আস–সুন্নাহ প্রজেক্টকে হল হিসেবে উপস্থাপন করে বৃত্তি থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এ পাঁয়তারাকে রুখে দিতে প্রতিবাদ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্প থেকে যখন আগামী জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যাবে, তখন তাদের আশ্রয়স্থল কোথায়? আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আরও কঠিন আন্দোলন করব।’
শিক্ষার্থীরা প্রায় বিকেল চারটা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে থাকেন। পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে ফিরে যান।
জানা যায়, আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পের আওতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে থাকেন। এই প্রকল্পে থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রয়েছে।