মা ইলিশ সংরক্ষণে মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে বাকি আর মাত্র ১২ ঘণ্টা। এরইমধ্যে বরগুনার বিষখালি, পায়রা ও বলেশ্বর নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেনে জেলেরা। 

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সদরের বড়ইতলা এলাকার বিষখালি নদীতে সরেজমিনে দেখা যায়, নদী ও সাগর মোহনায় দেড়শতাধিক ইঞ্জিন চালিত নৌকায় অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই অসাধু জেলেরা অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার শুরু করেছেন। প্রকাশ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেও এখন পর্যন্ত মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড কিংবা প্রশাসনের কোন উপস্থিতি দেখতে পাননি তারা। 

বড়ইতলা এলাকার বাসিন্দা সুলতান মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, “শতশত ট্রলার নিয়ে অবৈধ কারেন্ট জালে মাছ শিকার করছে জেলেরা। কেউ বাঁধা দিতে গেলে খারাপ আচরণ করে জেলেরা। মাছ শিকার বন্ধে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রশাসনের কাউকে দেখিনি।”

একই চিত্র দেখা গেছে আমতলী ও তালতলীর পায়রা নদী ও বলেশ্বর নদীতে। এই দুই উপজেলায় শনিবার সকাল থেকেই কয়েক হাজার জেলে মাছ শিকার শুরু করেছেন। 

আমতলীর চলাভাংগা এলাকার বাসিন্দা জাফর খান বলেন, “নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই মাছ শিকার করছে জেলেরা অথচ মৎস্য অধিদপ্তরকে আমরা ফোন করে তথ্য দেওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।”

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো.

রোকনুজ্জামান খান রাইজিংবিডিকে বলেন, “তথ্য পেয়েছি। আমরা অভিযান শুরু করব।”

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন রাইজিংবিডিকে বলেন, “দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় গত ৪ অক্টোবর থেকে আজ ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আমরা এই কয়দিন সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। হাতেগোনা কয়েকজন জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে, আজকের চিত্র ভিন্ন। শেষদিনে এসে বিভিন্ন স্থানে জেলেরা মাছ শিকারে নেমেছে। আমরা এসব জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকা/ইমরান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরগ ন মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনে মাছ শিকারে নেমেছেন বরগুনার জেলেরা 

মা ইলিশ সংরক্ষণে মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে বাকি আর মাত্র ১২ ঘণ্টা। এরইমধ্যে বরগুনার বিষখালি, পায়রা ও বলেশ্বর নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেনে জেলেরা। 

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সদরের বড়ইতলা এলাকার বিষখালি নদীতে সরেজমিনে দেখা যায়, নদী ও সাগর মোহনায় দেড়শতাধিক ইঞ্জিন চালিত নৌকায় অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই অসাধু জেলেরা অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার শুরু করেছেন। প্রকাশ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেও এখন পর্যন্ত মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড কিংবা প্রশাসনের কোন উপস্থিতি দেখতে পাননি তারা। 

বড়ইতলা এলাকার বাসিন্দা সুলতান মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, “শতশত ট্রলার নিয়ে অবৈধ কারেন্ট জালে মাছ শিকার করছে জেলেরা। কেউ বাঁধা দিতে গেলে খারাপ আচরণ করে জেলেরা। মাছ শিকার বন্ধে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রশাসনের কাউকে দেখিনি।”

একই চিত্র দেখা গেছে আমতলী ও তালতলীর পায়রা নদী ও বলেশ্বর নদীতে। এই দুই উপজেলায় শনিবার সকাল থেকেই কয়েক হাজার জেলে মাছ শিকার শুরু করেছেন। 

আমতলীর চলাভাংগা এলাকার বাসিন্দা জাফর খান বলেন, “নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই মাছ শিকার করছে জেলেরা অথচ মৎস্য অধিদপ্তরকে আমরা ফোন করে তথ্য দেওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।”

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান রাইজিংবিডিকে বলেন, “তথ্য পেয়েছি। আমরা অভিযান শুরু করব।”

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন রাইজিংবিডিকে বলেন, “দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় গত ৪ অক্টোবর থেকে আজ ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আমরা এই কয়দিন সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। হাতেগোনা কয়েকজন জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে, আজকের চিত্র ভিন্ন। শেষদিনে এসে বিভিন্ন স্থানে জেলেরা মাছ শিকারে নেমেছে। আমরা এসব জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ