ফুরিয়ে যাইনি, আবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারি: কমলা হ্যারিস
Published: 25th, October 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, তিনি আবারও হোয়াইট হাউসে যাওয়ার লড়াইয়ে নামতে পারেন। বিবিসির ‘সানডে উইথ লরা কুয়েন্সবার্গ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের কোনো সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এটাই তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকার।
সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস বলেন, তিনি কোনো একদিন প্রেসিডেন্ট হবেন। ভবিষ্যতে কোনো নারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন—এ বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়ে গত বছরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে গিয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। এরপর এই সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মতো ২০২৮ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে শক্ত ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
আরও পড়ুনট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের দিনে কী বলেছিলেন বাইডেন, যাতে ক্ষুব্ধ হলেন কমলা২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫জরিপে দেখা গেছে, কমলাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে না দল। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সাক্ষাৎকারে তিনি জরিপের এই ফলাফল উড়িয়ে দিয়েছেন।
সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘স্বৈরশাসক’ মন্তব্য করে কমলা বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
ডেমোক্রেটিক পার্টি যখন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বছর আগের বিজয়ের কারণ খুঁজছে, তখন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাঁধেই বেশির ভাগ দায় চাপানো হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, তিনি আগে থেকে পদত্যাগ করেননি।
তবে কমলা আরও ভালোভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারতেন কি না এবং অর্থনীতির মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও স্পষ্ট বার্তা দিতে পারতেন কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবারও হোয়াইট হাউসে যাওয়ার লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, তাঁর নাতি–নাতনিরা ‘তাদের জীবদ্দশায় নিশ্চিতভাবেই’ একজন নারী প্রেসিডেন্ট দেখতে পাবে।
আরও পড়ুনকমলার বইয়ে ‘পর্দার অন্তরালের গল্প’০১ আগস্ট ২০২৫এই পর্যায়ে কমলা হ্যারিসকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি নিজেই কি সেই নারী? উত্তরে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত।’ এর মাধ্যমে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিশ্চিত করেন, দেশের শীর্ষ পদের জন্য তিনি আরেকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন।
কমলা হ্যারিস জানান, তিনি এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে জোর দিয়ে বলেন, রাজনীতিতে তিনি এখনো নিজের ভবিষ্যৎ দেখছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এখনো ফুরিয়ে যাইনি। আমি আমার পুরো কর্মজীবনই মানুষের সেবায় কাটিয়েছি। এটা আমার অস্থিমজ্জায় মিশে আছে।’
ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন দৌড়-সংক্রান্ত এক জরিপে কমলা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধারেকাছেও নেই। জরিপের ফলাফলে তিনি হলিউড অভিনেতা ডোয়াইন জনসনের (দ্য রক) চেয়েও পিছিয়ে রয়েছেন। জবাবে কমলা বলেন, তিনি কখনো জরিপের ফলে কান দেন না।
কমলার ভাষায়, ‘আমি যদি জরিপের কথা শুনতাম, তাহলে আমার প্রথম অফিস বা দ্বিতীয় অফিসের জন্য লড়তাম না। আর নিশ্চিতভাবেই আজ এখানে বসতে পারতাম না।’
আরও পড়ুনকমলা হ্যারিসের ভুলগুলো কী ছিল০৭ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফুরিয়ে যাইনি, আবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারি: কমলা হ্যারিস
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, তিনি আবারও হোয়াইট হাউসে যাওয়ার লড়াইয়ে নামতে পারেন। বিবিসির ‘সানডে উইথ লরা কুয়েন্সবার্গ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের কোনো সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এটাই তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকার।
সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস বলেন, তিনি কোনো একদিন প্রেসিডেন্ট হবেন। ভবিষ্যতে কোনো নারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন—এ বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়ে গত বছরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে গিয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। এরপর এই সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মতো ২০২৮ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে শক্ত ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
আরও পড়ুনট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের দিনে কী বলেছিলেন বাইডেন, যাতে ক্ষুব্ধ হলেন কমলা২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫জরিপে দেখা গেছে, কমলাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে না দল। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সাক্ষাৎকারে তিনি জরিপের এই ফলাফল উড়িয়ে দিয়েছেন।
সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘স্বৈরশাসক’ মন্তব্য করে কমলা বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
ডেমোক্রেটিক পার্টি যখন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বছর আগের বিজয়ের কারণ খুঁজছে, তখন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাঁধেই বেশির ভাগ দায় চাপানো হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, তিনি আগে থেকে পদত্যাগ করেননি।
তবে কমলা আরও ভালোভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারতেন কি না এবং অর্থনীতির মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও স্পষ্ট বার্তা দিতে পারতেন কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবারও হোয়াইট হাউসে যাওয়ার লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, তাঁর নাতি–নাতনিরা ‘তাদের জীবদ্দশায় নিশ্চিতভাবেই’ একজন নারী প্রেসিডেন্ট দেখতে পাবে।
আরও পড়ুনকমলার বইয়ে ‘পর্দার অন্তরালের গল্প’০১ আগস্ট ২০২৫এই পর্যায়ে কমলা হ্যারিসকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি নিজেই কি সেই নারী? উত্তরে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত।’ এর মাধ্যমে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিশ্চিত করেন, দেশের শীর্ষ পদের জন্য তিনি আরেকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন।
কমলা হ্যারিস জানান, তিনি এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে জোর দিয়ে বলেন, রাজনীতিতে তিনি এখনো নিজের ভবিষ্যৎ দেখছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এখনো ফুরিয়ে যাইনি। আমি আমার পুরো কর্মজীবনই মানুষের সেবায় কাটিয়েছি। এটা আমার অস্থিমজ্জায় মিশে আছে।’
ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন দৌড়-সংক্রান্ত এক জরিপে কমলা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধারেকাছেও নেই। জরিপের ফলাফলে তিনি হলিউড অভিনেতা ডোয়াইন জনসনের (দ্য রক) চেয়েও পিছিয়ে রয়েছেন। জবাবে কমলা বলেন, তিনি কখনো জরিপের ফলে কান দেন না।
কমলার ভাষায়, ‘আমি যদি জরিপের কথা শুনতাম, তাহলে আমার প্রথম অফিস বা দ্বিতীয় অফিসের জন্য লড়তাম না। আর নিশ্চিতভাবেই আজ এখানে বসতে পারতাম না।’
আরও পড়ুনকমলা হ্যারিসের ভুলগুলো কী ছিল০৭ নভেম্বর ২০২৪