গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ২০ দিনের ব্যবধানে নীলগাইয়ের দুইটি শাবকের জন্ম হয়েছে। মায়েদের সঙ্গে খুনসুটি করে সময় কাটানো এই শাবক দুইটি এখন দর্শনার্থীদের বাড়তি আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, বিলুপ্তপ্রায় এই প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

পার্ক সূত্র জানায়, সম্প্রতি কোর সাফারি অঞ্চলে জন্ম নেয় দুইটি শাবক। প্রথমটি গত মাসের ৮ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয়টি ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়। শাবকগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শুরুতে ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।

আরো পড়ুন:

সাফারি পার্কে অনুপ্রবেশ, ১১ জনকে পুলিশে সোপর্দ

বরিশালের বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো.

তারেক রহমান বলেন, “৮ সেপ্টেম্বর দায়িত্বে থাকা কর্মীরা প্রথম শাবকটি দেখতে পান। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রাণীদের খাবার দেওয়ার সময় আরো একটি শাবক দেখা যায়। নিরাপত্তার কারণে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়নি।”

তিনি জানান, দুইটি শাবক সম্পূর্ণ সুস্থ এবং তাদের মায়েদের সঙ্গে মুক্তভাবে বিচরণ করছে। মাঝে মাঝে শাবক দুইটিকে একসঙ্গে খেলতে দেখা যায়, যা দর্শনার্থীদের কাছে দারুণ আনন্দের এক দৃশ্য। বিশেষ করে শিশুরা ছোট নীলগাইয়ের দৌড়ঝাঁপ উপভোগ করছে ভীষণভাবে।

সদ্য জন্ম নেওয়া দুইটি শাবকসহ এই পার্কে নীলগাইয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১টিতে। তবে, এখনো শাবক দুইটির লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর শ বক দ

এছাড়াও পড়ুন:

অবশেষে আসিয়ানের সদস্য হলো পূর্ব তিমুর

এশিয়ার নবীনতম দেশ পূর্ব তিমুর দক্ষিণ–পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১১তম সদস্যদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আজ রোববার আসিয়ান সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ দেওয়া হয়।

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে থেকেই পূর্ব তিমুরকে আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে আসছিলেন দেশটির অধিবাসীরা।

পূর্ব তিমুর এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র দেশ। এটি তিমুর–লেস্তে নামেও পরিচিত। জনসংখ্যা ১৪ লাখ। পূর্ব তিমুর কর্তৃপক্ষের আশা, আাসিয়ানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় নবীন অর্থনীতির এ দেশটি লাভবান হবে।

১৪ বছর অপেক্ষার পর পূর্ব তিমুর আসিয়ানের সদস্যপদ পেয়েছে। যদিও এ সদস্যপদ দেশটির জন্য বিশাল কোনো পরিবর্তন আনবে বলে মনে হয় না। তবে এ স্বীকৃতিকে দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাওর জন্য প্রতীকী জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

১৪ বছর অপেক্ষার পর পূর্ব তিমুর আসিয়ানের সদস্যপদ পেয়েছে। যদিও এ সদস্যপদ দেশটির জন্য বিশাল কোনো পরিবর্তন আনবে বলে মনে হয় না। তবে এ স্বীকৃতিকে দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাওর জন্য প্রতীকী জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আজ কুয়ালালামপুরে আাসিয়ানের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে জোটের নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব তিমুরের সদস্যপদ নিশ্চিত করেন। সম্মেলনস্থলের মঞ্চে পূর্ব তিমুরের পতাকা স্থাপনের পর সেখানে বিপুল করতালির শব্দ শোনা যায়।

এটি দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এর মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হবে। এতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে ‘অসীম সুযোগ’ তৈরি হবেজানানা গুসমাও, পূর্ব তিমুরের প্রধানমন্ত্রী  

পূর্ব তিমুরের প্রধানমন্ত্রী গুসমাও বলেন, এটি তাঁর দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এর মধ্য দিয়ে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। এতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে ‘অসীম সুযোগ’ তৈরি হবে।

গুসমাও তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘তিমুর–লেস্তের জনগণের জন্য এটি শুধু একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন নয়; বরং আমাদের নতুন যাত্রার এক শক্তিশালী প্রত্যয়।’

পূর্ব তিমুর তিন শতাব্দী ধরে পর্তুগিজ শাসনের অধীনে ছিল। ১৯৭৫ সালে পর্তুগিজরা হঠাৎ তাদের উপনিবেশ ছেড়ে চলে যায়। এতে প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্য এর দখল নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয় এবং সে সময় অনেক রক্তপাতও ঘটে। শেষ পর্যন্ত ২০০২ সালে পূর্ব তিমুর স্বাধীনতা লাভ করে।

৭৫ বছর বয়সী রামোস-হোর্তা ১৯৭০-এর দশকে পূর্ব তিমুরের আাসিয়ান সদস্যপদ পাওয়ার ধারণা তুলে ধরেছিলেন। আঞ্চলিক সংহতির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার চেষ্টায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান হোর্তা।

আরও পড়ুনট্রাম্প গেলেন মালয়েশিয়ায়, আরেকটি ‘বড় শান্তিচুক্তি’ সইয়ের সাক্ষী হবেন৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ