মাদারীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, পথচারী নিহত
Published: 26th, October 2025 GMT
মাদারীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসের চাপায় ফাতেমা বেগম (৫৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ সময় বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত ফাতেমা বেগম মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা মোল্লাকান্দি এলাকার জব্বার মোল্লার স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
পাবনায় ট্রাকচাপায় দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
কক্সবাজারে দুই বাসের চাপায় পথচারীর মৃত্যু, বিক্ষোভ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাদারীপুর পুরাতন বাসস্টান্ড থেকে টেকেরহাট যাচ্ছিল একটি লোকাল বাস। ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী নারী ফাতেমা বেগমকে চাপা দিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ফাতেমাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, “আমরা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই। দুইটি ইউনিট নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তাদের মধ্যে এক নারী মারা গেছেন। খাদে পড়ে যাওয়া বাসটি উদ্ধার কাজ চলছে।”
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত পথচ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘চায়না দুয়ারি’ জাল নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন
দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ‘চায়না দুয়ারি’ জাল নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন স্থানীয় জেলেরা। বরেন্দ্র অঞ্চলের নদ–নদী, খাল–বিল ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে সবুজ সংহতি ও উন্নয়ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বারসিকের যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে চায়না দুয়ারি জাল নিষিদ্ধের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি–সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলেরা ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার সরঞ্জাম—খোরা জাল, পলো, চাঁই, খলই, বিনকি ইত্যাদি হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘চায়না দুয়ারি জাল বন্ধ করো, দেশীয় মাছ রক্ষা করো।’
কর্মসূচিতে বারসিকের গবেষক ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. শহিদুল ইসলাম বরেন্দ্র অঞ্চলের জেলেদের পর্যবেক্ষণভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রায় সব নদ–নদী ও খাল–বিলে চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ ধরা হচ্ছে। ছোট ফাঁসের কারণে পোনা মাছও এতে ধরা পড়ে মারা যাচ্ছে। এর ফলে দেশীয় মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য বিলুপ্তির মুখে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটারের কম ফাঁসের জাল নিষিদ্ধ। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। এ কারণে মাছের পাশাপাশি জলজ উদ্ভিদ, পাখি, ব্যাঙ, কচ্ছপসহ পুরো জলজ বাস্তুসংস্থান হুমকির মুখে।
গোকুল-মথুরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের বিলকুমারী বিলে আগে কত জাতের মাছ ছিল। এখন আর কিছুই নেই। চায়না জালের কারণে আমরা মৌসুমেও মাছ পাই না।’ বিলকুমারী বিলপারের আরেক জেলে আফাজ উদ্দিন কবিরাজ বিলের হারিয়ে যাওয়া মাছের নাম স্মরণ করে এই জাল বন্ধের দাবি জানান।
সবুজ সংহতি রাজশাহীর আহ্বায়ক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, আইন থাকলেও মাঠপর্যায়ে এর কোনো কার্যকর প্রয়োগ নেই। অবিলম্বে চায়না দুয়ারি জালের আমদানি, তৈরি ও বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। এর কারখানাগুলোও বন্ধের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন পবা উপজেলার নওহাটা মৎস্যজীবী সমবায়ের সাধারণ সম্পাদক আবু সামা, জেলে রঘুনাথ হালদার, সামাজিক কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সম্রাট রায়হান, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি উপেন রবিদাস, জুলাই ৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী প্রমুখ।