দালালের প্রলোভনে উন্নত জীবনের খোঁজে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়ে আটক হওয়া চার তরুণীকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। 

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার পূর্বকেদার সীমান্তে মেইন পিলার ১০১৫-এর সাব-পিলার ১৪-এস সংলগ্ন স্থানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

ফেরত আসা চার তরুণী হলেন- পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের আদিবা আক্তার (২৩), নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরের শিরিনা আক্তার (২৬) এবং শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার তাসমিয়া আক্তার (১৮)। 

তারা সবাই ঢাকার বাড্ডা থানার নতুনবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এদের মধ্যে তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং একজন গার্মেন্টসে কাজ করতেন।

আঁখি আক্তার জানান, তাদের পরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত দিয়ে ভারত প্রবেশ করেন। সীমান্তের ওপারে পূর্বনির্ধারিত একটি প্রাইভেটকার তাদের তুলে নিয়ে যায় আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পর্যন্ত। ২৩ নভেম্বর সেখানে পুলিশ তাদের আটক করে। 

পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কেদার কোম্পানি সদরের হাবিলদার শাহজাহান আলী এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন রুস্তম ক্যাম্পের ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।

হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, বিএসএফ চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় হস্তান্তর করেছে। পরে তাদের কচাকাটা থানায় সোপর্দ করা হয়।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, “চার জনের অভিভাবককে খবর দেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/বাদশাহ্/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে আটক ৪ তরুণীকে ফেরত দিল বিএসএফ

দালালের প্রলোভনে উন্নত জীবনের খোঁজে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়ে আটক হওয়া চার তরুণীকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। 

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার পূর্বকেদার সীমান্তে মেইন পিলার ১০১৫-এর সাব-পিলার ১৪-এস সংলগ্ন স্থানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

ফেরত আসা চার তরুণী হলেন- পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের আদিবা আক্তার (২৩), নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরের শিরিনা আক্তার (২৬) এবং শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার তাসমিয়া আক্তার (১৮)। 

তারা সবাই ঢাকার বাড্ডা থানার নতুনবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এদের মধ্যে তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং একজন গার্মেন্টসে কাজ করতেন।

আঁখি আক্তার জানান, তাদের পরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত দিয়ে ভারত প্রবেশ করেন। সীমান্তের ওপারে পূর্বনির্ধারিত একটি প্রাইভেটকার তাদের তুলে নিয়ে যায় আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পর্যন্ত। ২৩ নভেম্বর সেখানে পুলিশ তাদের আটক করে। 

পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কেদার কোম্পানি সদরের হাবিলদার শাহজাহান আলী এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন রুস্তম ক্যাম্পের ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।

হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, বিএসএফ চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় হস্তান্তর করেছে। পরে তাদের কচাকাটা থানায় সোপর্দ করা হয়।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, “চার জনের অভিভাবককে খবর দেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/বাদশাহ্/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ