হার্ভার্ড–অক্সফোর্ডসহ বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফ্রি অনলাইন কোর্স, যেভাবে আবেদন
Published: 27th, November 2025 GMT
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এখন আর বড় টিউশন ফি বা বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা এখন ঘরে বসেই হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড, ইয়েল বা পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোর্স করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে।
কেন অনলাইন কোর্স
এখন জ্ঞান অর্জনের অন্যতম সহজ ও কার্যকর উপায় হচ্ছে অনলাইন লার্নিং। এসব বিনা মূল্যের কোর্সে রয়েছে বিশ্বমানের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের পাঠদান, নমনীয় সময়সূচি এবং সার্টিফিকেট অর্জনের সুযোগ। শিক্ষার্থীরা নিজস্ব গতিতে শেখার পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে এবং চাকরির বাজারে নিজেকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখতে পারবেন। অনেক কোর্সে ফ্রি ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, আবার কিছু কোর্সে অল্প ফি দিয়ে ভেরিফায়েড সার্টিফিকেটও নেওয়া যায়।
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফ্রি অনলাইন কোর্সের তালিকা১.
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রি ডেটা সায়েন্স কোর্স ২০২৫
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক EdX প্ল্যাটফর্মে পরিচালিত এই কোর্সে শেখানো হবে ডেটা অ্যানালাইসিস, ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন, ggplot2, প্রোগ্রামিং এবং পরিসংখ্যানের মৌলিক বিষয়। ডেটা সায়েন্সে আগ্রহীদের জন্য এটি একটি চমৎকার সুযোগ, বিশেষ করে যাঁরা পেশাগতভাবে ডেটা বিশ্লেষণ শিখতে চান।
২. সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রি অনলাইন কোর্স ২০২৫
এশিয়ার অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সিংহুয়া বিশ্বের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬০টির বেশি ফ্রি অনলাইন কোর্স অফার করছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ম্যানেজমেন্ট, শিল্পকলা, সমাজবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে এ কোর্সগুলো করা যাবে ঘরে বসেই।
আরও পড়ুনবিশ্বের সবচেয়ে কঠিন ১০ পরীক্ষা যেভাবে দেন শিক্ষার্থীরা১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩প্রথম আলো ফাইল ছবিউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
করিন্থ: অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে পৌঁছেছিলো যে নগর রাষ্ট্র
প্রাচীন গ্রীসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সমৃদ্ধশালী নগর-রাষ্ট্র ছিলো করিন্থ। এটি তার কৌশলগত অবস্থান, বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য বিখ্যাত ছিল। এটি পেলোপোনিস এবং মূল গ্রীসের সংযোগকারী ইস্তমাস অফ করিন্থ নামক সংকীর্ণ ভূখণ্ডে অবস্থিত ছিল।
করিন্থ দুটি উপসাগর, করিন্থিয়ান এবং সারোনিক, উভয়ের সাথেই সংযুক্ত ছিল। এই অনন্য ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এটি স্থলপথ এবং সমুদ্রপথ, উভয় বাণিজ্যেরই প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল।
আরো পড়ুন:
নিম-হলুদ কী সত্যিই ত্বকের জন্য ভালো?
ইডিপাস: না জেনে নিজের মাকে বিয়ে করেছিলেন
খ্রিষ্টপূর্ব ৭ম এবং ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে করিন্থ অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে পৌঁছায়। এই সময়ে তারা মৃৎশিল্প, বিশেষ করে কালো রঙের মৃৎপাত্র তৈরিতে উদ্ভাবনী কৌশল ব্যবহার করে, যা ভূমধ্যসাগর জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
প্রথমদিকে করিন্থ একটি রাজতন্ত্র ছিল, যা পরে ব্যাকিয়াড পরিবারের অভিজাতদের দ্বারা শাসিত হয়। পরবর্তীতে সাইপসেলাস এবং তার পুত্র পেরিয়ান্ডার -এর অধীনে নগরীটি স্বৈরশাসকদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল (আনুমানিক ৬৫৭ থেকে ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)।
করিন্থ তার রাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে কর্কিরা এবং সিসিলির সিরাকিউস এর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল, যা পশ্চিম ভূমধ্যসাগরে তাদের বাণিজ্যিক আধিপত্য নিশ্চিত করে।
এই নগরীতে অ্যাপোলোর মন্দিরসহ অসংখ্য স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্থাপত্য নিদর্শন ছিল। এখানে অলিম্পিক গেমসের পরেই মর্যাদাপূর্ণ ইস্তমিয়ান গেমস অনুষ্ঠিত হতো, যা এর সাংস্কৃতিক গুরুত্ব তুলে ধরে।
১৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমান জেনারেল লুসিয়াস মুমিয়াস করিন্থ দখল ও ধ্বংস করে দেন। এর প্রায় এক শতাব্দী পরে, ৪৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জুলিয়াস সিজার এটিকে একটি রোমান উপনিবেশ হিসেবে পুনর্নির্মাণ করেন এবং এটি গ্রীসের রোমান প্রদেশের রাজধানী হয়।
ঢাকা/লিপি