কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে দুই নেতার অনুসারীদের পাল্টাপাল্টি মহড়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে দুই পক্ষ থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থিতা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় আছেন বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পর্ষদের সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান (ইকবাল) এবং ১২–দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা। তাঁদের বাড়ি বাজিতপুর উপজেলায়। মজিবুর রহমান দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং এহসানুল হুদা জোটের প্রার্থী হতে চান। প্রতিদিন নানাভাবে শোডাউন দিয়ে তাঁরা নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

বিএনপির মনোনয়নের দাবিতে গত শনিবার সকালে বাজিতপুরে দীর্ঘ মানববন্ধন করেন শেখ মজিবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে বিকেলে পাল্টা শোডাউন দেন এহসানুল হুদার অনুসারীরা। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির জেরে বাজিতপুরের একাধিক স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২২ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ছয় রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও দেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহ আগে থেকে দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী একে-অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। ইতিমধ্যে দুই পক্ষ থেকে দুই নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুই প্রার্থী ফেসবুকে একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিদিন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ওয়ার্ড পর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকেরা মিছিল করে প্রতিপক্ষকে হুঁশিয়ারি করে স্লোগান দিচ্ছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গত শনিবার দুই পক্ষের সংঘাতের পরও দুই

মনোনয়নপ্রত্যাশীর অনুসারীরা থামেননি। ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষ মিছিল করছে। এতে এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে এতে আতঙ্ক তৈরি করছে।

আরও পড়ুনকিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী চেয়ে দীর্ঘ মানববন্ধন২২ নভেম্বর ২০২৫

বাজিতপুর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো.

মনিরুজ্জামান। তিনি শেখ মজিবুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়ে শুরু থেকে মাঠে আছেন। মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এহসানুল হুদার মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই আওয়ামী সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী ক্যাডার। আমাদের নেতা শেখ মজিবুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। কর্মীদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এককথায় এহসানুল হুদার কারণে বাজিতপুর ও নিকলীর রাজনৈতিক পরিবেশ সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠছে।’

অন্যদিকে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. শাহ আলম এহসানুল হুদার পক্ষে মাঠে সক্রিয় আছেন। তিনি বলেন, ‘দুই উপজেলার শান্ত রাজনীতি অশান্ত করছে শেখ মজিবুর রহমানের অনুসারীরা। আমাদের শোডাউনে হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে মজিবুর রহমানের পক্ষ সহিংসতার রাজনীতির সূচনা করল। এর নেতিবাচক প্রভাব বড় হতে পারে।’

জানতে চাইলে বিএনপি নেতা শেখ মজিবুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো নেই। এক মনোনয়নপ্রত্যাশী (এহসানুল হুদা) আমার ও আমার দলের সাধারণ সম্পাদক মনিরের নাম নিয়ে কবর রচনা করে চলেছেন। অস্ত্রের মহড়া চলছে। বিএনপির বদনাম হচ্ছে। তবে যারা করছে, তারা বিএনপির কেউ না।’ তিনি যৌথ বাহিনীর কাছে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গুলির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।

অন্যদিকে সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘আমার শোডাউনে শেখ মজিবুর পক্ষ হামলা চালাল। তাঁর লোকজন আমাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তবে আমাকে চোখ রাঙিয়ে লাভ নেই। নিজের কবর খুঁড়তে হবে।’ তিনি স্বীকার করেন, মনোনয়ন ইস্যুতে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বাজিতপুর পৌর বিএনপি সভাপতি এহেসান কুফিয়া, সাবেক জিএস মীর জলিল, বিএনপির সমর্থক মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল ওয়াহাব, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক মাশুক মিয়া ও নিকলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল মোমেন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এহস ন ল হ দ র ক শ রগঞ জ ৫ জ ব র রহম ন র অন স র ব এনপ র শ ড উন র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচটিতেই বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবি, সিদ্দিকীরাও আলোচনায় 

টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে পাঁচটিতেই বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবি তুলেছেন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। মনোনয়ন পরিবর্তন না হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন একাধিক নেতা। এর মধ্যেই অনুসারীদের নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন বিএনপির প্রার্থীরা।

দুটি আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং তাঁর বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী–সমর্থকদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। তাঁরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে এবং দলীয় অসন্তোষ না মেটানো গেলে আসন দুটিতে বিএনপিকে চাপে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

তবে জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের মতে, কয়েকটি আসনে মনোনয়নবঞ্চিতরা ক্ষোভ প্রকাশ করে কিছু কর্মসূচি পালন করলেও এটা ঠিক হয়ে যাবে।

এদিকে জামায়াতে ইসলামী আটটি আসনেই আগে থেকে প্রার্থী ঠিক করে মাঠে প্রচার চালাচ্ছে। জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, প্রচারে মাঠপর্যায়ে মানুষের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে জেলার আটটি আসনেই একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। গণ অধিকার পরিষদ তিনটি আসনে এবং গণসংহতি আন্দোলন দুটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এ ছাড়া সব কটি আসনে প্রার্থী নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থীরাও প্রচারে সক্রিয়।

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী)

আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম (স্বপন)। নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য মোহাম্মদ আলীও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁর অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন। আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুল ইসলামকে (আজাদ) অবশ্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরেই বহিষ্কার করে বিএনপি। আসাদুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন দলের জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য মোন্তাজ আলী। এনসিপি থেকে পদত্যাগ করা অলিক মৃ এই আসনে প্রার্থী হবেন বলে আলোচনা রয়েছে।

টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর)

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু এ আসনে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। প্রায় ১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়ে এই সাবেক উপমন্ত্রী নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। এখানে আর কেউ দলীয় মনোনয়ন চাননি।

আবদুস সালাম ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর অনুপস্থিতিতে ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু)। তিনি আবদুস সালামের ছোট ভাই।

জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা শাখার সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবির। মাঠে সক্রিয় রয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান।

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল)

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম ওবায়দুল হক (নাসির) এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি সহজভাবে নেননি সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান (আজাদ) ও তাঁর অনুসারীরা। বিএনপির নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য মাইনুল ইসলামও মনোনয়নপ্রত্যাশী। মনোনয়ন না পাওয়া দুই নেতার কর্মী–সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে এক হয়ে নানা কর্মসূচি পালন করছেন।

মাইনুল হোসেন বলেন, ‘ওবায়দুল হক ঘাটাইলের সন্তান নন। তাই এটা ঘাটাইলের বিএনপির নেতা–কর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হলে আমি অথবা লুৎফর রহমান খান যেকোনো একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হব।’

ওবায়দুল হক বলেন, ‘সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আমার পক্ষে মাঠে নেমেছে। মনোনয়ন না পেয়ে দু–একজন কিছু অনুসারী নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’

জামায়াত প্রার্থী করেছে দলের জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি মো. হোসনী মোবারক বাবুলকে। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লা হায়দার প্রার্থী হবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী)

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান ওরফে মতিন। তবে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদও (টিটো) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ তাঁর পক্ষে রয়েছে। তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত সভা–সমাবেশ করছেন।

এদিকে এ আসনে বিএনপির প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হতে পারে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে। তিনি এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাঁচবার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একবার (২০২৪) নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগে না থাকলেও দলের কর্মী–সমর্থকদের ওপর তাঁর প্রভাব রয়েছে।

এ আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা নায়েবে আমির খন্দকার আবদুর রাজ্জাক।

টাঙ্গাইল-৫ (টাঙ্গাইল সদর)

বিএনপি এখনো টাঙ্গাইল–৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এখানে দলের অর্ধডজন নেতা মনোনয়নের জন্য মাঠে থাকলেও বেশি সক্রিয় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু) এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল। তাঁরা অনুসারী নেতা–কর্মীদের নিয়ে প্রতিদিন সভা, সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন।

এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী দলের জেলা আমির আহসান হাবীব মাসুদ। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে নির্বাচনী তৎপরতা চালাচ্ছেন জোরেশোরে। গণসংহতি আন্দোলন এ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে ছাত্র ফেডারেশনের জেলা শাখার সভাপতি ফাতেমা রহমানকে (বীথি)।

টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার)

বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আওয়াল (লাভলু)। প্রায় এক ডজন নেতা দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও দল মনোনয়ন ঘোষণা করার পর তাঁদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

এখানে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন এ কে এম আবদুল হামিদ। তিনি ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি। গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কবীর হোসেন মনোনয়ন পেয়েছেন এ আসনে।

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর)

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। তাঁকে পরিবর্তনের দাবিতে গত শুক্রবার সমাবেশ করেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদ সোহরাবের অনুসারীরা।

এখানে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা জামায়াতের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ তালুকদার। এখানে গণসংহতি আন্দোলন আলিফ দেওয়ানকে এবং গণ অধিকার পরিষদ তোফাজ্জল হোসেনকে মনোনয়ন দিয়েছে।

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর)

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খান টাঙ্গাইল–৮ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এখানে অপর দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী সখীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান এবং শিল্পপতি সালাউদ্দিন রাসেল এক হয়ে সভা–সমাবেশ করে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

সালাউদ্দিন রাসেল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ চায় আমি নির্বাচন করি। ওনাদের ইচ্ছাই আমার ইচ্ছা।’

এদিকে এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপির প্রার্থীকে একদিকে নিজ দলের ‘বিদ্রোহী’ এবং অপর দিকে কাদের সিদ্দিকীর মতো প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হবে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সখীপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বলেন, তাঁরা কাদের সিদ্দিকীর জন্য নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন।

অবশ্য জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, ‘কাদের সিদ্দিকী ও লতিফ সিদ্দিকীকে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জাকেরীনের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা
  • পাঁচটিতেই বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবি, সিদ্দিকীরাও আলোচনায়