ওকে কারাগারে ঢুকিয়ে চাবিটা ফেলে দাও—শ্লীলতাহানির ঘটনায় গাভাস্কার
Published: 26th, October 2025 GMT
ভারতে নারী বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া দলের দুই নারী ক্রিকেটারের শ্লীলতাহানির ঘটনায় খেপেছেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তির কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই ক্রিকেটার বলেছেন, দায়ী ব্যক্তিকে জেলে ভরে চাবিটা ফেলে দিতে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। সেদিন সকালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে টিম হোটেল থেকে বেরিয়ে ক্যাফেতে যাওয়ার পথে অস্ট্রেলিয়া দলের দুই ক্রিকেটার ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, ক্রিকেটাররা হেঁটে যাওয়ার সময় এক মোটরসাইকেল আরোহী তাঁদের ‘অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ’ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
আরও পড়ুনলিটন বললেন, টেস্ট অধিনায়কত্ব পেলে কেউই ‘না’ করবে না৫৭ মিনিট আগেবিশ্বকাপের মধ্যে দুই অস্ট্রেলিয়ানের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলেন গাভাস্কার। হতাশা প্রকাশ করে এই ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘আমরা ‘অতিথি দেবো ভব’ (অর্থাৎ ‘অতিথি হলেন দেবতার সমান’) এর জন্য বিখ্যাত। এই ঘটনা শোনা সত্যিই খুব, খুব দুঃখজনক। এটি নিঃসন্দেহে এক জঘন্য ঘটনা। আইন নিজস্ব পথে চলবে নিশ্চিতভাবেই। আমি আশা করি দোষী ব্যক্তিটি কঠোরভাবে শাস্তি পাবে। ওকে কারাগারে ঢুকিয়ে চাবিটা ফেলে দাও। আমি মনে করি এটাই একমাত্র উপায়। শুধু ওকে বন্দী করো আর চাবিটা ফেলে দাও।’
অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে থাকা শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেসরকারি এই প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে দেখিয়ে আবাসন বৃত্তি থেকে তাঁদের বঞ্চিত করছে, এমন অভিযোগে আজ বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন।
এর আগে দুপুর নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁদের স্লোগানের মধ্যে ছিল: ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, ভুজুংভাজুং ছেড়ে দে’, ‘এক দুই তিন চার, বৃত্তি আমার অধিকার’ এবং ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি নীতিমালায় আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে তাঁরা আবাসন বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পটি বেসরকারি হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হল না হওয়ায় তাঁদের বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য কোনো হল নেই। আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের মেধাবী প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প আমাদের জন্য করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যত কোনো হল নয়।’
শিক্ষার্থী সুমন আরও বলেন, ‘বৃত্তি নীতিমালায় সুকৌশলে আস–সুন্নাহ প্রজেক্টকে হল হিসেবে উপস্থাপন করে বৃত্তি থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এ পাঁয়তারাকে রুখে দিতে প্রতিবাদ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্প থেকে যখন আগামী জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যাবে, তখন তাদের আশ্রয়স্থল কোথায়? আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আরও কঠিন আন্দোলন করব।’
শিক্ষার্থীরা প্রায় বিকেল চারটা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে থাকেন। পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে ফিরে যান।
জানা যায়, আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পের আওতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে থাকেন। এই প্রকল্পে থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রয়েছে।