রাবির সুইমিংপুলে সাঁতারে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
Published: 26th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সুইমিংপুলে সাঁতারে নেমে সায়মা হোসেন নামে এক নারী শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়।
আরো পড়ুন:
নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু, অনশন অব্যাহত
রাজশাহী বোর্ডে ৮২ হাজার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে নামলে তিনি পানিতে ডুবে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নেওয়া হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দ্রুত রামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “হ্যা, একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে, ঘটনাটি সত্য। মেয়েটি পানিতে ডুবে গেলে তাকে উদ্ধার করে রামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি, কাল বৈঠক
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ জেলা বিএনপির ২৩ নেতাকে ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি। আগামীকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম (বাদশা) বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১২ অক্টোবর বিকেলে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেলার সব আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন যাঁকেই দেওয়া হোক না কেন, তাঁর পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
রেজাউল করিম আরও বলেন, ওই বৈঠকের পর বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসন বাদে অন্য পাঁচটি আসনে পাঁচজন নেতাকে ফোন করে নির্বাচনের জন্য মাঠে কাজ করার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ধারাবাহিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ওই পাঁচ নেতাসহ মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির ২৩ নেতাকে আগামীকাল গুলশান কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। সেখানে মনোনয়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও নির্বাচন ঘিরে দলীয় কর্মপন্থা ও ধানের শীষকে বিজয়ী করতে নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা আসতে পারে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৈঠকে তারেক রহমান স্পষ্ট নির্দেশ দেন, ধানের শীষের মনোনয়ন যাঁকে দেওয়া হবে, তাঁকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মনোনয়ন না পেলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রার্থী করা ছাড়াও দলীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তবে দলে কোনো বিশৃঙ্খলা করা চলবে না।
জেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন পাঁচটি আসনে দলের পাঁচ নেতাকে টেলিফোন করে নির্বাচনের জন্য মাঠে নামার নির্দেশ দেওয়ায় মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যরা ভেতরে-ভেতরে হতাশ হন। তবে এ নিয়ে কেউ এখনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি।
গত বৈঠকে আলোচনার একপর্যায়ে উঠে আসে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে শরিক দলের প্রার্থী ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রসঙ্গ। এবারের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম। তিনি বলেন, শরিক দলকে আসন ছেড়ে দিলে আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীকে অন্য দলের কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। এ অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর শাহে আলমকে এ আসনে মাঠে নামতে বলেছেন। আগামীকালের বৈঠকে এ বিষয়েও চূড়ান্ত নির্দেশনা আসতে পারে।
ঢাকায় ডাক পাওয়া নেতাদের মধ্যে আছেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে তারেক রহমানের ফোন পাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ-উন-নবী (সালাম), সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম আহসানুল তৈয়ব (জাকির), সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শাহ মো. শাহজাহান আলী।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে তারেক রহমানের টেলিফোন পাওয়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর শাহে আলম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির জেলা সভাপতি আবদুল বাছেদ ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম আর ইসলাম (স্বাধীন)। বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি) আসনে তারেক রহমানের ফোন পাওয়া আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার ও বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ফোন পাওয়া একমাত্র নেতা হিসেবে বৈঠকে ডাক পেয়েছেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে তারেক রহমানের টেলিফোন পাওয়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম মো. সিরাজ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মাহবুবুর রহমান (হারেজ), ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলম (মামুন), কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান (খোকন) ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বৈঠকে ডাক পেয়েছেন।
বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা আছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এ দুটি আসন থেকে বৈঠকে ডাক পেয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম (বাদশা), জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন এবং আলী আজগর তালুকদার (হেনা), দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার (লালু) এবং গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দলের হাইকমান্ড থেকে টেলিফোন করে আগামীকাল চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিকেল চারটায় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্দেশনা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।