মহাকাশ মানেই মহাবিস্ময়, আবিষ্কারের শেষ নেই সেখানে। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির (ছায়াপথ) বাইরে থাকা অন্য একটি গ্যালাক্সিতে বরফের মধ্যে জমাট বাঁধা অবস্থায় অ্যাসেটিক অ্যাসিড ও ইথানলের জটিল জৈব অণু আবিষ্কার করেছেন নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার ও ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, নতুন এই আবিষ্কার প্রাথমিক মহাবিশ্বের রাসায়নিক গঠনের বিরল তথ্য জানার সুযোগ করে দিয়েছে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, প্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির বাইরে বরফের মধ্যে জমাট বাঁধা অবস্থায় প্রাণসম্পর্কিত জৈব অণু শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এসব যৌগ একটি নতুন নক্ষত্রকে ঘিরে থাকা আমাদের প্রতিবেশী গ্যালাক্সি লার্জ ম্যাগেলানিক ক্লাউডে পাওয়া গেছে। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে জীবনের উপাদান আমাদের সৌরজগৎ বা গ্যালাক্সির জন্য অনন্য বিষয় নয়। জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক রাসায়নিক উপাদান পুরো মহাবিশ্বেই থাকতে পারে।

অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, মহাকাশে ইথানল, অ্যাসিটালডিহাইড ও মিথাইল ফরমেটের মতো জটিল অণু শনাক্ত করা হয়েছে। বরফ আকৃতির এসব জটিল জৈব অণু আমাদের গ্যালাক্সির বাইরে প্রথমবার পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা অ্যাসিটিক অ্যাসিডও শনাক্ত করেছেন। এই অণু প্রিবায়োটিক রসায়নের জন্য অপরিহার্য বিল্ডিং ব্লক হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব রাসায়নিক উপাদান জীবন বা প্রাণ বিকাশের দিকেও যেতে পারে।

বিজ্ঞানী সেউইলো জানান, ‘আমাদের কাছে বর্তমানে লার্জ ম্যাগেলানিক ক্লাউডে শুধু একটি উৎস রয়েছে। আর মিল্কিওয়েতে বরফের মধ্যে এই জটিল জৈব অণু শনাক্তকরণের মাত্র চারটি উৎস রয়েছে। এই দুটি ছায়াপথের মধ্যে জটিল জৈব অণুর প্রাচুর্যে পার্থক্য রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে আমাদের উভয়ের কাছ থেকে বৃহত্তর নমুনার প্রয়োজন হবে। তবে এই আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা মহাবিশ্বে কীভাবে জটিল রসায়ন উদ্ভূত হয়, তা জানার সুযোগ পাচ্ছি।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপ দ ন র জন য আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

এমএলএস কাপ জিতে কত টাকা পেলেন মেসিরা

ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ জিতেছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। রোববারের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভ্যাঙ্কুভার হোটয়াইটসক্যাপসকে মায়ামি উড়িয়ে দেয় ৩-১ গেলে। চেজ স্টেডিয়ামে হওয়া এই ফাইনাল শেষে শুরু হওয়া উদ্‌যাপনে এখনো মেতে আছেন মায়ামির খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা। প্রথমবারের মতো এমএলএসের সবচেয়ে বড় শিরোপা জয়ের পর উদ্‌যাপনটা অবশ্য এমন বাঁধভাঙাই হওয়ার কথা।

এমএলএস কাপ জিতে অবশ্য শুধু ট্রফিই নয়, বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কারও পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। সর্বশেষ অফিশিয়াল প্লে-অফ পুরস্কারের কাঠামোয় ২০২৫ সালের এমএলএস কাপ জেতা দল ৩ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা) অর্থ পুরস্কার পাবে, আর রানার্সআপ দল পাবে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারের অর্থ পুরস্কার।

ফাইনালিস্টদের বাইরে, এমএলএস এমন দলগুলোকেও পুরস্কৃত করে, যারা প্লে-অফের আগের রাউন্ডে আসতে পারে। যেমন কনফারেন্স ফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলো পেয়েছে ১ লাখ ডলার করে। আর কনফারেন্স সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দলগুলোর ঝুলিতে গেছে ৪৭ হাজার ৫০০ ডলার করে।

আরও পড়ুনক্যারিয়ারের ৪৭তম শিরোপা জিতে মেসি, ‘এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম’০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

উত্তীর্ণ হওয়া সব ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে প্লে-অফ পুরস্কার হিসেবে প্রায় ১০ লাখ ডলার বিতরণ করে এমএলএস। এই অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়া পোস্ট সিজন রাউন্ডের (প্লে-অফের ধাপগুলো) আর্থিক গুরুত্বকে আরও মজবুত করে, যেখানে প্রতিটি জয় একটি দলকে।

স্ত্রী ও পুত্রদের সঙ্গে নিয়ে মেসির আরেকটি শিরোপা উদযাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথমবার সেরা তিনে স্টার্ক
  • এমএলএস কাপ জিতে কত টাকা পেলেন মেসিরা
  • রোকেয়া পদক পেয়ে ঋতুপর্ণা বললেন ‘এ পুরস্কার নারীদের আরও প্রেরণা জোগাবে’
  • বিগ টিকিটে ৮৩ লাখ টাকা জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি