মা ইলিশ রক্ষায় সরকার–ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার সময়ে সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ৬১ কোটি ৭৮ লাখ মিটার জাল উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় তিন হাজারের বেশি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার নৌ পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ ছিল। এ অভিযানে মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অংশ নেয়। নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে ৩৭ জেলার ৬ লাখ ২০ হাজার জেলে পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেওয়ার কথা জানায় সরকার।

নৌ পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ৬১ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৮৩ মিটার জাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬২ হাজার ৬৪৪ কেজি মাছ উদ্ধার, ১ হাজার ২২১টি নৌযান জব্দ ও ৩ হাজার ১৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নৌ পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৭৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদের আদালতে পাঠানো হয়। এ অভিযানে সারা দেশে ৫৩৪টি মামলা ও ১ হাজার ৫১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। জব্দ করা মাছ এতিমখানা, দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আর উদ্ধার হওয়া জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উদ ধ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুরে আগুনের ঘটনায় ১১ দিন পর আরেকটি মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে আগুনের ঘটনার ১১ দিন পর ঘটনাস্থল থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল রাব্বি প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

১৪ অক্টোবর শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর রোডে অবস্থিত আলম ট্রেডার্স নামের ওই রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। এই আগুন বিস্ফোরিত হয়ে বিপরীত পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।

ভবনটির দোতলায় স্মার্ট প্রিন্টিং নামের একটি কারখানায় টি-শার্ট প্রিন্ট করা হয়। আর তিন ও চারতলায় আর এন ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানা আছে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ